বুধবার, ২ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

মহামারী ঘিরে যত কুসংস্কার

সাইফ ইমন

মহামারী ঘিরে যত কুসংস্কার

ইতিহাসে সবসময়ই মহামারীর ধ্বংসযজ্ঞের সামনে মানুষ অসহায় হয়ে যায়। এর চেয়েও বেশি অসহায় হয়ে পড়ে যখন মহামারী ঘিরে বেড়ে ওঠে অসংখ্য অন্ধবিশ্বাস। অসুখ যত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে ঠিক তেমনি এসব বেড়ে ওঠা কুসংস্কারও ছড়িয়ে পড়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। বলা যায় মহামারী থেকেও দ্রুত ছড়ায় মানুষের অন্ধবিশ্বাস। অথচ জীবাণুই ছড়িয়ে পড়ে মহামারী সৃষ্টি করে; কুসংস্কারের টিনের চশমা দিয়ে নয়...

 

গুটিবসন্তে ছড়িয়ে পড়ে বহু অন্ধবিশ্বাস

স্মল পক্স বা গুটিবসন্ত অন্যতম প্রাণঘাতী রোগ। একটা সময় এই রোগের নাম শুনলে পিলে চমকে যেত মানুষের। শত শত মানুষ মারা যেত এই রোগে। পৃথিবীতে শেষবার স্মল পক্স বা গুটিবসন্তের বড় মাপের মহামারী হয়েছিল ১৯৭৪ সালে ভারতে। হাজার হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল সেই মহামারীতে। এটি মূলত ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত একটি ব্যাধি। তবে শুরু থেকে গুটিবসন্ত নিয়ে নানা কুসংস্কার সমাজে প্রচলিত। এসব কুসংস্কার ছড়িয়ে পড়ে গুটিবসন্তের চেয়েও দ্রুতগতিতে। যেমন- এ সময় মাছ, মাংস ইত্যাদি খাওয়া যাবে না। নিষেধের তালিকায় জুড়ে নেন চকলেট, ওটস, গমের আটা, নারিকেলও। এ ধারণা অমূলক। আসলে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির খাবারের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এ সময় পানিও প্রচুর পান করতে হবে। মুখের তালু ও অভ্যন্তরে পক্সের গুটি দেখা দেওয়ায় এ সময় ঝালযুক্ত খাবার কিংবা শক্ত খাবার না খাওয়ানোই ভালো। আবার বলা হয়ে থাকে ত্বকের ওপর সৃষ্ট শুকনো খোসাগুলো রোগের উৎস, এদের পুড়িয়ে ফেলতে হয়। সত্যটি হলো- ত্বকের ক্ষত কাঁচা অবস্থাতেই রোগটি সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সর্বাধিক। কথিত আছে, গুটিবসন্ত হলে গোসল করা যায় না। এটি বিজ্ঞানসম্মত নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, স্বাভাবিক পানি দিয়েই গোসল করা যাবে। এমন আরও অসংখ্য কুসংস্কার ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মাঝে।  যা মানুষ বিশ্বাস করে অসচেতন হয়ে পড়ে। তাই রোগ ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে।

 

কুসংস্কারের শেষ নেই করোনা নিয়ে

করোনা আসার পর পৃথিবী থমকে যায়। মানুষ হয়ে পড়ে অসহায়। এতটা অসহায় এই আধুনিক পৃথিবীতে আগে কখনো দেখা যায়নি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই প্রযুক্তিবান্ধব পৃথিবীতে বাস করেও মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে করোনা নিয়ে জেগে ওঠা অন্ধবিশ্বাসের কারণে। এর ফলে অসচেতন মানুষের মাধ্যমে বেগ পাচ্ছে মহামারী। যেমন গোমূত্র পান করলে বা গোমূত্র দিয়ে গোসল করলে করোনা ছড়ায় না এমন বিশ্বাস জন্ম নিয়েছে অনেকের মধ্যে। বিস্ময়করভাবে মানুষ তা পালনও করছে। এদিকে আবার কুসংস্কার রয়েছে থার্মাল স্ক্যানার নিয়েও। এটা দিয়ে নাকি করোনা শনাক্ত করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্তে থার্মাল স্ক্যানার কার্যকর নয়। শুধু জ্বর এলেই এটি রোগী শনাক্ত করতে পারে। অনেকে আবার করোনা চিকিৎসায় নিউমোনিয়ার ওষুধ ব্যবহারকে সমর্থন দিচ্ছে। এমনকি করোনা চিকিৎসায় নিউমোনিয়ার ওষুধ বেশ কার্যকর এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এরও বিরোধিতা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অনেকে বলছেন, প্রাণী থেকে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। এমন খবরে চীনের বিভিন্ন জায়গায় পোষা প্রাণী হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রাণী থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করলে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচা সম্ভব। হ্যান্ড ড্রাইয়ারও করোনা প্রতিরোধে কার্যকর নয়।  এর জন্য বারবার হাত ধোয়া জরুরি।

 

প্লেগ হবে শুধু ছোট জাত ছোটলোকের

১৩৩৪ সালের প্লেগ ছড়ায় চীন থেকে। এরপর ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে ছয় মাসে প্লেগে মারা যায় ৯০ হাজার মানুষ। পরবর্তী কয়েক বছরে এশিয়া-ইউরোপে মারা গেছে ৫ কোটি মানুষ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইঁদুরের খাদ্য ও প্রস্রাব থেকে এই ভয়াবহ রোগটি হয়েছে। উনিশ শতকের শেষভাগে কলকাতায় প্লেগ মহামারী আকারে দেখা দিয়েছিল। তখন কথা ছড়াতে লাগল ভদ্রলোকেরা নয়, পাপীরাই কেবল প্লেগে মরবে। প্লেগ হবে শুধু ছোটজাত ছোটলোকের। প্লেগ যখন ছড়াতে শুরু করল আবার কুসংস্কার ছড়াল যে, টিকা নেওয়ার ১০ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু নিশ্চিত। বলা হলো, এটা সাহেবদের ষড়যন্ত্র। পেট থেকে এক পয়সা মাপের মাংসখ- তুলে নিয়ে তার মধ্যে প্লেগের জীবাণু পুরে দেওয়া হয় যাতে রোগী জীবিত থাকলেও মরে যায়। এমন অনেক ভ্রান্ত বিশ্বাস ছড়িয়ে  পড়তে থাকে সর্বত্র।

 

ব্ল্যাক ডেথের সময় থেকেই শুরু হয় ষড়যন্ত্র

প্রশাসনিকভাবে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়ম চালু হয়েছিল ১৩০০ শতকে। পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়ঙ্কর মহামারী ব্ল্যাক ডেথের সময়। ব্ল্যাক ডেথের মতো আলোচিত মহামারী আর নেই। কৃষ্ণ সাগরের (ব্ল্যাক সি) উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো থেকে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল বিধায় একে ব্ল্যাক ডেথ বলা হয়। ১৩৪৭ খ্রিস্টাব্দের পর ব্ল্যাক ডেথ মহামারী ইউরোপকে গ্রাস করলে একে কেন্দ্র করে শুরু হয় অদ্ভুত একটি ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রের পেছনেও মাধ্যম ছিল মানুষের কুসংস্কার। যার প্রভাবেই ষোড়শ আর সপ্তদশ শতাব্দীতে ইউরোপে শুরু হয় উইচ-হান্টিং বা ডাইনি নিধনযজ্ঞ। মানুষের মন ছেয়ে যেতে থাকে কুসংস্কারের কুয়াশায়। তারা ধারণা করতে শুরু করে যে এটি নিশ্চয়ই শয়তানের কাজ। শুরু হয় শয়তানের প্রতিনিধিদের খুঁজে বের করে নৃশংসভাবে হত্যা করা।

 

চীনের প্লেগে কুসংস্কার আর ধর্মীয় কোন্দল

আগেই বলা হয়েছে প্লেগের ভয়াবহতা ১৩৩৪ সালে চীনে দেখা দেয়। শুরুটা চীনে হলেও মধ্য এশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশ পাড়ি দিয়ে ১৩৪৭ সালে প্রথম ইতালির সিসিলি হয়ে সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে এই মহামারী। এর তান্ডবে ১৫০ মিলিয়ন মানুষ পৃথিবী থেকে মুছে যায়। তখন বিশ্বের জনসংখ্যা ৪৫০ মিলিয়ন থেকে কমে ৩০০ মিলিয়নে নেমে আসে। মৃত্যুভয় ও আতঙ্কে মানুষ বিভিন্ন কুসংস্কার আর ধর্মীয় কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে। শ্রমিক সংকটে পণ্য উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় থেমে যায়। ফলে সমাজে ধনী-গরিবের শ্রেণিবিন্যাস বদলে যায়। অনেক ধনী মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। আবার অনেক গরিব মানুষ ধনী হতে শুরু করে। এভাবে নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির আবির্ভাব হয় এ মহামারী-পরবর্তী সময়ে। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় ধর্মীয় কোন্দল।  যার বলি হতে হয় মানুষকে।

 

স্প্যানিশ ফ্লুতে শুরুতে অবহেলা

১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সাল সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। ভয়াবহ এই মহামারীর তখন নাম দেওয়া হয় ‘স্প্যানিশ ফ্লু’। এটি ‘দ্য ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক’ নামেও পরিচিত। গ্রিক বিজ্ঞানী হিপোক্রেটিস প্রথম ২ হাজার ৪০০ বছর আগে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ লিপিবদ্ধ করেন। শুরুতে সবাই তেমন একটা পাত্তা না দেওয়ায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, স্পেন অথবা অস্ট্রিয়ার কোথাও কোথাও উৎপত্তি হয়ে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিশ্বে। সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে তৈরি হয় নানা প্রকার কুসংস্কার। ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ আক্রান্তদের বেশির ভাগই ছিল যুবক আর সুস্থ মানুষ। অনেক বিখ্যাত লেখক, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ মৃত্যুবরণ করেন। যদিও শুরুতে মানুষ অনেক আতঙ্কিত ও দিশাহারা ছিল। তবে মহামারী শেষ হওয়ার অল্পদিনের মধ্যে মানুষ সবকিছু ভুলে দ্রুত আবার নতুন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করে।

 

কুষ্ঠ রোগীরা পানিতে বিষ মিশিয়ে দেয়

মানব সভ্যতা বারংবার বাধাগ্রস্ত হয় মহামারীর আক্রমণে। নানা সময়ে নানা রোগ ছড়িয়ে মানুষকে অসহায় করে ফেলে। আর অসহায় মানুষ বাঁচার চেষ্টা করে বিশ্বাসের হাত ধরে। তখনই তৈরি হয় কুসংস্কার। মধ্যযুগে কুসংস্কার ছড়িয়েছিল রোগমুক্তির আশায় ইহুদিরা খ্রিস্টান শিশুদের রক্তে গোসল করে। যার ফলে বহু দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। ১৩২১ সালে ফ্রান্সে গুজব রটে যে শরীরের মাংস পচে যাওয়া বা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ইহুদি রোগীরা ইচ্ছাকৃতভাবে কুয়ার পানিতে এই রোগের জীবাণু মিশিয়ে দিচ্ছে। আরও বলা হয়, মুসলিমদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ইহুদিদের অর্থায়নে কুষ্ঠ রোগীরা পানিতে এই রোগের জীবাণুর বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে। এ কাজে স্বয়ং শয়তান জড়িত বলেও অপপ্রচার চালানো হয়। এই গুজব দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা শুরু হয়। যুগে যুগে মানুষ সৃষ্ট অন্ধবিশ্বাস এখনো বিদ্যমান অনেক ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই।

 

জাস্টিনিয়ান প্লেগে দানা বাঁধে হাজারো অন্ধবিশ্বাস

৫৪১ সালে জাস্টিনিয়ান প্লেগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। যার শুরুটা হয়েছিল মিসর থেকে। এরপর পুরো ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। সম্রাট জাস্টিনিয়ানের নামানুসারে ওই সময় এই মহামারীর নাম হয়েছিল। এই রোগ ইউরোপ, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই প্লেগের মূল বাহক ছিল ইঁদুর। মৃতের সংখ্যা এতই বেশি ছিল যে লোকালয়ে মানুষকে কবর দেওয়ার মতো জায়গা ছিল না। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মানুষের মনে দানা বাঁধে হাজারো কুসংস্কার। যার প্রভাব পড়ে সামাজিক সব ক্ষেত্রে। অসহায় মানুষ যে যা বলত তা-ই বিশ্বাস করতে শুরু করে। মৃত্যু আতঙ্কে রাস্তাঘাট মরুভূমির মতো জনশূন্যে পরিণত হয়েছিল। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভীষণ খাদ্য সংকটে না খেতে পেয়ে অসংখ্য মানুষ মারা গিয়েছিল।

 

এথেনিয়ান প্লেগে সামাজিক নিয়মনীতি ভুলে যায়

পৃথিবীতে মহামারীর ইতিহাস অনেক প্রাচীন। সময়ের বিবেচনায় প্রথমেই আসে ‘এথেনিয়ান প্লেগ’র ইতিহাস। ৪৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সেই পৃথিবীতে মহামারী ইথিওপিয়া থেকে উৎপত্তি লাভ করে ছড়িয়ে পড়েছিল মিসর ও গ্রিসে। ধারণা করা হয়, গ্রিসের এক-তৃতীয়াংশ মানুষই এ মহামারীর সময় সংক্রমিত হয়। এথেনিয়ান প্লেগ মানুষকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে তারা ধর্ম বা নিয়মনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাসও উঠে যায়। বাঁচার তাগিদে যে যেভাবে পারে নিজের মতো করে নিয়মকানুন নষ্ট করতে থাকে। সমাজে শ্রদ্ধাবোধের রীতি বিনষ্ট হয়েছিল। মৃত্যুভয়ে আড়ষ্ট মানুষের মধ্যে দেখা দেয় নানা অসামাজিক কর্মকান্ড। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এ রোগের উপসর্গ কিছুটা ইবোলাভাইরাসের লক্ষণের মতো তীব্র জ্বর ও রক্তবমিসহ অল্প কয়েক দিনের মধ্যে রোগীর মৃত্যু।

 

এন্টোনাইন প্লেগে নতুন নতুন ধর্মের গোড়াপত্তন ঘটে

মহামারীর ক্ষেত্রেও একটি ব্যাপার ইতিহাসে একই। একপর্যায়ে লোকজন পাপপূর্ণ জীবনের প্রতি ক্রোধান্বিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানুষ ভাবে ওই পাপের কারণেই এমন শাস্তি। ক্ষোভ প্রকাশের জন্য তখন ছায়া কাউকে তৈরি করা হয় যে বা যিনি এই মড়কের জন্য দায়ী। এই ক্ষোভের বলি হয়েছে অসংখ্য নিরীহ মানুষ। ১৬৫-১৮৫ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীতে হানা দেয় ‘এন্টোনাইন প্লেগ’। চীনে উৎপত্তি হয়ে এশিয়ার কয়েকটি দেশ ও মিসর, গ্রিস, ইতালিসহ সমগ্র রোমান সাম্রাজ্যে সৈনিকদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই মহামারী। অনেকে বলেন, এর কারণ ছিল গুটিবসন্তের জীবাণু। সামাজিকভাবে মানুষের অবিশ্বাস্য পরিবর্তন হয় তখন। মহামারী পরবর্তী সময়ে খুব দ্রুত নতুন নতুন কুসংস্কার আর নতুন ধর্মের বিস্তার শুরু হয় সেসময়। কিছু মানুষ এই মহামারীকে পুঁজি করে মানুষের মধ্যে  ছড়িয়ে দেয় অন্ধবিশ্বাস।

সর্বশেষ খবর