বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

রহস্যময় নিখোঁজ বিখ্যাতরা

সাইফ ইমন

রহস্যময় নিখোঁজ বিখ্যাতরা

হঠাৎ নিখোঁজ জ্যাক মা

তিনি এখন কোথায় আছেন তা কেউ জানে না। এমনকি নিজের উদ্ভাবিত ট্যালেন্ট শোতেও নেই তার উপস্থিতি। এককালে তিনি ছিলেন রাজনীতিবিদদের প্রিয়ভাজন...

লাপাত্তা চীনা ধনকুবের জ্যাক মা। তিনি এখন কোথায় আছেন তা কেউ জানে না। এমনকি নিজের উদ্ভাবিত ট্যালেন্ট শোতেও নেই তার উপস্থিতি। গত বছরের অক্টোবরে চীনের আর্থিক খাত নিয়ামক সংস্থার সমালোচনা করেন তিনি। তারপর কয়েক সপ্তাহ ধরে তাকে জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য এপ্রেনটিস’ টিভি শোর আদলেই জ্যাক মা চালু করেন ‘আফ্রিকা’স বিজনেস হিরোজ’ নামক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। সেখানে তরুণ আফ্রিকান উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক উদ্ভাবনী ক্ষমতা নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আর বিজয়ী পান ১৫ লাখ মার্কিন ডলারের আকর্ষণীয় আর্থিক পুরস্কার। শোর চূড়ান্ত রাউন্ডেও উপস্থিত ছিলেন না জ্যাক মা। ফলে তিনি আদৌ মুক্ত নাকি গৃহবন্দী- তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিজের শো কখনই মিস করেন না তিনি। বিচারক প্যানেলের সদস্য হিসেবে তিনি উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক আইডিয়াগুলো পর্যালোচনা করে রায় ঘোষণা করেন। কিন্তু এবার নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তার জায়গায় বিচারকম-লীতে ছিলেন আলীবাবার একজন নির্বাহী। অথচ জ্যাক মা আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা এবং মুখ্য নির্বাহী। বিখ্যাত ব্রিটিশ দৈনিক ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায়, বিচারক প্যানেলের ওয়েবপেজ থেকেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে চীনা এই ধনকুবেরের ছবি। এমনকি শোর প্রমোশনমূলক ভিডিওতেও তার অংশটুকু কেটে বাদ দেওয়া হয়। আলীবাবার একজন মুখপাত্র জানান, ‘ওই সময়ে ব্যস্ত থাকার কারণে মা বিচারক প্যানেলে উপস্থিত থাকতে পারেননি।’ তবে এই বিবৃতিকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করছে না কেউই। 

 

বারবারা নিউহল

পারিবারিক বিরোধের কারণে লেখালেখির উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন ফলেট...

বারবারা নিউহল ফলেটের জন্ম ১৯১৪ সালে। চার বছর বয়সেই কবিতা লিখতে শুরু করেন তিনি। বয়স যখন ১২, তার প্রথম উপন্যাস ‘দ্য হাউস উইদাউট উইন্ডো’ প্রকাশিত হলে এই শিশু-প্রতিভার কথা জানতে পারে সবাই। তার লেখনীশক্তি সাধারণ পাঠকদের পাশাপাশি প্রশংসা কুড়ায় বিদগ্ধজনদেরও। ১৪ বছর বয়সে প্রকাশিত হয় ‘দ্য ভয়েজ অব দ্য নরমান ডি’ নামের একটি উপন্যাস, যেটি খ্যাতিতে প্রথম বইটিকেও ছাড়িয়ে যায়। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধের কারণে তার বাবা পরিবার ছেড়ে চলে যাওয়ার পর লেখালেখির উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন ফলেট। একসময় নিজের সংসার ছেড়ে উধাও হন তিনি। অনেক খুঁজেও পরে তাকে আর পাওয়া যায়নি।

 

ডি বি কুপার

কুখ্যাত কিংবদন্তি কুপারকে নিয়ে সবচেয়ে বড় মিথ হলো- তিনি অদৃশ্য হয়ে যান। এক অদৃশ্য মানুষ এই ডি বি কুপার...

কুপার এক কুখ্যাত কিংবদন্তি হয়ে আছেন। আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এখনো লাল তালিকায় ঝুলিয়ে রেখেছে তাকে। কিন্তু তার কোনো হদিস নেই। আজ অবধি কেউ জানেন না তার সত্যিকারের নাম কী। তিনি দেখতে কেমন? তার একটি মুখচ্ছবি প্রকাশ করা হলেও তা নিয়ে শতভাগ নিশ্চয়তা নেই। হয়তো কোনো ছদ্মবেশে তিনি আশপাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

কুপারকে নিয়ে সবচেয়ে বড় মিথ হলো- তিনি অদৃশ্য হয়ে যান। এক অদৃশ্য মানুষ এই ডি বি কুপার। নর্থওয়েস্ট এয়ারলাইনসের ৩০৫ নম্বর ফ্লাইট হাইজ্যাক করেছিলেন এই কুপার। ২ লাখ মার্কিন ডলার ও প্যারাসুট চাইলেন তিনি। তাকে নিয়ে তখন বিমান মেক্সিকোতে। রেনোর দিকে যাওয়ার পথে রাতের অন্ধকারে প্যারাসুট পরে বিমান থেকে লাফ দিলেন। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত এফবিআইসহ বিশ্বের বহু গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে খুঁজে ফিরেছে কিন্তু তার চিহ্ন পর্যন্ত খুঁজে পাননি কেউ।

 

অ্যানাসতেসিয়া রোমানভ

অ্যানাসতেসিয়া বেঁচে রয়েছেন বলে লোকমুখে প্রচলিত থাকলেও তার অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। এটা এখনো রহস্যই রয়ে গেছে...

বলশেভিক বিপ্লবের সূত্র ধরেই রাশিয়ার রানী খুন হয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়ে আসছে ১৯১৭ সাল থেকে। সে বছর অক্টোবরেই একাধিক নারী কিন্তু রোমানভের পরিচয় দিয়ে সুইস ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। অ্যানাসতেসিয়া রোমানভ তেমনি এক ব্যক্তি, যিনি হারিয়ে গিয়ে মিথ তৈরি করেছেন লাখো মানুষের মধ্যে। এরই মধ্যে আনা অ্যান্ডারসনকে ঘিরেও অনেক কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। ১৯৯০ সালের দিকে অ্যান্ডারসনের ডিএনএ টেস্ট করে এ বিষয়ে পরিষ্কার ফলাফল বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু অ্যানাসতেসিয়া বেঁচে রয়েছেন বলে লোকমুখে প্রচলিত থাকলেও তার অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। রাজপরিবারে এ ধরনের অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ঘটনা স্বভাবতই মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে। ১৯০১ সালে জম্ম নেওয়া অ্যানাসতেসিয়া রোমানভ এমন এক মিথ। টিসার নিকোলাস-২ এর সবচেয়ে ছোট মেয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু বিপ্লবের অঙ্গারে পুড়তে হয়েছে তার পরিবারকে। ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া পরিবারের প্রায় সবাই গ্রেফতার হয়েছেন।

 

লেগারলিফ

কেউ কেউ বিশ্বাস করেন লেগারলিফ এখনো বেঁচে আছেন। তবে ঘটনা যাই হোক তিনি আজও রহস্য পৃথিবীর মানুষের কাছে...

৪২ বছর বয়সে বিখ্যাত সুইডিশ পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক ড্যানিয়েল লিন্ড লেগারলিফ নিখোঁজ হয়েছিলেন। ক্যামিলা ল্যাকবার্গের ফেজালব্যাকামর্ডেন-স্ট্রান্ড্রিদারেনের চিত্রগ্রহণের প্রস্তুতি চলছিল। এমন সময় সবার অগোচরে সুইডিশ পরিচালক রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। লেগারলিফ পাথরের মধ্যে ধরা পড়েছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। লেগারলিফের কী ঘটেছিল তার কোনো সাক্ষী বা প্রমাণ নেই। দুই দিন অনুসন্ধান অভিযান সত্ত্বেও লেগারলিফের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে লেগারলিফকে মৃত মনে করা হয়। ২০১৩ সালে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দুই বছর পরেও তার বর্ণনার সঙ্গে মিলে যায় এমন জায়গাগুলোর সন্ধান পাওয়া যায় যা পরে প্রকাশিত হয়েছিল। ফলে তার মৃত্যু নিয়ে অনিশ্চয়তাও বেড়ে যায়। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন তিনি এখনো বেঁচে আছেন। তবে ঘটনা যাই হোক তিনি আজও রহস্য পৃথিবীর মানুষের কাছে।

 

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুরহস্য এ উপমহাদেশের অমীমাংসিত রহস্যগুলোর অন্যতম। যদিও সবাই জানে, বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আসলে মূল ঘটনা তেমন নয়। তিনি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হননি বলে জানিয়েছেন এক ব্যক্তি। নেতাজির গাড়িচালক দাবিদার ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, যে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি নিহত হয়েছেন বলে ব্যাপকভাবে প্রচলিত, সে ঘটনার চার মাস পর তিনি নেতাজিকে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে নামিয়ে দিয়েছিলেন। ১০৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তির নাম নিজামুদ্দিন। কেবল নিজামুদ্দিনই নন, নেতাজিকে নিয়ে প্রকাশিত ভারতের নথিগুলোর মধ্যেও বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু না হওয়ার প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গেছে। তবে এরপর তিনি কোন বেশে কী পরিচয়ে কোথায় তার গোটা জীবন কাটিয়েছেন, তা আজও রহস্য। গুম্নামি বাবা নামে এক ব্যক্তিকে মনে করা হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বলে। এখনো নেতাজি-সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি প্রকাশের বাকি আছে। কে জানে হয়তো তখন এ-সংক্রান্ত রহস্যের সমাধান মিললেও মিলতে পারে। অথবা এটি চিরকালের মতো ভারতবর্ষের সেরা অমীমাংসিত রহস্যগুলোর একটি হয়েই রয়ে যাবে।

 

অস্কার অ্যাকোস্টা

অদৃশ্য হয়ে যাওয়াদের তালিকায় রয়েছেন টেক্সাস নগরীর অস্কার অ্যাকোস্টা। তিনি একাধারে একজন আমেরিকান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, ঔপন্যাসিক। তার আরেকটি বড় পরিচয় তিনি চিকানো আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। ‘অ্যাটোবায়োগ্রাফি অব অ্যা ব্রাউন বাফেলো’ এবং ‘দ্য রিভল্ট অব দ্য কক্রোচ ম্যান’ নামের বিখ্যাত উপন্যাস দুটির লেখক হিসেবেও অস্কার সর্বাধিক পরিচিত। এই দুটি উপন্যাস পাঠকমহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছিল। আবার আমেরিকান জনপ্রিয় লেখক ও সাংবাদিক হান্টার এস থম্পসনের সঙ্গে ছিল তার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। শুধু তাই নয়, অস্কার ছিলেন থম্পসনের সামোয়ান আইনজীবী। ১৯৭১ সালে থম্পসনের প্রকাশিত উপন্যাস ‘ফেয়ার অ্যান্ড লেথিং ইন লাস ভেগাস’-এ ডা. গঞ্জো চরিত্রে ছিলেন অস্কার। উপন্যাসটিতে অস্কার আসল নাম প্রকাশে অসম্মতি জানালে ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়। অস্কার ১৯৭৮ সালে মেক্সিকোর মাজাটলিনে ভ্রমণের সময় নিখোঁজ হয়েছিলেন। সেই থেকে তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে মৃত বলে ধারণা করা হয়। আবার অনেকে মনে করেন, তিনি এখনো বেঁচে আছেন। ফলে তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা কাহিনি।

 

অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট

বিশ্বের প্রথম নারী পাইলট, যিনি একক উড্ডয়নে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়েছিলেন। তার ক্যারিয়ারে সাফল্যের গল্পের কোনো কমতি নেই...

১৮৯৭ সালের ২৪ জুলাই জন্মগ্রহণ করেছিলেন তুখোড় নারী পাইলট অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট। অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তার ক্যারিয়ার ছিল নানা বৈচিত্র্যপূর্ণ ঘটনায় ভরা। একক উড্ডয়নের নানা পরীক্ষায় তিনি এভিয়েশনে আনেন বৈচিত্র্য। তার উড্ডয়নে পরীক্ষা হয়েছিল লকহেড ভেগা ৫বি। বিশ্বভ্রমণের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অ্যামেলিয়া পুরো বিশ্বের প্রথম নারী পাইলট, যিনি একক উড্ডয়নে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়েছিলেন। তার ক্যারিয়ারে সাফল্যের গল্পের কোনো কমতি নেই। আমেরিকার পাইলটদের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি ফ্লাইং ক্রস অর্জন করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া তার হাতে ছিল অনেক দুর্লভ ফ্লায়িং রেকর্ড। তার লেখা বই বেস্ট সেলিং হিসেবে চলেছিল বইয়ের বাজারে। ১৯৩৫ সালে তিনি যখন পেরুড বিশ্ববিদ্যালয়ে আগ্রহী নারীদের পাইলট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন তখন তার খ্যাতি আকাশছোঁয়া। মিডিয়ার মধ্যমণি ছিলেন তিনি।

 

অ্যামব্রোস বায়ার্স

আমি মৃত্যুর জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ পেয়েছি। এটা জরা, ব্যাধি জয় করেছে যেমন করে আকাশের তারকার পতন হয়...

হারিয়ে যাওয়া আমেরিকান পত্রিকা সম্পাদনাকারী, সাংবাদিক ও লেখক হলেন বায়ার্স। বিদ্রূপাত্মক ও ছোট গল্প লেখায় তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। ‘অ্যান অকারেন্স অ্যাট আওয়েল ক্রিক ব্রিজ’ বইটি তার নামকে সমুজ্জ্বল করেছে। তার লেখার নিজস্ব ধরন তাকে অনন্য করেছে। লেখক হিসেবে তার যশ-খ্যাতি যতটা রয়েছে, তার চেয়ে কম নয় একজন ভ্রমণকারী হিসেবে। ১৯১৩ সালের ঘটনা। বায়ার্স মেক্সিকোর দিকে যাত্রা করেছিলেন। তখন মেক্সিকান বিপ্লবের বারুদ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। সিভিল যুদ্ধের এই লগ্নে তার লেখায় ঝরত বিদ্রূপ বাক্য। তখন তার বয়স ৭১ বছর। তার চাচাতো বোন লরাকে তিনি একটি চিঠি পাঠালেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘শুভ বিদায়। যদি তুমি জানো আমাকে মেক্সিকান পাথুরে ভূমিতে পিঠ ঠেকিয়ে গুলি করা হয়েছে তবে জেনে রেখ আমি মৃত্যুর জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ পেয়েছি। এটা জরা, ব্যাধি জয় করেছে যেমন করে আকাশের তারকার পতন হয়।’

 

জিমি হোফা

তিনি ৬২ বছর বয়সে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছিলেন। তার নিখোঁজ হওয়া পর্যন্ত জিমি হোফা সংগঠিত অপরাধে জড়িত ছিলেন...

জিমি হোফা ছিলেন কিংবদন্তি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা এবং লেখক। তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৩ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানায়। তিনি আন্তর্জাতিক ব্রাদারহুড অব টিমস্টার্স (আইবিটি) ইউনিয়নের একজন গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক ব্যক্তিত্ব এবং কর্মী হয়েছিলেন। তিনি শ্রমিক ইউনিয়নের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি নাগরিক অধিকারের সমর্থক এবং এটি বিভিন্ন বিবৃতিতে প্রকাশিত হয়েছিল। ৬২ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের জুলাইয়ের শেষ দিকে তিনি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছিলেন।

তার নিখোঁজ হওয়া পর্যন্ত জিমি হোফা সংগঠিত অপরাধে জড়িত ছিলেন। দুটি পৃথক বিচারে হোফাকে জুরি টেম্পারিং, জালিয়াতি এবং ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ১৯৬৭ সালে তিনি কারাবরণ করেন এবং ১৩ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন। ১৯৭১ সালে তিনি ইউনিয়নের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৫ সালে তার রহস্যজনক অন্তর্ধান ঘটে। একটি তত্ত্ব থেকে জানা যায়, হোফা খুন হয়েছিলেন।

সর্বশেষ খবর