রবিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

দেশে দেশে অন্যরকম কারাগার

সাইফ ইমন

দেশে দেশে অন্যরকম কারাগার

বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে কারাগারে পাঠানো হয় অপরাধীকে। কারাগারে কয়েদিকে সংশোধনের চেষ্টা করা হয়। কারাগার মানে যেখানে অপরাধীদের শাস্তিমূলকভাবে বন্দী করে রাখা, বিভিন্ন কাজ করানো। বিশ্বে কারাগার বলতে এরকমটাই বোঝানো হয়। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন সব কারাগারও রয়েছে যেখানে বাইরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মতোই চলছে সবকিছু। বিশ্বজুড়ে এমন কিছু কারাগার রয়েছে যা প্রচলিত ধ্যান-ধারণার একেবারে বাইরে। যেখানে বন্দীদের জন্য থাকে সর্বোচ্চ আয়েশী আয়োজন। কোনো কোনোটি আবার হার মানায় ধনকুবেরদের বিলাসী জীবনকেও। আবার এমন কারাগারও রয়েছে যেখানে নেই কোনো প্রহরী। বিশ্বজুড়ে অন্যরকম কিছু কারাগার নিয়ে আজকের রকমারি-

 

যেখানে নেই কোনো রক্ষী, বন্দীরা কাটাতে পারেন ঘনিষ্ঠ সময়

ব্রাজিলে রয়েছে অবাক করা এক কারাগার। যে কারাগারে নেই কোনো রক্ষী। অস্ত্র নিয়ে কেউ দাঁড়িয়ে নেই যে চলতে-ফিরতে পথ আটকাবে। সেই কারাগারে থাকতে হয়েছে তাতিয়ানা কোরেইয়া দ্য লিমা নামের ২৬ বছর বয়সী এক নারীকে। তার দুই সন্তান রয়েছে। ১২ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে জেল খাটছেন। লিমাকে মূল কারাগার থেকে সরিয়ে ইটুয়ানার যে কারাগারে  নেওয়া হয়েছে সেটি পরিচালনা করে অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রটেকশন অ্যান্ড অ্যাসিসট্যান্সটু কনভিক্টস (এপ্যাক) নামের একটি সংস্থা। ব্রাজিলে অন্য কারাগারের চেয়ে এ কারাগারটি একেবারেই ভিন্ন। এখানে নেই কোনো কারারক্ষী। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কারাগারের খবর বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। মূল কারাগারে যেখানে বন্দীদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট পোশাক। এখানে এ কারাগারটিতে লিমা তার নিজের কাপড়ই পরতে পারেন। তার সেলে রয়েছে আয়না ও মেকআপ করার সরঞ্জাম। তাতিয়ানা এবং তার বান্ধবী ভিভিয়েন বলেন, আগের কারাগার তাদের ‘নারীত্ব কেড়ে নিয়েছিল’। ব্রাজিলের কারা সংকটের পটভূমিতে এপ্যাক পরিচালিত কারাগারগুলো অনেক বেশি নিরাপদ, সস্তা ও মানবিক বলে স্বীকৃতি পাচ্ছে। এখানে যে ধরনের বন্দীদের আনা হয়, তাদের বেশির ভাগই আসে মূল কারা ব্যবস্থা থেকে। এরা যে তাদের অপরাধের জন্য অনুশোচনা করছে সেটা তাদের প্রমাণ করতে হয়। নিয়মিত শ্রম ও শিক্ষা গ্রহণ করার ব্যাপারে এ কারাগারের যেসব নিয়মকানুন রয়েছে তা কঠোরভাবে পালন করা হয়। কারাগারে রয়েছে ‘কনজ্যুগাল সুইট’ যেখানে ডাবল বেডের খাট আছে। দেখা করতে আসা স্বামীদের সঙ্গে বন্দীরা এখানে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতে পারে।

প্রথম এপ্যাক কারাগার স্থাপন করা হয় ১৯৭২ সালে। একদল ক্যাথলিক খ্রিস্টান এটি তৈরি করেছিলেন। এখন এভিএসআই ফাউন্ডেশন নামে ইতালির একটি এনজিও এবং ব্রাজিলের সাবেক কারাবাসীদের একটি প্রতিষ্ঠান এর অর্থায়ন করে থাকে। এপ্যাক বন্দীদের পুনর্বাসনের দিকে জোর দিয়ে থাকে। বন্দীদের সারা দিন কাজ এবং পড়াশোনা করতে হয়। কখনো কখনো স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কাজ করতে হয়। কোনো বন্দী পালানোর চেষ্টা করলে মূল কারা ব্যবস্থার হাতে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কারাগারে কোনো রক্ষী না থাকায় উত্তেজনা কম থাকে।  এখানে কিছু নারী রয়েছে, যারা যাবজ্জীবন সাজা খাটছে।

 

দেয়ালে দেয়ালে ডিজনি কার্টুন

শিশুদের আটক বাবা-মার সঙ্গে থেকে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা, যেন পারিবারিক কারাগার...

এ কারাগারটি স্পেনে অবস্থিত। এখানে একজন অপরাধী তার পুরো পরিবারের সঙ্গে সাজাকালীন পুরো সময়টা থাকতে পারবেন। এ কারাগারের বিশেষত্ব হলো- যখন কোনো স্বামী-স্ত্রী দুজনই অপরাধী হিসেবে সাজা ভোগ করতে হয় তখন তাদের সন্তানসহ তারা এখানে এসে সাজা ভোগ করে থাকে। তাই এখানে শিশুদের জন্য দেয়ালে শোভা পাচ্ছে ডিজনি কার্টুনের বিভিন্ন চরিত্র। আছে খেলার মাঠ ও নার্সারি। শিশুদের আটক বাবা-মার সঙ্গে থেকে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা। মাদ্রিদ থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে অবস্থিত এ কারাগারে একসঙ্গে ৩৬টি পরিবারের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অবাক করে সেটি হলো- এ কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত আসামিরা কারাগার ছেড়ে যেতে চায় না। এখানকার সহজ-সরল জীবন, মজার মজার সব খাবার-দাবার, বিনোদনমূলক কর্মকান্ডই এর মূলে রয়েছে। অপরাধী বাবা-মার সন্তানের কথা চিন্তা করেই এ কারাগার প্রতিষ্ঠিত  হয়েছে।

 

বহুমাত্রিক নরওয়ের হলডেন কারাগার

২০১০ সালে নরওয়েতে হলডেন কারাগারের যাত্রা শুরু হয়। টাইম ম্যাগাজিন এ কারাগারকে বলে আয়েশী সংশোধন কেন্দ্র। কয়েদিদের ঘরগুলো নানা রঙে রাঙানো। থাকার ঘরগুলোর সঙ্গে এটাচট গোসলখানায় লাগানো আছে দামি সিরামিক টাইলস। বড় পর্দার টিভি, ফ্রিজ, দামি দামি আসবাবপত্র দিয়ে তাদের রুমগুলো গোছানো। জেলে থাকা মানুষগুলো যেন বুঝতেই না পারে তারা জেলে আছেন। তাই তাদের ঘরের জানালায় কোনো গ্রিল বা লোহার শিক নেই। কারারক্ষীদের দুর্ব্যবহার যেন বন্দীদের ওপর খারাপ প্রভাব না ফেলে তাই আলাদা কোর্স করানো হয় কারারক্ষীদের। হলডেন কারাগারের অর্ধেক কারারক্ষীই নারী। নানা অপরাধ করে জেল খাটতে আসা বন্দীদের জন্য রয়েছে সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা। তাদের জন্য আধুনিক হাসপাতাল দেখলে অনেকেই বিস্মিত হবেন। রয়েছে সিনেমা হল। বাস্কেটবলসহ খেলাধুলার জন্য আলাদা কোট, মাঠ। কারারক্ষীদের বেশির ভাগেরই হাতে কোনো অস্ত্র নেই। জীবনযাপন এখানে খুবই স্বাভাবিক। বন্দীদের জেলজীবন যখন শেষ হয়, বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাদের প্রায় সবাই বলেন,  এখানে (জেলে) তো আরাম-আয়েশেই ছিলাম!

 

রয়েছে ব্যক্তিগত কাঠের কটেজ

না কোনো ধনকুরের বিলাসী রিসোর্ট নয় এটি। এমনকি কোনো উদ্যানও নয়, এটি নরওয়ের বেসটয় কারাগার। বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন এখানে অপরাধীরা। নানা ধরনের ছোট-বড় সামাজিক অপরাধ করেছেন, মামলা খেয়েছেন, বিচারের রায়ও হয়েছে, জেলে থাকতে হবে- এমন কয়েদিরাই আছেন এখানে। কিন্তু এ বন্দী জীবনে এসে পেয়েছেন তারা বিলাসী জীবন। অবাক হবেন এ কারাগারে থাকা কয়েদিদের বন্দী জীবন কাটাতে দেওয়া হয় কাঠের তৈরি আলাদা আলাদা কটেজ। কটেজে ডিশ টিভি চ্যানেলে নাটক দেখার ব্যবস্থার সঙ্গে রয়েছে আলাদা সাউন্ড সিস্টেম। কারাগারটি করা হয়েছে দ্বীপের কাছাকাছি। চমৎকার শান্ত লেকের পাশে শীতের সকালে উষ্ণ রোদ পোহাতে পোহাতে ল্যাপটপে গান শুনতে পারেন কয়েদিরা। চাইলে মাছ ধরতে চলে যেতে পারেন লেকে। আছে ঘোড়া নিয়ে একটু দৌড়ে আসার সুযোগ। বরফে স্কি করতে যেতে পারেন।  কে আর ‘না’ করবে?

 

বেচা-বিক্রিতে ব্যস্ত সবাই

বলিভিয়ার স্যান পেদ্রো কারাগারটি যেন রূপকথার কোনো জায়গা। যে কারও চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। প্রধান ফটক পেরিয়ে ভিতরে গেলেই চোখে পড়বে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করছে, মার্কেটে বেচা-বিক্রিতে ব্যস্ত সব দোকান, রেস্তোরাঁ, হোটেল সবই আছে এখানে।

এ জেলখানায় নেই কোনো প্রহরী, নির্দিষ্ট কোনো পোশাক, এমনকি জানালায় লোহার গরাদও নেই এ জেলখানায়। সেলগুলোতে আছে ব্যক্তিগত গোসলখানা, রান্নাঘর, এমনকি টিভিতে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি চ্যানেল দেখার সুযোগ। তবে এ জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়। এ জন্য তাদের সবাইকে জেলখানার ভিতরে বিভিন্ন দোকানে কাজ করে আয়  করতে হয়।

 

কয়েদিদেরপ্রাইভেট কারাগার

সুইডেনের সলেনটুনা কারাগারকে অনেকে বলেন কয়েদিদের প্রাইভেট কারাগার। কারণ আর কিছুই নয়। এই জেলখানা আসলে আলাদা আলাদা অ্যাপার্টমেন্টে থাকার মতো। ঘরগুলোর ভিতরে সুন্দর বাথরুম, বিছানা, পড়ার টেবিল, টিভি সবই রয়েছে। হুট করে এই ঘরগুলোয় কেউ ঢুকে পড়লে মনে হবে বন্ধুর বাড়িতে ভুল করে ঢুকে পড়েছেন। আপনার থাকার রুমের চেয়ে কোনো দিক থেকেই কম নয় এটি। তাই ‘জেলখানা’ শব্দটিকে এড়িয়ে যাওয়াই সহজ। ছবিতে সলেনটুনা কারাগারে এক কয়েদির রুম দেখা যাচ্ছে। কম্পিউটার আর বই সাজানো ঘরের দেয়ালে গিটার দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এ রুমের বন্দী গান গাইতে পছন্দ করেন বলেই তার ঘরে গিটারের দেখা মিলল। অন্য ঘরগুলোর ছবি খুঁজে দেখতে পারেন ইন্টারনেটে। যে বন্দী ছবি আঁকতে পছন্দ করেন তার ঘরটা দেখলে মনে হবে কোনো চিত্র প্রদর্শনীতে হাজির হয়েছেন। এ জেলখানা বা অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে থাকার ঘর ছাড়াও রয়েছে আলাদা ড্রয়িংরুম। বড় রান্নাঘর। টিভি-সিনেমা দেখার জন্য আলাদা হলরুম। ঘরে ঘরে টিভি ও আরামদায়ক চেয়ারও রয়েছে। জানালা খুলে বাইরের আলো-বাতাস খেতে মানা নেই। ব্যায়ামাগারে বন্দীরা ব্যায়ামে ব্যস্ত। যারা বাগানে কাজ করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য রয়েছে সে সুযোগও। সব মিলিয়ে সলেনটুনায় কয়েদি কখনই নিজেকে বন্দী মনে করেন না। উল্টো মনে হবে কয়েক দিনের জন্য  বেড়াতে এসে রেস্টে আছেন।

 

কারাগার যেন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

কারাগার না বলে একে সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলাই ভালো। নিউজিল্যান্ডের ওতাগো কারেকশন ফ্যাসিলিটি সত্যিকার অর্থেই কয়েদিকে ‘সংশোধন’ করে তবেই ছাড়ে। এখানে আসা কয়েদিদের অনেকেই পরবর্তীতে নিজ নিজ জীবনে সফল ও ধনী হয়েছেন। এই কারাগারে বন্দীদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ওপর নজর দেওয়া হয়। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অপরাধে দন্ডপ্রাপ্তদের নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখানো ও প্রশিক্ষিত করে তোলাই তাদের লক্ষ্য। সেফ বা রান্নার কাজ, গরু-ভেড়া, হাঁস-মুরগি লালন-পালন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ নানা ধরনের কাজে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে এটাই এই কারাগারকে আলোচনায় এনেছে এমনটিই মনে হয়। এই কারাগারে তিন বেলা পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে রয়েছে তিন বেলা নাশতা। এসব সুস্বাদু খাবারের তালিকায় চকোলেট, পিজা কী নেই! থাকার ঘরগুলোও পরিচ্ছন্ন। গোসলখানা দেখে অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবে না, এটা কোনো কারাবন্দীর গোসলখানা- এতটাই দামি ফিটিংস লাগানো। বিনোদনের জন্য রয়েছে আলাদা খেলার জায়গা। খেলাধুলায় যারা ভালো তাদের খেলার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। কারারক্ষীরা কখনই বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন না। কোনো সমস্যা হলে বা কোনো বন্দী উৎপাত করলে তাকে কোনো ধরনের শাস্তি বা শাসনের পরিবর্তে পাঠানো হয় মানসিক  ডাক্তারের কাছে।

 

বন্দীদের অতিথিরাও পায় চা নাশতা পানীয়

বিশাল ডাইনিংয়ে পছন্দমতো দামি খাবার, সুইমিংপুলে গোসল করা, সিনেমা হল, শপিংয়ের ব্যবস্থা, ঘরে বিশাল এলইডি টিভি, সাউন্ড সিস্টেম, বিলাসবহুল বিছানা আর সাজানো-গোছানো বাথরুম- এ সবকিছুর ছোঁয়া পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ার পন্দোক ব্যাম্বু প্রিজন বা কারাগারে। ‘ফাইভ স্টার জেলখানা’ বলে লোকজন যে বলাবলি করে তা কিন্তু একেবারেই ছুড়ে ফেলার মতো নয়। এ কারাগারে একটি সেলই রয়েছে এসব বিলাসী আয়োজনের। ফ্যামিলি সেল হিসেবে ব্যবহৃত এই জেলখানা যেখানে বন্দীরা স্বাভাবিক, সাধারণ ফ্যামিলি টাইম বা পারিবারিকভাবে সময় কাটাতে পারেন। অতিথিরা বন্দীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের জন্য চা-বিস্কুট নাশতার পাশাপাশি মেলে পানীয়, মদ-ওয়াইন। তাদের সঙ্গে বসে ড্রয়িংরুমে আড্ডাও দেওয়া যায়। বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে একান্তে সময় কাটাতে চাইলেও আপত্তি নেই। ঘরে রয়েছে ‘কারাওকি সিস্টেম’, মানে চাইলে উচ্চৈঃস্বরে নাচ-গান বাজনাও করতে পারেন। এ কারাগারের বেশির ভাগ বন্দীই শীর্ষ অস্ত্র অথবা মাদক ব্যবসায়ী। অনেকে ঘুষ খেয়ে ধরা খেয়েও আসেন এখানে। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক এই ধনকুবের বন্দীরা কারাগারকে উল্টো রঙ্গশালা বানিয়ে বসেন। দুই তলা নিজস্ব ভিলা বা বিলাসী প্রাসাদের মতো থাকা ঘরগুলোতে যখন বন্দীদের দেখতে আসেন অতিথিরাই উল্টো ভিরমি খেয়ে যান তাদের বিলাসী জীবন দেখে। অনেকেরই বিশ্বাস হবে না,  তারা আসলে এখানে জেল খাটছেন!

সর্বশেষ খবর