সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নতুন নকশায় বর্তমান শহীদ মিনার

নান্দনিক পরিকল্পনার পুরোটা বাস্তবায়ন হয়নি

রকমারি ডেস্ক

নতুন নকশায় বর্তমান শহীদ মিনার

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শহীদ মিনার পুনরায় নির্মাণের জন্য কমিটি গঠিত হয়। তাঁরা ১৯৬৩ সালের নকশার ওপর ভিত্তি করে দ্রুত এর কাজ সম্পন্ন করতে চান। পরে ১৯৭৬ সালে নতুন নকশা অনুমোদিত হয় শহীদ মিনারের জন্য। সেটিও সম্পূর্ণভাবে প্রয়োগ করা হয়নি। নতুন নকশা অনুসারে, ১৫০০ বর্গফুটের ভিত্তির ওপর চারটি ক্ষুদ্র ও একটি বৃহৎ কলাম মা ও তাঁর ভূপতিত সন্তানদের নির্দেশ করে। এর পেছনে থাকবে একটি লাল সূর্য। এগুলো নির্মিত হয়েছিল উজ্জ্বল মার্বেল পাথর দ্বারা। সিঁড়িতে ব্যবহার করা হবে সাদা রং যা একটি শুভ্র সৌম্য সৌন্দর্য এনে দেবে। প্রাচীরে রং করে লেখা থাকবে বিখ্যাত কবিদের কবিতা। তাড়াহুড়োর কারণে এই পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। নির্মাণকালে কলামগুলোর দৈর্ঘ্য পরিকল্পনা অনুসারে ধার্যকৃত দৈর্ঘ্যরে থেকে কম হয়ে যায় এবং মুখ্য তথা বৃহৎ কলামটির মাথা পরিকল্পনার চেয়ে বেশি বাঁকানো করে তৈরি করা হয়। পাশাপাশি মিনারের নানা অংশের কাজও যথার্থভাবে করা হয়নি। অতঃপর আশির দশকে মুখ্য স্থপতি এস এইচ এম আবুল বাশারের নেতৃত্বে শহীদ মিনারের এলাকা সম্প্রসারণ করে ত্রিকোণ থেকে চতুর্ভুজাকার করা হয়। এই নতুন পরিকল্পনায় হামিদুর রহমানের নকশার দেয়ালচিত্র পরিকল্পনা বাতিল ও বেজমেন্টের অংশটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৩ সালে শহীদ মিনার বর্তমান রূপ পায়, দেয়ালের কিছু ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়। সে সময়ের পরিকল্পনা অনুসারে, শহীদ মিনার এলাকায় একটি জাদুঘর ও পাঠাগার নির্মাণেরও কথা ছিল। ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট হাই কোর্ট শহীদ মিনারের ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণার্থে ৯টি নির্দেশনা এবং জাদুঘর ও পাঠাগার নির্মাণের নির্দেশ দেয়। বর্তমান শহীদ মিনারের উচ্চতা ১৪ মিটার (৪৬ ফুট)। 

 

সর্বশেষ খবর