রবিবার, ২০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সুইস ব্যাংক রহস্য

সাইফ ইমন

সুইস ব্যাংক রহস্য

সুইস ব্যাংক নামে আসলে এখন কোনো ব্যাংকই নেই। এই ব্যাংকিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৪ সালে ছয়টি ব্যাংক মিলে সুইস ব্যাংক করপোরেশন নামে। ১৯৯৮ সালে এই সিস্টেমটি বন্ধ হয়ে যায়। আলাদা করে কোনো ব্যাংক না থাকলেও Swiss Financial Market Supervisory Authority (FINMA)-এর অধীনে সুইজারল্যান্ডের সব ব্যাংকই সুইস ব্যাংক নামে পরিচিত। এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে নানা রহস্য। সুইস ব্যাংক রহস্য নিয়েই আজকের রকমারি...

 

যেভাবে গড়ে উঠেছে

Swiss Financial Market Supervisory Authority (FINMA)-এর অধীনে সুইজারল্যান্ডের সব ব্যাংকই যেমন- UBS, Credit Suisse ইত্যাদি সারা দুনিয়ায় সুইচ ব্যাংক নামে পরিচিত। সুইজারল্যান্ড গোটা দুনিয়ার ব্যাংকিং সেবার বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে তাদের নিজস্ব ব্যাংকিং রীতিনীতির কারণে। টাকা-পয়সা যেমন গোপন রাখতে চায় অনেকে তেমনি নিজের পরিচয়ও গোপন রাখতে চায়। এ বিষয়টিই কাজে লেগেছে সুইস ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে।  সুইস ব্যাংকের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। অর্থনীতিবিদদের মতে, ১৯৩০ এর দশকে জার্মানিতে যখন ইহুদিরা নাৎসিদের শুদ্ধি অভিযানের মুখে পড়েন, তখন তাদের অর্থ গোপন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখার মাধ্যমে সুইস ব্যাংকগুলোর ব্যবসার শুরু। তারপর থেকে বিশ্বের নানা জায়গা থেকে সুইস ব্যাংকগুলোতে অর্থ আসতে শুরু করে। এভাবে এক সময় পুরো বিশ্বের ব্যাংকিং সিস্টেমের ওপর প্রভাব বিস্তার করে সুইস ব্যাংকগুলো। মূলত গোপনীয়তাই এর কারণ। তবে আগে ১৯৩৪ সালে প্রথম সুইস ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষার আইন করে। আর এটাই ছিল তাদের প্রথম মাইলফলক। ফ্রান্সের কয়েকজন রাজনীতিক এবং ব্যবসায়ী তাদের বিপুল অর্থ সুইস ব্যাংকে রেখেছিলেন। সেই তথ্য ব্যাংক থেকে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল।

এরপর সুইস ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়। এরপর ফ্রান্সের অনেকেই সুইস ব্যাংকে অর্থ রাখতে শুরু করেন। এভাবেই এক দেশ থেকে আরেক দেশে ছড়িয়ে পড়ে সুইস ব্যাংক সিস্টেম। এই গোপনীয়তা আইনের সুযোগে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো ফুলেফেঁপে ওঠে। তৃতীয় বিশ্বের দুর্নীতিবাজ স্বৈরশাসক থেকে শুরু করে ইউরোপ-আমেরিকার কর ফাঁকি দেওয়া বিত্তশালী ব্যবসায়ী, সবাই তাদের অর্থ গোপন রাখার জন্য বেছে নেন সুইস ব্যাংকগুলোকে। শুরু হয় বিশ্বব্যাপী টাকা রাখার প্রতিযোগিতা। নানা দেশের দুর্নীতিবাজদের টাকা রাখার জন্য একটা নিরাপদ জায়গা হয়ে ওঠে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এসব ব্যাংক।  তবে বর্তমানে অন্যান্য দেশেও এই সিস্টেম চালু হয়েছে।

 

সুইস ব্যাংক কী?

সুইস ব্যাংক বলতে আসলে নির্দিষ্ট কোনো ব্যাংক নেই। যেখানে মানুষ টাকা রাখবে বা ব্যাংকিং করবে। আসলে সুইস ব্যাংক মানে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক একটা সিস্টেম। স্বাভাবিকভাবেই ‘সুইস’ শব্দটি এসেছে ‘সুইজারল্যান্ড’ থেকে। সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে একটি ব্যাংকিং নেটওয়ার্ককে নির্দেশ করা হয়। বাংলাদেশি ব্যাংক বলতে আপনি যা বোঝেন, সুইস ব্যাংকও তারই অনুরূপ। সুইস যে কোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্টও অন্য আরেকটি সাধারণ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মতোই। শুধু তফাত হলো সুইস ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের গোপনীয়তা কঠোরভাবে রক্ষা করে। সুতরাং সুইজারল্যান্ডের নাগরিকরা সুইস ব্যাংকেই ব্যাংকিং করে থাকেন। আর সব সুইস ব্যাংককে নিয়ন্ত্রণ করে সুইস ফেডারেল ব্যাংকিং কমিশন। প্রথম এই ব্যাংকিং প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৪ সালে। সে সময় ছয়টি ব্যাংক মিলে সুইচ ব্যাংক করপোরেশন নামে চালু করে সুইস ব্যাংক।  ১৯৯৮ সালে এই ব্যাংকটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন আর সুইস ব্যাংক নামে আলাদা করে কোনো ব্যাংক নেই। 

 

যখন টাকা ফেরত দেওয়া হয় না

অনেকেই দাবি করেন, বেশির ভাগ সময়ে টাকা ফেরত দেওয়া হয় না সুইস ব্যাংক থেকে। আসলে মূল বিষয়টি এমন নয়। গোপনীয়ভাবে টাকা রাখতে গিয়ে অনেকেই হয়তো তার পরিবারের কাছে সুইস ব্যাংক বিষয়ক কোনো তথ্যই দেন না। ফলে এমন ব্যক্তির মৃত্যুর পর আর কেউ জানতেই পারে না যে, তার সুইস ব্যাংকে কোনো অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আবার আইনের কোনো প্যাঁচ ছাড়াই একজন গ্রাহকের তথ্য সুইস ব্যাংক প্রকাশ করে, যখন কোনো গ্রাহক মৃত্যুবরণ করেন। যদি বিগত ৬০ বছর ধরে অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো লেনদেন না করা হয় এবং অর্থের পরিমাণ ৫০০ সুইস ফ্রাঁর বেশি হয় তবে সেটা প্রকাশ করা হয়। যদি কোনো উত্তরাধিকারী সম্পত্তির দাবি না করেন তবে এক বছর পর সুইস সরকার সেই সম্পদ নিজেদের কোষাগারে জমা নেয়।

বিশ্বের নানা দেশের রাষ্ট্রনায়ক থেকে শুরু করে বহু ব্যক্তি সুইস ব্যাংকে টাকা রাখেন। তবে সুইস ব্যাংকে টাকা জব্দ করার ইতিহাস রয়েছে। ২০১১ সালে সুইস ব্যাংক লিবিয়ার শাসক গাদ্দাফি এবং তার ২৯ জন সহযোগীর সম্পদ জব্দ করে। এর আগে সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের সম্পত্তিও জব্দ করে। ধারণা করা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও তাঁর বিশাল সম্পত্তি সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রেখেছেন। তিউনিসিয়ার ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক বেন আলীও বিরাট অঙ্কের অর্থ জমা রেখেছিলেন যা এখন ফেরত  আনার প্রক্রিয়া চলছে।

 

কারা সুইস ব্যাংকে টাকা রাখেন?

ধনীরা সুইস ব্যাংকে টাকা রাখতে আগ্রহী হন। এতে কিছু সুবিধা ও গোপনীয়তার নিশ্চয়তা পাওয়া যায় যা অন্য ব্যাংকগুলোতে পাওয়া যায় না। কথা হলো- আপনার কাছে গোপন টাকা আছে কিন্তু বিশ্বস্ত কাউকে না পাওয়ার কারণে আপনি টাকাগুলো রাখতে পারছেন না। সাধারণত এসব ক্ষেত্রেই বেছে নেওয়া হয় সুইস ব্যাংক। সারা দুনিয়ার ধনী এবং বিখ্যাত লোকজন তাদের টাকা রাখার ক্ষেত্রে এ জন্যই সুইস ব্যাংক পছন্দ করেন।

সারা বিশ্ব থেকেই অসংখ্য মানুষ সুইস ব্যাংকে টাকা-পয়সা রাখতে বেশি আগ্রহবোধ করে থাকেন তাদের গোপনীয়তার নীতির কারণে। অনেকেরই ধারণা, সুইস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শুধু অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, মিলিয়নিয়ার কিংবা সরকারি আমলাদের জন্যই দেওয়া হয়ে থাকে। আবার অনেকে মনে করেন, যারা নিজের কালো টাকা উপার্জন করে তারাই সুইস ব্যাংকে টাকা রাখেন। কিন্তু এই ধারণা সঠিক নয়। সাধারণ একটি ব্যাংকের মতোই সুইস ব্যাংকে প্রায় যে কেউ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। যে কেউ অর্থ লেনদেন করতে পারেন। একেবারে সাধারণ কোনো লোকও চাইলে সুইস কোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্টধারী হতে পারবেন।  তবে অস্থিতিশীল দেশের লোকেরা সুইস ব্যাংক ব্যবহার করেন।

 

যেভাবে অ্যাকাউন্ট খুলবেন

যদি সুইস ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আপনাকে যেতে হবে। এ প্রক্রিয়াটিও দীর্ঘ। প্রথমেই আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে। অধিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সুইস ব্যাংকগুলো তাদের নতুন গ্রাহকদের নিয়ে প্রচন্ড ডেস্কওয়ার্ক করে থাকে। বৈধ পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া ছাড়াও আপনাকে সব সম্পদের উৎস দেখাতে হবে। আয় কীভাবে করেন এবং আপনার উপার্জিত অর্থ কোথা থেকে আসে এসব ব্যাপার পুরোপুরি জানার পরেই আপনি একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। বড় অঙ্ক ডিপোজিট করার ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার অন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট দেখানোর প্রয়োজনও হতে পারে এবং প্রয়োজনে সেই টাকার উৎসের যথাযথ কাগজপত্রও। এসব বিষয় ঠিক থাকলে আপনি আবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হলে আপনাকে এতটা কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে যেতে হবে না। বিদেশিদের মূলত নিজে সশরীরে উপস্থিত হয়েই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করতে হয়। তাই যারা মনে করেন অবৈধ অর্থ রাখার জায়গাই হলো সুইস ব্যাংক; তা সত্য নয়।  তবে অবৈধ আয়কে বৈধভাবে দেখানোর নানা প্রক্রিয়াও রয়েছে দেশে দেশে।

 

শক্তিশালী গোপনীয়তার নীতি

সারা বিশ্ব থেকেই অসংখ্য মানুষ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে নিজেদের উপার্জিত গোপন অর্থ রেখে থাকেন। সুইস ব্যাংকগুলোর এমন জনপ্রিয়তার কারণ এর শক্তিশালী গোপনীয়তা নীতি। সুইজারল্যান্ড সরকারের একটি আইন দ্বারা এই গোপনীয়তা স্বীকৃত, যার ফলে ব্যাংকগুলো কোনো অবস্থাতেই তাদের গ্রাহকদের তথ্য প্রকাশ করতে কারও কাছে বাধ্য থাকে না। ফলে কে, কেন বা কীভাবে উপার্জিত অর্থ ব্যাংকে রাখছেন সেই গ্রাহকদের সম্পর্কে ব্যাংকগুলো কাউকে কোনো তথ্য দেয় না। তবে এ আইনের মধ্যে একটি বিশেষ ধারাও রয়েছে। যার ফলে বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে ্বা অপরাধীর ক্ষেত্রে তার হিসাবের তথ্য প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ লাগবে। অ্যাসোসিয়েশন অব সুইস প্রাইভেট ব্যাংকার্সের প্রধান মিশেল ডি রবার্ট ব্যাখ্যা করছিলেন, কীভাবে এই গোপনীয়তার নীতি কাজ করে। একজন ডাক্তার বা আইনজীবী যেভাবে তার রোগী বা মক্কেলের গোপনীয়তা বজায় রাখেন,  এখানেও ব্যাপারটা অনেকটা তেমনি।

 

বেনামি হিসাব খোলার সুযোগ নেই

সুইস ব্যাংক নিয়ে নানা প্রচলিত মিথ রয়েছে। তার মধ্যে একটি মিথ খুব জনপ্রিয় আর তা হলো এখানে বেনামি প্রচুর অ্যাকাউন্ট আছে। বাস্তবে এটি একেবারেই সত্যি নয়। চলচ্চিত্র বা উপন্যাসে আমরা এ রকম বহু কিছু পড়ে বা দেখে থাকলেও আসলে বেনামি অ্যাকাউন্টের সুযোগ এখানে নেই। অন্যান্য ব্যাংকের মতো কোনো ব্যাংক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টটি হয়তো সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত থাকবে কিন্তু গ্রাহকের আসল পরিচয় ব্যাংকের অল্প কয়েকজন কর্মকর্তা অবশ্যই জানবেন। সুইস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, গোপনীয়তার অধিকার সুইস আইন ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং ফেডারেল সংবিধান দ্বারা তা সুরক্ষিত। তবে কোনো অপরাধের ক্ষেত্রে এই সুরক্ষা কাজ করবে না। অর্থাৎ সেখানে গচ্ছিত অর্থ যদি কোনো অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে গ্রাহকের পরিচয় প্রকাশে কোনো বাধা নেই। সেই সঙ্গে অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, আপনার সব সম্পদের উৎস সম্পর্কে ভালোভাবে না জানা পর্যন্ত কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার নতুন হিসাব খোলার অনুমতি দেবে না। তাই কেউ এক নিমেষে সুইজারল্যান্ডে গিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে পারেন- এমন চিন্তা করাও ভুল। তাই যে কেউ অবৈধ টাকা রাখার জন্য সুইস ব্যাংক ব্যবহার করেন- এটাও একটা ভুল ধারণা।  এখানে অবৈধ টাকা রাখার সুযোগ নেই।

 

রয়েছে সুইস ব্যাংক আইন

সুইস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘অপরাধের তদন্তের ক্ষেত্রে সুইস ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের পরিচয় প্রকাশে বাধ্য, সেই অপরাধ সুইজারল্যান্ডেই হোক, আর অন্য কোনো দেশেই হোক।’ তবে সে ক্ষেত্রে কাউকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনার আগে আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। অপরাধে ওই গ্রাহকের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ থাকতে হবে। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের প্রতি সম্মান রেখে সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংক কয়েক বছর ধরে সে দেশে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জমাকৃত অর্থের পরিমাণ প্রকাশ করছে। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেবল কোন দেশের নাগরিক সে দেশের ব্যাংকে কী পরিমাণ অর্থ রেখেছেন সেই তথ্যটাই প্রকাশ করেছে। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যে কোনো সময় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের  যাবতীয় তথ্য পেতে পারেন।  পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের ক্ষেত্রেই এমন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর