রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা সংকট কাটিয়ে বিশ্বমিডিয়া

সাইফ ইমন

করোনা সংকট কাটিয়ে বিশ্বমিডিয়া

বন্ধের পর আগের গতিতে নিউইয়র্ক টাইমস

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খ্যাতি আকাশচুম্বী। কিন্তু গত বছর হঠাৎ আসা করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের মতো নিউইয়র্ক টাইমসও কঠিন সময় পার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বাসা থেকেই অফিস করেছেন। আর যারা বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন তারাও পরিস্থিতির কারণে হেড অফিসের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখতে সক্ষম হননি এত দিন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির হেড অফিস সেপ্টেম্বরের পরপরই খোলে। এর আগে কয়েক মাস ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পরিকল্পনায় কাজ করেছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ও জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমটি বর্তমানে ছাপানো পত্রিকার চেয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সংকট কাটিয়ে সব  মাধ্যমেই সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে নিউইয়র্ক টাইমস।

 

সার্কুলেশন আবারও বাড়ছে ইয়োমিউরি শিমবুনের

জাপানি ভাষায় প্রকাশিত দৈনিক ‘দ্য ইয়োমিউরি শিমবুন’। বিশ্বের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক এটি। ২০০২ সালের জানুয়ারি থেকে সকাল-সন্ধ্যা দুবার মিলিয়ে ১ কোটির ওপরে পত্রিকাটি ছাপানো হচ্ছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী সকাল-সন্ধ্যা মিলিয়ে ১ কোটি ৩৫ লাখ পত্রিকা প্রকাশিত হয় শিমবুনের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে পত্রিকাটির সার্কুলেশন কমে যাচ্ছিল প্রতিনিয়ত। কমিয়ে আনা হয়েছিল সাপ্লিমেন্টের সংখ্যাও। তবে বছরের শুরু থেকে সার্কুলেশন বেড়েছে পত্রিকাটির। জাপানিজ মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ইয়োমিউরি গ্রুপ থেকে প্রকাশিত হয় দ্য শিমবুন। এর প্রধান কার্যালয়গুলো জাপানের ওটিমাচি, চিওদা এবং টোকিওতে অবস্থিত। ১৮৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পত্রিকাটিতেও পড়েছে করোনার প্রভাব। বলা হয়ে থাকে, জাপানের অন্যতম অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষক এ পত্রিকাটি। ১৯২৪ সালে শোরিকি মাতসুতারো কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়ার পর পত্রিকাটির মোড় ঘুরিয়ে ফেলেন চমকপ্রদ নিউজ কাভারেজ,  পুরো পৃষ্ঠায় রেডিও অনুষ্ঠান গাইড যুক্ত করে।

 

আগের অবস্থানে ফিরছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইংরেজি ভাষার আন্তর্জাতিক পত্রিকা, যেখানে মূলত ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতির খবর প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে ভো জোন্সের কোম্পানি; যা বিশ্ববিখ্যাত নিউজ করপোরেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়াও এশিয়ান এবং ইউরোপভিত্তিক সংখ্যাও প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকাটি মার্কিন মুলুকে সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক। করোনা পরিস্থিতিতে এ পত্রিকাটিও পড়ে চরম সংকটে। এর অনলাইন সাবস্ক্রাইবার বাড়লেও পত্রিকাটি আগের মতো বিজ্ঞাপন পাচ্ছিল না। তবে নতুন করে সার্কুলেশন বাড়ছে কয়েক গুণ। এমন পরিস্থিতিতে পত্রিকাটিও নতুন করে নিজেদের ঢেলে সাজিয়েছে। এনেছে নতুনত্ব। আউট ব্যুরো অব সার্কুলেশনের মতে, প্রতিদিন প্রায় ২৪ লাখ কপি প্রকাশিত হতো। এখন যা করোনার আঘাতে কমে অর্ধেকেরও নিচে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তা আবার আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পত্রিকাটির অনলাইন সাবস্ক্রাইবার  করোনার সময়েও বেড়েছে, এখনো বাড়ছে।

 

বিক্রি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডেইলি মিরর, এক্সপ্রেসের

যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী ট্যাবলয়েড ডেইলি মিরর, ডেইলি এক্সপ্রেস ও ডেইলি স্টার (ইউকে) পত্রিকা থেকে সাড়ে ৫০০ কর্মী ছঁাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ এই করোনাকালে। কারণ হিসেবে জানানো হয়, পত্রিকার বিক্রি কমে গেছে অর্ধেকের বেশি। ফলে প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় কর্মী ছাঁটাইয়ের।

ডেইলি মিরর ও ডেইলি এক্সপ্রেস ছাড়াও একই মালিকের ডেইলি স্টার (ইউকে), ওকে! ম্যাগাজিন রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও বিক্রি বেড়েছে পত্রিকাগুলোর। পত্রিকাগুলোর বিক্রি ও বিজ্ঞাপন থেকে আয় অনেক কমে গেলেও আগের অবস্থানে ধীরে ধীরে ফিরে আসছে; যা আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইও জিম মুলেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শুধু করোনাভাইরাসের কারণেই নয়, ২০১৯ সালেও আয় ১৩ শতাংশ কমেছিল। তবে ব্যয় সংকোচন করে ধাক্কা সামলে নিয়েছিল।  এবার করোনা মহামারীর ধাক্কাও কাটিয়ে উঠছে তারা।

 

কঠিন সময় পেরিয়ে ভালো অবস্থানে আনন্দবাজার পত্রিকা

বাংলা ভাষার প্রাচীনতম সংবাদপত্র কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। করোনায় পত্রিকাটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এর প্রধান সম্পাদক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন করোনা মহামারীর মধ্যেই। এরপর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন বার্তা সম্পাদক ঈষানী দত্ত রায়। ভারতের প্রভাবশালী এবিপি গ্রুপের মালিকানায় থাকা এই পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদ থেকে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মালিকপক্ষ। বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মহামন্দা মোকাবিলায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানানো হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন অনির্বাণ। কিন্তু বোর্ড অব ডিরেক্টরস তাঁর এই বিরোধিতা আমলে না নিয়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় তিনি সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তবে আবারও বছরের শুরুতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।  সার্কুলেশন, অনলাইন সাবস্ক্রাইবার সবই বাড়ছে প্রতিনিয়ত।  

 

আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠছে দেড় বছরের সংবাদমাধ্যম

১৬৩ বছরের পুরনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিন’। এতগুলো বছর প্রতিষ্ঠানটি জনগণের ভালোবাসা ধরে রেখেছিল। কিন্তু গত বছর কভিড-১৯ মহামারীর কারণে কমে যায় ম্যাগাজিনটির সার্কুলেশন। বিজ্ঞাপনও পাচ্ছিল না আগের মতো। ফলে আর্থিক সংকটে পড়ে ১৬৩ বছরের পুরনো এই মার্কিন সংবাদমাধ্যম। ফলে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় কর্মী ছাঁটাইয়ের। ‘দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিন’ তাদের ৬৮ কর্মী ছঁাঁটাই করেছে এরই মধ্যে। তবে এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন এসেছে। আবার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এত বছর ধরে পাঠকের ভালোবাসায় সিক্ত পত্রিকাটির কার্যক্রম আবারও নতুন উদ্যমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সার্কুলেশন বাড়ছে। যদিও আগের অবস্থানে ফিরে যেতে আরও সময় লাগবে। প্রাথমিক সংকট কাটিয়ে উঠেছে তারা। তবে শুধু এটিই নয়, ভাইস, বাজফিডসহ অনেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম আর্থিক সংকটে পড়ে কর্মী ছঁাঁটাই, বেতন কমানো ও বিনা বেতনে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছিল। আর্থিক সংকটে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত অনলাইন নিউজ কোম্পানি বাজফিড নিউজ যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় তাদের প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছিল।  কিন্তু সেই অবস্থান থেকে সংবাদমাধ্যমগুলো আগের অবস্থানে ফিরে যেতে চেষ্টা করছে।

 

বিজ্ঞাপন বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল টাইমসের

যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল টাইমস পত্রিকায়ও আঘাত আসে করোনা মহামারীর। পত্রিকাটির বিজ্ঞাপন কমে যায় ৫০ ভাগ। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল টাইমস পত্রিকার সিএফও অ্যালান ফিসকো বলেছিলেন, সত্যি বলতে কি বিনোদন-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন নেই, রেস্টুরেন্টগুলোর বিজ্ঞাপন উঠে গেছে, অটোমোবাইলসের বিজ্ঞাপনও বন্ধ হওয়ার পথে- যার প্রভাব পড়বেই। শেষ রক্ষা হবে বলে মনে করছেন না প্রতিষ্ঠানটির অর্থবিষয়ক প্রধান। মিডিয়ার ওপর মহামারী করোনাভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী হবে এখনই খুব স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। যদিও এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভিন্ন। আবারও স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে জনজীবন। বিনোদন বিজ্ঞাপন, রেস্টুরেন্টগুলোর বিজ্ঞাপন আবারও বাড়ছে যতই দিন যাচ্ছে। অটোমোবাইলসের বিজ্ঞাপনও আবার শুরু হয়েছে। ফলে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠছে সিয়াটল টাইমস। যদিও এই ভাইরাসের শেষ এখনো হয়নি। তবে বিশ্বমিডিয়া ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। অ্যালানের মতে, এখন কনটেন্টের ওপর নির্ভর  করছে করোনার প্রভাব বেশি না কম।

 

১০ লাখ সার্কুলেশন জনপ্রিয় দৈনিক আল আহরামের

দৈনিক আল আহরাম আরব বিশ্বের অন্যতম পুরনো পত্রিকা। মিসর থেকে প্রকাশিত আরবি ভাষার ব্রডশিট পত্রিকা এটি। পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭৫ সালে। প্রতিদিনের সার্কুলেশন ১০ লাখ কপি; যা নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়। এর প্রকাশক আল আহরাম পাবলিশিং হাউস। ১৯৫২ সালের অভ্যুত্থানের পর জামাল আবদেল নাসের পত্রিকাটিকে জাতীয়করণ করেন। করোনার প্রভাব পড়ে এখানেও। তবে এই পত্রিকাটি অন্য সব পত্রিকার মতো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বরং অনেকের চেয়ে অনেক আগেই সংকট কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। আর তা সম্ভব হয়েছে আপদকালীন ফান্ডের কারণে। বিজ্ঞাপনের ক্ষতি পুষিয়ে আবারও পুরনো সার্কুলেশনে ফিরে এসেছে সংবাদমাধ্যমটি। এই পত্রিকাটি মিসরের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক। ১৮৭৫ সালে লেবাননের দুই ভাই বেশারা তাকিয়া ও সালিম তাকিয়া আল আহরাম প্রতিষ্ঠা করেন। তারা ওই সময় আলেকজান্দ্রিয়ায় বসবাস করতেন। প্রথমে সাপ্তাহিক হিসেবে প্রতি শনিবার এটি বের হতো। কিন্তু দুই মাস পর দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আল আহরাম। তাকিয়া ভাইয়েরা এটিকে দৈনিক পত্রিকায় রূপ দেন।

 

আর্থিক ঘাটতি কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন

করোনা মহামারীর প্রভাব পড়ে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমেও। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (এবিসি) প্রায় আড়াই শ কর্মীকে ছাঁটাই করে। অস্ট্রেলিয়া সরকার এবিসির জন্য বরাদ্দ বাজেট কর্তন করার সিদ্ধান্তের পর এ তথ্য জনসম্মুখে আসে। এবিসির প্রতিটি বিভাগ থেকেই লোক ছাঁটাই করা হয়। বন্ধ হয়ে যায় কিছু জনপ্রিয় প্রোগ্রাম এবং ওয়েবসাইট। করোনায় সম্প্রচারমাধ্যমটি মোট ৫৮ মিলিয়ন ডলার ঘাটতিতে পড়ে যায়; যা মেটাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। যদিও আগেই ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার কনজারভেটিভ সরকার তিন বছরের ইনডেক্সেশন ফ্রিজ ঘোষণা করেছিল। ফলে করোনা পরিস্থিতিতে সংকট আরও বৃহৎ আকার ধারণ করে।  এই পরিস্থিতিতেও আর্থিক ঘাটতি কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন এগিয়ে চলছে।

 

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বিবিসি নিউজ

যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিখ্যাত গণমাধ্যম বিবিসি নিউজরুমের কয়েক শ কর্মীকে ছাঁটাই করার ঘোষণা দেয় গত বছরের শুরুতে। এতে করপোরেশনটির ৮ কোটি পাউন্ড বা ৮৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে করোনাকালীন সংকট কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বিবিসি নিউজ। করপোরেশনটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচিভিত্তিক কাজের বদলে কেন্দ্রীভূত টিম পরিচালনা করছে।  বিবিসি দৈনিক বিভিন্ন ধরনের শতাধিক সংবাদ প্রচার করছে। বর্তমানে শ্রোতা ও পাঠকদের সংবাদ সম্পর্কে অভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে। কর্মী ছাঁটাই করায় ৮ কোটি পাউন্ড সাশ্রয় হয়েছে, যা বিবিসির মোট ব্যয় সাশ্রয় পরিকল্পনার অর্ধেক। বিবিসির ফ্রান বলেন, আমরা এমন একটি নিউজরুম করব, যা অতীতের মতো হবে না, ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাবে। টেলিভিশন ও রেডিওতে প্রচলিত দর্শক-শ্রোতা কমছে। তাই নতুন করে নিজেদের সময়োপয়োগী করে তোলার চেষ্টায় রয়েছে বিবিসি নিউজ।  এভাবেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিবিসি।

সর্বশেষ খবর