রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

আফ্রিকার রত্নভান্ডার

সাইফ ইমন

আফ্রিকার রত্নভান্ডার

সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের আধার আফ্রিকা মহাদেশের প্রতি গোটা বিশ্বের আগ্রহের অন্যতম কারণ প্রাকৃতিক সম্পদ। তেল ও গ্যাসের উৎস ছিল আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলো, ক্যামেরুন, সাদ, কঙ্গোর মতো দেশগুলো। হীরকও পাওয়া যায় আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন অংশে। সোনা, নিকেল, ইউরেনিয়াম, আকরিক লোহা, অ্যালুমিনিয়ামের মতো মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের জোগান দিয়েছে আফ্রিকা মহাদেশ...

 

অর্থনীতির পুরোটাই খনিময়

একের পর এক খনির মহাদেশ আফ্রিকা। মহামূল্যবান হীরা থেকে শুরু করে নানা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই মহাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় বছরে উত্তোলিত হীরার পরিমাণ ১৫০ ক্যারেট। বাজারমূল্য প্রায় ১২৫ কোটি ডলার। অ্যাঙ্গোলা আফ্রিকার মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ। দেশটির অভ্যন্তরে যত হীরাখনি আছে তা থেকে প্রতি বছর প্রায় ১২০ ক্যারেট হীরা উত্তোলন করা সম্ভব হয়। এর মূল্য দাঁড়ায় ১০৭ কোটি ডলার। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হীরা উত্তোলনকারী দেশ আফ্রিকার নামিবিয়া। প্রতি বছর দেশটি প্রায় ৫৩৩ ক্যারেট হীরা উত্তোলন করে থাকে। এই হীরা থেকে নামিবিয়া বাজারমূল্য পেয়ে থাকে প্রায় ৯২ কোটি ডলারের মতো। অথচ একসময় অভিযাত্রী হেনরি এম স্ট্যানলি আফ্রিকাকে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ বলে অভিহিত করেছিলেন। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে বার্টন, লিভিংস্টোন, স্ট্যানলির মতো অভিযাত্রীরা আফ্রিকার পূর্ণ রূপ পরিচয় করে দেন পৃথিবীকে। আফ্রিকার কথা বললেই মাথায় আসে, এর বিস্তীর্ণ সাভানা অঞ্চল যা পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় জীববৈচিত্র্যে ভরপুর, মাসাই, বুশম্যানসহ বিভিন্ন উপজাতিদের কথা। সুদান, নাইজেরিয়া, কঙ্গোসহ কয়েকটি দেশ যারা বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে রক্তপাত ও  সংঘাতে জর্জরিত হয়ে আছে সব সময়। এর পরেও বিশ্বের অন্যতম খনিজসম্পদে ভরপুর মহাদেশ আফ্রিকা। এখানকার অর্থনৈতিক কাঠামোও গড়ে উঠেছে খনিকে কেন্দ্র করে। তাই পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। বিশ্বায়নের এই যুগে ইউরোপ ও এশিয়া যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আফ্রিকাও কিন্তু এগোচ্ছে। বর্তমান পৃথিবীতে অন্যতম অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে এই দক্ষিণ এশিয়া। এদিকে গবেষকরা বেশ কয়েক বছর ধরেই বলে আসছেন যে, এশিয়ার পর বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা তৈরি করছে আফ্রিকার দেশগুলো। সম্প্রতি আফ্রিকার দেশগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদলে একটি অর্থনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। যেখানে তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হচ্ছে পারস্পরিক বাণিজ্যের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করা। আফ্রিকান মহাদেশের যতখানি সমৃদ্ধি তার সব কিছুই এই খনিনির্ভর অর্থনীতি থেকে উঠে এসেছে। খনি থেকে প্রাপ্ত সম্পদ এবং তার জন্য করা বিদেশি বিনিয়োগের বদৌলতেই আফ্রিকায় বর্তমানে শিল্প-বিপ্লবের কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

 

সবচেয়ে বেশি কোবাল্টের জোগান

কোবাল্ট রাসায়নিকভাবে যুগ্ম অবস্থায় ভূত্বকে পাওয়া যায়। প্রাকৃতিকভাবে সংকরিত ক্ষণপ্রভা লোহায় সঞ্চিত অবস্থাতেও পাওয়া যায়। হ্রাসকারী বিগলন দ্বারা উৎপাদিত মুক্ত কোবাল্ট একটি শক্ত, উজ্জ্বল ও রুপালি-ধূসর ধাতু। স্থিতিশীল অবস্থায় কোবাল্ট সুপারনোভা থেকে আর(ৎ)-পদ্ধতিতে তৈরি হয়। ভূত্বকে ০.০০২৯% কোবাল্ট বিদ্যমান। সামরিক কাজের জন্য সারা বিশ্বে কোবাল্টের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। রেডিওঅ্যাকটিভ ট্র্যাকার এবং উচ্চমাত্রার গামা রশ্মি তৈরিতে আবার কালি, রং, বার্নিশ এবং যে কোনো কাচকে নীল রং দেওয়ার কাজেও কোবাল্টের শিল্পভিত্তিক বিপুল চাহিদা রয়েছে। আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোবাল্ট মজুদ রয়েছে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কাছে। ২০১২ সালের এই সমীক্ষা অনুযায়ী সারা বিশ্বে যত কোবাল্ট রয়েছে, তার অর্ধেক অংশের একক মালিকানা কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কাছে। এমনকি বিশ্বের মোট উত্তোলিত কোবাল্টের ৫৫ শতাংশই আসে এখান থেকে।

 

হীরার মহাদেশ

হীরক বা হীরা বা হীরে হলো সর্বাপেক্ষা মূল্যবান একটি রত্ন। যা গহনা তৈরিতে বহুল ব্যবহৃত হয়। বর্ণহীন এ রত্নটি একটি মাত্র বিশুদ্ধ উপাদান কার্বন থেকে সৃষ্ট। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ২৬ হাজার কেজি খনিজ হীরা উত্তোলিত হয় যার মূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। আফ্রিকার নানা দেশ হীরার খনিতে ভরপুর। এই মহাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকা, অ্যাঙ্গোলা, নামিবিয়া হীরা উত্তোলনে প্রসিদ্ধ। আর আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরা উৎপাদনকারী দেশ। একে আফ্রিকার সাফল্যের গল্প হিসেবে অভিহিত করা হয়। অনেকে বলেন, বতসোয়ানার সৌভাগ্য অনেকটাই হীরার ওপর নির্ভর করে। দেশজুড়ে চারটি খনি থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ভালো মানের হীরা উত্তোলন করা হয়। রাশিয়া সামগ্রিকভাবে আরও বেশি হীরা উৎপাদন করলেও মানের দিক থেকে আফ্রিকার দেশগুলোই। আফ্রিকাকে বলা হয় এই পৃথিবীর হীরার মহাদেশ। সারা বিশ্বের মোট হীরার ৭৫ শতাংশই উত্তোলন করা হয় আফ্রিকা থেকে। পরিমাণ হিসেবে বলতে গেলে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ক্যারেট হীরা উত্তোলন করা হয়। আর এর মূল্য আনুমানিক ১৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

মরুভূমিতে গুপ্তধন

মরুভূমি সাহারায় পাওয়া ফসফেট, কপারের মতো খনিজ পদার্থের কথা সবাই জানে। এই বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের উপস্থিতির বাইরেও রয়েছে গুপ্তধনের খনি। ১৯৩৭ সালে মঙ্গোলিয়ায় কমিউনিস্ট সরকার ক্ষমতায় এসেই একের পর এক ধ্বংস করে দিতে লাগল বৌদ্ধ মন্দিরগুলো। সেই সঙ্গে শেষ হয়ে যায় বহু মূল্যবান দলিল ও রত্ন। এরই মধ্যে মূল্যবান রত্নবোঝাই ৬৪টি বাক্স নিয়ে গোবি মরুভূমিতে পালিয়ে যায় এক সন্ন্যাসী। ২০০৯ সালে একদল প্রত্নতত্ত্ববিদ হারিয়ে যাওয়া সেই রত্নভান্ডারের সন্ধান করেন। সন্ন্যাসী মৃত্যুর আগে নাতির হাতে ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন সেই গুপ্তধনের নকশা। নকশা অনুসরণ করে পৌঁছেও গেলেন গুপ্তধনের কাছে বিশেষজ্ঞ দল। সত্তর বছর ধরে গোপন থাকা মরুভূমির গুপ্তধন উদ্ধারে খনন চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এরপর ইন্টারনেটে বিশ্ববাসী সরাসরি দেখেন একর পর এক অমূল্য রত্ন বেরিয়ে আসছে মাটির তলা থেকে।

 

অ্যালুমিনিয়ামের উৎস বক্সাইটের খনি

আমাদের বাসাবাড়িতে ব্যবহারের জিনিসপত্র বেশির ভাগই অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। এই অ্যালুমিনিয়াম সরাসরিই খনি থেকে উঠে আসে না। অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক হিসেবে খনি থেকে উঠিয়ে আনা হয় বক্সাইট। আর সেখান থেকেই প্রস্তুত হয় বহুল ব্যবহার্য অ্যালুমিনিয়াম। অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন করার ক্ষেত্রে এই বক্সাইটের ভূমিকা অনবদ্য। যার কারণে গোটা বিশ্বেই রয়েছে বক্সাইটের চাহিদা। আর আফ্রিকা মহাদেশ হলো বক্সাইটের খনিতে ভরপুর। এক পরিসংখ্যান বলছে, আফ্রিকায় আবিষ্কার হওয়া বক্সাইটের খনি দিয়ে সারা বিশ্বের আরও কয়েক শতাব্দীর চাহিদা মেটানো সম্ভব। ফলে আফ্রিকা মহাদেশই বক্সাইট উত্তোলনে সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তবে বক্সাইট বিপুল পরিমাণে থাকলেও তা থেকে এখনো শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে ওঠেনি আফ্রিকার দেশগুলোতে।

 

সবচেয়ে দামি ইউরেনিয়াম

বিশ্বের সবচেয়ে দামি পদার্থ ইউরেনিয়াম। এর বাজার মূল্যও অত্যন্ত চড়া। এটি একটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ, যা সাধারণত পারমাণবিক কাজে ব্যবহৃত হয়। ১৮৯০ সালে ফরাসি বিজ্ঞানী অ্যান্টনি হেনরি বেকেরেলের বৈজ্ঞানিক গবেষণার পর থেকে সারা বিশ্বেই ইউরেনিয়ামের সন্ধানে নেমে পড়েন বিজ্ঞানীরা। আর আফ্রিকায় এসে এর বিপুল এক সম্ভাবনা দেখা যায়। ধারণা করা হয়, আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৮ লাখ ৮৮ হাজার টন ইউরেনিয়াম আকরিক আছে। আফ্রিকার বাইরে কাজাখস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় ব্যাপক ইউরেনিয়াম উত্তোলন করা হয়। তবে পরিসংখ্যান বলে, সারা বিশ্বে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম আহরণ করা হয়, তার প্রায় ১৮ শতাংশের একক জোগান দিয়ে থাকে আফ্রিকান তিন দেশ- নাইজার, নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৪ সালের এক হিসাব অনুযায়ী, নাইজারে প্রতি বছর ৪ হাজার ৫৭ টন ইউরেনিয়াম উত্তোলন করা হয়, যা সারা বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ। আর পঞ্চম স্থানে আছে নামিবিয়া। যাদের বার্ষিক ইউরেনিয়াম উত্তোলনের পরিমাণ ৩ হাজার ২৫৫ টন।

 

পানিসম্পদ

আফ্রিকা মহাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মরুভূমি। যেখানে শুধু ধু-ধু বালি ছাড়া মাইলের পর মাইল কিছুই দেখা যায় না। যদি কোনো ব্যক্তি পানি বহন করা ছাড়াই মরুভূমিতে প্রবেশ করেন তবে সম্ভবত তিনি মারা যাবেন। অথচ মহাদেশটির প্রচুর নদী রয়েছে। যার মধ্যে নীল নদ, কমলা নদ, নাইজার এবং কঙ্গো, জাম্বেজি এবং লিম্পোপো। এসব নদীর মধ্যে কিছু মরুভূমির পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়াও এই মহাদেশটির বুকের ওপর রয়ে গেছে অনেক ছোট-বড় হ্রদ। এদের মাঝে একগুচ্ছ হ্রদকে একত্রে বলা হয় আফ্রিকান গ্রেট লেকস। মহাদেশটির বেশ কিছু দেশজুড়ে আফ্রিকান গ্রেট লেকস গঠিত। বুরুন্ডি, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, কেনিয়া, তাঞ্জানিয়া, উগান্ডা ও রুয়ান্ডাজুড়ে এই লেকগুলো অবস্থিত। মহাদেশটির সর্বাধিক বিখ্যাত হ্রদ হলো- ভিক্টোরিয়া, চাঁদ, টাঙ্গানিকা ও নায়াসা। মহাদেশটিতে পানির সংস্থানগুলোর ছোট মজুদ রয়েছে এবং তাতে খুব কম পানি সরবরাহ করা হয়। তাই বিশ্বের এই অংশে মানুষ ক্ষুধায় নয়, পানিশূন্যতায় মারা যায়।

 

অপার সম্পদের আধার আফ্রিকার মাটি ও বনাঞ্চল

যে কোনো জায়গারই মাটি এবং বনাঞ্চলের ওপর নির্ভর করে সেসব অঞ্চলের মানুষদের জীবনযাত্রা। এদিকে উষ্ণতম মহাদেশে জমির সংস্থানগুলো বেশ বড়। এখানে যে পরিমাণ মাটি পাওয়া যায় তার মধ্যে মাত্র এক-পঞ্চমাংশই আবাদ করা হয়। এটির একটি বিশাল অংশ মরুভূমি এবং এখানকার জমি অনুর্বর। অনেক অঞ্চল ক্রান্তীয় বন দ্বারা দখল করা হয়। তাই এখানে কৃষি কাজে মানুষকে নিযুক্ত করা অসম্ভব। আফ্রিকার বনগুলো খুব মূল্যবান। পূর্ব এবং দক্ষিণ অংশগুলো শুষ্ক গ্রীষ্মমন্ডলীয় বন দ্বারা আচ্ছাদিত, অন্যদিকে আর্দ্র অংশগুলো মূল ভূখন্ডের কেন্দ্র এবং পশ্চিম দিকে আবৃত। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো- এখানে বনাঞ্চল কেটে ফেলা হচ্ছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এই আগুন কখনো প্রাকৃতিক আবার কখনো মানবসৃষ্ট।

অথচ আফ্রিকার বনাঞ্চলগুলো অপার প্রাকৃতিক সম্পদের আধার। কী নেই এখানে। এখানকার বনাঞ্চলের ওপর নির্ভর করে লাখ লাখ মানুষের জীবন ধারণ। বর্তমানে অযৌক্তিকভাবে বন ধ্বংস বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।

 

সম্পদের অভিশাপ!

খনিজ, বনজ কিংবা অন্য যে কোনো প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ মহাদেশ আফ্রিকা। কী নেই এখানে! মহামূল্যবান সব ধাতুর খনি পাওয়া যায় এই মহাদেশে। মূল্যবান হীরার সবচেয়ে বড় খনিগুলো ছড়িয়ে আছে আফ্রিকাজুড়ে। সাহারা মরুভূমি-সংলগ্ন এলাকায় আছে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস আর খনিজ তেলের ভান্ডার। কিন্তু এত কিছুর পরেও কোথায় যেন আটকে আছে মহাদেশটির বাসিন্দারা। নড়বড়ে অর্থনীতি আর ঔপনেবেশিক বেড়াজালে পড়ে আছে এসব অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য। কোথায় যেন আটকে আছে আফ্রিকার উন্নয়ন আর এই মহাদেশের মানুষগুলোর জীবনযাত্রা। মানবজাতির আদি এই বাসভূমি কেন এত পিছিয়ে পড়ে আছে তা খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, এটা ছিল ইউরোপিয়ান আর আমেরিকান ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাব। তারা বিপুল পরিমাণ সম্পদের লোভে এখানে ঔপনিবেশিক শাসনের সূচনা করেছিলেন। অকথ্য অত্যাচারের শিকার হয়েছেন এসব অঞ্চলের মানুষ। প্রচুর পরিমাণ সম্পদ লুট করে নিয়ে গেলেও আফ্রিকার জনগণের জন্য কিছুই করেননি ঔপনিবেশিক শাসনকর্তারা। যদিও এই বেড়াজাল থেকে আফ্রিকা বেরিয়ে এসেছে অনেক আগেই। তবুও বেশির ভাগ আফ্রিকান অঞ্চল এখনো অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি পায়নি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর