সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা যুদ্ধে এগিয়ে যে দেশগুলো

জামশেদ আলম রনি

করোনা যুদ্ধে এগিয়ে যে দেশগুলো

করোনার সঙ্গে লড়ছে বিশ্ব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, টিকা প্রয়োগ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা কৌশল প্রয়োগ করে ইতিমধ্যে লড়াইয়ে খানিকটা এগিয়ে আছে বিশ্বের কিছু দেশ। এ দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ কমে এসেছে। কিছু দেশে নতুন রোগী শনাক্ত হলেও পরিস্থিতি রয়েছে নিয়ন্ত্রণে।  স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ করোনার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কভিড-১৯ মহামারীর সঙ্গে দেশগুলোর প্রশংসনীয় পদক্ষেপ অনুসরণ করছে বেশি সংক্রমিত দেশগুলো।  সংক্রমণ কমিয়ে রাখতে সক্ষম দেশগুলো নিয়ে আজকের রকমারি...

 

তাইওয়ান

২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশ তাইওয়ানে ১ হাজার ১০০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।  দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১২ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

চীনে করোনাভাইরাস আবির্ভাবের পর ধারণা করা হয়েছিল চীনের মূল ভূখন্ডের বাইরে তাইওয়ানে সবচেয়ে বেশি মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। আশ্চর্যজনক বিষয় হলো- মহামারীর দেড় বছর পার হলেও কভিড-১৯ প্রতিরোধে বিশ্বের সফল দেশগুলোর শীর্ষে তাইওয়ান। দেশটি কভিড-১৯ শনাক্তে প্রযুক্তির ব্যবহার করেছিল এবং তারা আজও তা করে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারী হওয়ার আগে দেশটির প্রশাসন নাগরিকদের সচেতন করে তোলে এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে। মহামারী মোকাবিলায় ল্যাব পরীক্ষায় যথেষ্ট কিট মজুদ রেখেছিল। পাশাপাশি তারা সবাইকে ভাইরাস কিট বাক্স সঙ্গে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের সবার টেম্পারেচার অনলাইনে প্রতিনিয়ত আপডেট করা বাধ্যতামূলক করে। দেশটির কোনো নাগরিক করোনা পজিটিভ হলে তাৎক্ষণিক তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়। ২০০৩ সালে দেশটিতে সার্স ভাইরাস মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আজ বিশ্বের বুকে কভিড-১৯ প্রতিরোধে সফল দেশ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। দেশটির জনগণও ঐক্যবদ্ধ থেকে করোনার বিরুদ্ধে  লড়াইয়ে সরকারের নেওয়া সব ব্যবস্থা নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে চলছে।

সিঙ্গাপুর

৫৭ লাখ জনসংখ্যার দেশ সিঙ্গাপুরে ৬১ হাজার ৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।  এখন পর্যন্ত ৩০ জন ভাইরাসে মারা গেছেন।

সময়মতো প্রস্তুতি, গণহারে পরীক্ষা, সংক্রমণ শনাক্ত আর সৌভাগ্যের কারণেই কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে সিঙ্গাপুর। চীনে প্রথম রোগটি ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটির সরকার অবিলম্বে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আরও কড়াকড়ি করে দিয়েছিল। এটি স্পষ্ট যে, জনসাধারণের কারণেই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পরও সিঙ্গাপুরে মৃত্যুর হার এত কম কেন তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। দেশটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ লিওং হো বলেছেন, জনসংখ্যার গড় বয়স দেশের মৃত্যুর হারকে ‘দুর্বল’ করে। কেননা সিঙ্গাপুরে বেশির ভাগ কম বয়সী মানুষ। প্রকৃতপক্ষে দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি বেতনের বিদেশি কর্মীরা ছাত্রাবাসে বসবাস করছেন। গত বছর দেশটির সরকার ঘোষণা করেছিল, সাত বছরের বেশি বয়সের শিক্ষার্থীদের অবশ্যই রাজ্যের যোগাযোগ-ট্রেসিং অ্যাপ্লিকেশন ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে;  যা সংক্রমণ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

 

নিউজিল্যান্ড

৪৮ লাখ জনসংখ্যার দেশ নিউজিল্যান্ডে ২ হাজার ৬০১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।  দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৬ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

নিউজিল্যান্ড কভিড-১৯ প্রতিরোধে কোনো সময় নষ্ট করেনি। অজানা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় স্বাস্থ্য সমন্বয় কেন্দ্র (এনএইচসিসি) গঠন করে। পাশাপাশি ১৯৫৬ সালের স্বাস্থ্য আইন অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করে। দেশটির সুরক্ষা আইন অনুযায়ী দেশটিতে প্রথম দুজনের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর যখন জানা গেল কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভঙ্গের জন্যই এটা ঘটেছে- তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। দেশটির সরকার কভিড-১৯ নির্মূলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০২০ সালের মার্চে দেশটির সরকার চার স্তরবিশিষ্ট সতর্কতা ব্যবস্থা জারি করে। এর আওতায় জারি করা হয় দেশব্যাপী সার্বিক লকডাউন, সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়। চালু থাকে কেবল জরুরি সেবা। পাশাপাশি দেশটির কোনো নাগরিক সংক্রমণপ্রবণ দেশ থেকে ফিরলেই তাকে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হতো। নিউজিল্যান্ডে প্রথম লকডাউনের বছর পেরিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ আগে দেশটিতে দুই মাসের মধ্যে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ভ্রমণ স্থগিত করা হয়। এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আকল্যান্ডের কেন্দ্রীয় শহরকে আংশিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল। সে সময় একজনের করোনা  সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

 

আইসল্যান্ড

স্বল্প জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ডের সাফল্য নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর। প্রথম দিকের নজরদারি ও পদক্ষেপও সংক্রমণ রোধে ব্যাপক সহায়তা করেছে দেশটির। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বেশির ভাগ দেশের তুলনায় তারা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিল। সরকার জরুরি স্বাস্থ্য সুুরক্ষা কমিটির মাধ্যমে দেশটিতে করোনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। দলটি করোনা রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং তাদের সংস্পর্শে থাকা লোকদের সন্ধান করবে। ফলস্বরূপ, দেশটি এখনো বড় ধরনের লকডাউনের সম্মুখীন হয়নি। দেশটির সফলতার মূল কারণ সেখানকার জনগণ ঘরেই অবস্থান করেছেন। ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছিল, সরকার কভিড-১৯ আক্রান্ত ওই ব্যক্তির সম্পূর্ণ আর্থিক ভার বহন করেছিল।

 

অস্ট্রেলিয়া

লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় অস্ট্রেলিয়ায় করোনা পরস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সর্বশেষ খবরে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের রাজধানী পার্থে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সেখানে লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে পার্থ এবং পিল অঞ্চলে তিন দিনের লকডাউন জারি করেছে রাজ্য সরকার। এ লকডাউনে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পার্থ। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৬৬১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৯১০ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৬ হাজার ৪৭৩ জন। এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

 

ইসরায়েল

৯০ লাখ জনসংখ্যার দেশ ইসরায়েলে ৮ লাখ ৩৮ হাজার জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ৬ হাজার ৩৫০ জন মারা গেছেন।

করোনা প্রতিরোধে সফলতা দেখাল ইসরায়েল। দেশটিতে করোনাভাইরাসে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এখন শূন্যে নেমে এসেছে। শনিবার এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। দেশটিতে গত ১০ মাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে। সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণের ফলে করোনা মোকাবিলায় তারা সফলতা পেয়েছে। বিশ্বের মধ্যে ইসরায়েলে টিকাদানের হার সর্বোচ্চ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৯০ লাখ জনসংখ্যার ৫৯ শতাংশ মানুষকে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৫৪ শতাংশ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউলি এডেলস্টাইন বলেন, ইসরায়েলি জনগণ ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য এটা অভাবনীয় সাফল্য। একসঙ্গে আমরা করোনাভাইরাস নির্মূল করছি। গত সপ্তাহে দেশটির বৃহত্তম হাসপাতাল শেবা মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক আইয়াল লেশেম জানান, তারা হার্ড ইমিউনিটির প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। দেশটি এখন স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে শুরু করেছে। ঘরের বাইরেও সে দেশে আর মাস্ক পরা জরুরি নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে। অনেক হোটেল রেস্টুরেন্টে সিট পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠতে শুরু করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। থিয়েটার, খেলাধুলাও চালু করা হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় বিধিনিষেধ রয়েছে।

 

দক্ষিণ কোরিয়া

৫ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় ১ লাখ ১৯ হাজার জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮১৩ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা পরিস্থিতির বেশ অগ্রগতি হয়েছে। দেশটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ক্রমাগত কমছে। রবিবার কোরিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (কেসিডিসি) জানায়, সর্বশেষ ৬৪৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে মোট করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু যথাক্রমে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৮৭ এবং ১ হাজার ৮১৩। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৪৭৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮ হাজার ৫৯৯ জন। শনিবার দেশটি জানায়, ফাইজারের সঙ্গে ৪০ মিলিয়ন ডোজ করোনা টিকা ক্রয়ের চুক্তি সই করেছে দেশটি। ৫ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার ২২ লাখ মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। যা মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ। নভেম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চায় দেশটি। দেশটি ইতিমধ্যে ১৯২ মিলিয়ন ডোজ টিকা নিশ্চিত করেছে যা দিয়ে দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় দ্বিগুণু মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব।

গত বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার করোনাভাইরাসের চিত্র ছিল ভয়ানক। তখন সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়াতে শুরু করে। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামাল দেয় দেশটি। ফলে এই মুহূর্তে নতুন রোগী কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় জীবনও ক্রমশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।

 

থাইল্যান্ড

সারা বিশ্বে চীনের বাইরে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে তড়িৎগতিতে ব্যবস্থা নেয় দেশটি। বিদেশফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন শতভাগ বাস্তবায়নসহ, কন্টাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশন সঠিকভাবে পালন করা হয়। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১১ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর সুফলও মিলেছে। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সফল দেশগুলোর একটি থাইল্যান্ড। দেশটিতে নতুন করে ২ হাজার ৪৩৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু যথাক্রমে ৫৫ হাজার ৪৬০ ও ১৪০। বর্তমানে সংক্রমণ আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বার, ডিস্কো ক্লাব ও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র। পাবলিক পার্ক, জিম, সুইমিং পুল, খেলার মাঠ বন্ধ রয়েছে।

 

ভিয়েতনাম

২০২০ সালে ভিয়েতনামে যখন প্রথম করোনা সংক্রমণ রোগী ধরা পড়েছিল, তাৎক্ষণিকভাবে দেশটি জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। সে সময় অনেক দেশ কোনো সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বিবেচনা করেনি। ভিয়েতনাম সরকার তখন বাইরের ভ্রমণে সতর্কতা জারি, গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা ও চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের পাশাপাশি সীমান্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাড়িয়েছিল। তখন তারা নতুন বছরে স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিল। যা ২০২০ সালের মধ্য মে পর্যন্ত জারি ছিল। এ ছাড়াও তাৎক্ষণিকভাবে শ্রম-নিবিড় যোগাযোগের ট্রেসিং অপারেশন চালু রেখেছিল জাতীয় সুরক্ষা কমিটি। দেশটির সরকার জানায়, আক্রান্তরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরবেন। আক্রান্তের হারও অন্য দেশের তুলনায় কম।

সর্বশেষ খবর