শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

অদ্ভুত নকশার যত ভবন

আবদুল কাদের

অদ্ভুত নকশার যত ভবন

স্থাপত্য ও তার নকশা, পাশাপাশি অন্যান্য চারুকলা ও কারুশিল্প বরাবরই যে কোনো স্থাপত্যশিল্পকে আকর্ষণীয় করে তোলে। আর এমন অসাধারণ নকশা আর চাকচিক্যময় স্থাপনা সহজেই জয় করে নিতে পারে যে কারও মন। আবার বিশ্বজুড়ে স্থাপত্যের ধারণায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়।  তবে পৃথিবীর সব ভবন শুধু বসবাস বা প্রয়োজনীয় কাজের জন্যই নির্মাণ করা হয়নি। কিছু ভবন নির্মাণ করা হয় মানুষকে মুগ্ধ, অবাক ও বিস্মিত করার উদ্দেশ্যেও।

 

আইসল্যান্ড

দ্য চার্চ অব হলগ্রিমার

হলগ্রিমার (হিলগ্রিমস্কার্ক) গির্জাটি আইসল্যান্ডের সবচেয়ে উঁচু আর অদ্ভুত নকশার উপাসনালয়। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্রতম স্থানটি আইসল্যান্ডের রাজধানী রেকজাবিকের কেন্দ্রস্থলে একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। এটি শহরের অন্যতম বিখ্যাত ভবন, যা শহরজুড়েই দৃশ্যমান। অদ্ভুত ভবনটি আইল্যান্ডিক স্থপতি গুজন স্যামুয়েলসনের সবচেয়ে জনপ্রিয় আর দর্শনীয় নির্মাণ। ১৯৪৫ সালে গির্জাটির নির্মাণ শুরু হলেও এর কাজ শেষ করতে ৩৮ বছরের বেশি সময় লেগেছিল। গির্জাটির নামকরণ করা হয় আইল্যান্ডিক কবি হলগ্রিমার পিটারসনের নামানুসারে, যিনি অসংখ্য লুথেরান প্রার্থনার গান রচনা করেছিলেন। ২৪৪ ফুট লম্বা গির্জাটি আইসল্যান্ডের সবচেয়ে উঁচু ভবনের খেতাব পায় এবং গির্জার ভিতরে  থাকা বেল টাওয়ারটিও ইউরোপজুড়ে বেশ আকর্ষণীয়।

 

স্পেন

মাইন্ড হাউস

বার্সেলোনার বিখ্যাত স্থপতি গৌডির সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থাপনা হলো পার্ক গেল, যা বার্সেলোনার ভ্যালকার্কার শহরতলির গ্র্যাসিয়া পাহাড় থেকে কয়েক ধাপ দূরের এল কার্মেল পাহাড়ে অবস্থিত। ১৯০০ সালের দিকে স্থপতি গৌডি ব্যক্তিগত উদ্যানের উদ্দেশ্যে পার্ক গেল নির্মাণ করলেও পরবর্তীকালে তা স্পেন সরকার কিনে নিয়েছিল এবং তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। পার্কের গেটটি দুটি জিঞ্জারব্রেড ঘর দিয়ে তৈরি; একটি টডস্টুল এবং অন্যটির সামনের দেয়ালে টডস্টুল ও ক্রস আকারের উইন্ডো রয়েছে। অদ্ভুত নকশার বাড়িটিকে মাইন্ড হাউস বলা হয়, যা বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সৃজনশীল ভবনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অদ্ভুত ও দৃষ্টিনন্দন ভবনটি নির্মাণে ১৪ বছরের বেশি সময় লেগেছে। বিংশ শতাব্দীতে ইউনেসকো পার্ক গেল ও মাউন্ড হাউসকে ঐতিহাসিক স্থানের তালিকায় যুক্ত করেছিল। তিন তলাবিশিষ্ট ভবনটির ছাদটি অদ্ভুত এক নকশায় (চেক সাদা ও ধূসর রঙে আঁকা) নির্মিত; যা দেখতে রূপকথার গল্পের মতোই মনে হবে।  অদ্ভুত নকশার ভবনটি  এখন বার্সেলোনার প্রতীক হিসেবেই বিবেচিত।

 

পর্তুগাল

স্টোন হাউস

কাসা দ্য পেনিডো উত্তর পর্তুগালের সেলোরিকো দে বাস্তো এবং ফ্যাটের মধ্যে অবস্থিত একটি স্থাপত্য সৌধ। পাথরের তৈরি বিশাল স্থাপনাটি দেশটির ফ্যাট পর্বতমালায় অবস্থিত। অনন্য স্থাপনাটি মূলত নির্মাণ করা হয়েছে টি ফ্লিনস্টোন কার্টুনের অনুপ্রেরণায়। ‘টি ফ্লিনস্টোন’ নামকরণ হয়েছে। কারণ স্থাপনাটি চারটি বড় পাথর থেকে তৈরি করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে বাড়ির ভিত্তি, দেয়াল ও সিলিং নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি দুটি বিশাল শিলা থেকে তৈরি এবং কংক্রিটের মিশ্রণে সংযুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে অদ্ভুত নকশার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এর নির্মাণকাজ ১৯৭২ সালে শুরু হয়েছিল, পরবর্তীতে নির্মাণ সমাপ্ত না হওয়ায় তা প্রায় দুই বছর স্থায়ী হয়েছিল। প্রাগৈতিহাসিক নির্মাণের জন্য এটি বর্তমানে পর্তুগালের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ভবনটি এখন ফটোগ্রাফের জন্য বেশ সমাদৃত।

 

যুক্তরাষ্ট্র

বাস্কেট হাউস

অবিকল ঝুড়ি আকৃতির বিশাল ভবনটি যুক্তরাষ্ট্রের ওহিওতে লংবার্গার বাস্কেট সংস্থার প্রধান কার্যালয়। যারা বিশ্বের অদ্ভুত স্থাপনার প্রশংসা করতে চান, তারা ভিজ্যুয়ালি অদ্ভুত নকশার ভবনটি দেখতে পারেন। অদ্ভুত নকশার ভবনটি মূলত লংবার্গার প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। অনন্য ভবনটি সাধারণ শপিংয়ের ঝুড়ির হুবহু অনুকরণ এবং লংবার্গারের একটি সাধারণ মাঝারি ঝুড়ির চেয়ে ১৬০ গুণ বড়। আকৃতির কারণে এটি ওহিও নগরীর প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়। মজার ব্যাপার হলো- ভবনটির ঝুড়ির মতো দুটি হ্যান্ডেলও রয়েছে।

 

বার্সেলোনা

লা পেড্ররা

স্পেনের বার্সেলোনায় অবস্থিত বিস্ময়কর দালান লা পেড্রেরা। ১৯০৬ সালে ভবনটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল, যা শেষ হতে ছয় বছর সময় লেগেছিল। অদ্ভুত সুন্দর এই ভবনটি ভিন্ন এক সৃজনশীলতার চিত্র তুলে ধরে। এটি বিশ্বের সেরা সুন্দর ও সৃজনশীল স্থাপত্যের অন্যতম। কাতালান স্থপতি আটনি গৌডি এই অদ্ভুত ভবনটির নকশা করেছিলেন। তবে এটিকে ভবন বলার চেয়ে বেশি মানাবে ভাস্কর্য বললেই। এই ভবনে ছড়িয়ে আছে পাথর, বারান্দাজুড়ে কৃত্রিম জাল ও চারপাশজুড়ে প্রকৃতির অদ্ভুুত এক ছোঁয়া। জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (ইউনেস্কো) ১৯৪৮ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে এই ভবনটিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

 

আবুধাবি

ক্যাপিটাল গেট

আকাশের নিচে কাচের দেয়ালে আচ্ছাদিত ক্যাপিটাল গেট আবুধাবির অন্যতম আকর্ষণ। ভবনটির এমন আকৃতি সচরাচর দেখা যায় না, ভিন্ন আকৃতির জন্য এটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়। ভবনটির দেয়ালে ব্যবহৃত গ্লাস প্যানেলগুলো বিশেষভাবে বানানো হয়েছে। ৩৫ তলার ভবনটি ‘দ্য হায়াত ক্যাপিটাল গেট’ নামে সর্বাধিক পরিচিত। এই হোটেলে রয়েছে বিলাসবহুল সব রুম, তিনটি রেস্টুরেন্ট এবং স্পা-রুম। স্পা-ঘরটি রয়েছে ২০ তলায়। হোটেল ঘর থেকে পুরো শহর দেখা যাবে। সব মিলিয়ে আবুধাবির পাঁচতারা হোটেল এটি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তথ্যানুযায়ী, অদ্ভুত এই ভবনটি ১৮ ডিগ্রি কোণে পশ্চিম দিকে হেলে আছে, প্যারিসের পিসা টাওয়ারের চেয়েও এটি প্রায় ৫ গুণ বেশি কোণে হেলে আছে। যা ভবনটির ওপরের ১৭ তলা ঝুঁকে থাকায় নিচের তলার ওপর ভবনটির হাজার হাজার টন ভরের চাপ সৃষ্টি হয়।

 

পোল্যান্ড

দ্য ক্রোকড হাউস

আঁকাবাঁকা ভবনটি পোল্যান্ডের সোপোটের একটি শপিং কমপ্লেক্সের অংশ। বেঁকে যাওয়া বা মুচড়ে যাওয়া আকৃতির চারতলা ভবনের নকশা এভাবেই করা হয়েছে। রূপকথার গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জোটিনজি এবং জালেস্কি নামক দুজন স্থপতি ভবনটির এমন অদ্ভুত নকশা করেন। ২০০৪ সালে নির্মিত ভবনটি ৪০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এখানে আছে শপিং সেন্টার, অফিস ও বিনোদনের ব্যবস্থাও। ভবনটি পোল্যান্ডের ফটোগ্রাফ জোন হিসেবেই বেশি পরিচিত। ভবনটির গ্লাসের দরজা; নীল ও সবুজ রঙের দৃষ্টিনন্দন ছাদটি রাতের বেলায় আলোকিত হয়।

 

মিসৌরি

ক্যানসাস সিটি লাইব্রেরি

আমেরিকার মিসৌরির ক্যানসাস সিটির রাস্তায় দানবাকৃতির সব বই সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে চমকে উঠবেন। বিশাল আকৃতির বইগুলোর গায়ে আবার বিখ্যাত সব বইয়ের নাম লেখা। আসলে এটি একটি লাইব্রেরি। আমেরিকার ক্যানসাস সিটির লাইব্রেরিটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহত্তম বইয়ের সংগ্রহশালা। ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরি ভবনটির দুর্দান্ত সাজসজ্জা  এর মূল আকর্ষণ। মার্বেল ও মেহগনি দিয়ে সজ্জিত ভবনটি বিংশ শতাব্দীতে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে তৈরি করা হয় ২৫ ফুট লম্বা কাঠামোগুলো। একেকটা চওড়ায়ও কম নয়, ৯ ফুট করে। লাইব্রেরির অভ্যন্তর কংক্রিটে নির্মিত এবং ৩৫টি দরজা রয়েছে। লাইব্রেরিটির বিভিন্ন ধরনের জন্য প্রতিটি বিভাগে বইয়ের বিশেষ সংগ্রহ আছে।

 

জার্মানি

ফরেস্ট স্পাইরাল

অদ্ভুত নকশার ভবনটি জার্মানির ডার্মস্ট্যাটের একটি আবাসিক ভবন। ভেনাসের চিত্রশিল্পী হান্ডার্ট ওয়াসার দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটির নকশা করলেও এটিকে একটি বাড়ি হিসেবে রূপ দেন স্থপতি হেইঞ্জ স্প্রিংম্যান। ভবনটির নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হলো বাউভেরেইন ডার্মস্ট্যাট সংস্থা। ১৯০০ সালে এই অদ্ভুত ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ভবনটির সাধারণ পরিকল্পনা ও ছাদের সবুজ বাগান ইংরেজি ‘ফরেস্ট স্পাইরাল’ নামকরণের সার্থকতা প্রমাণ করে। ২০০০ সালে ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। ১২ তলার এই ভবনটিতে রয়েছে ১০৫টি অ্যাপার্টমেন্ট এবং একটি বিশাল গ্যারেজ। ভবনের মাঝের জায়গায় উঠান, ছোটখাটো কৃত্রিম একটি লেক এবং বাচ্চাদের জন্য আছে একটি খেলার মাঠ। অতীতে এর ওপরে রেস্তোরাঁ, ক্যাফে ও স্থানীয়দের জন্য বার ছিল, যা এখন নেই। বাইরে থেকে ভবনটির সিল্ডেড গম্বুজ, সোজা লাইন ও তীক্ষè কোণগুলোর অনুপস্থিতি, পৃথিবীর টোনগুলোতে ভবনের হরেক রঙিন চিত্র এবং রঙিন সিরামিক কলামগুলো স্থানীয় তো বটেই, সেই সঙ্গে দর্শনার্থীদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করে।

 

ফ্রান্স

বাবল প্যালেস

ফ্রান্সের কানের কাছে থ্যোল-সুর-মেরের একটি বিশাল ভবন বাবল প্যালেস। অদ্ভুত নকশার ভবনটি স্থানীয়দের কাছে প্যালেস বুলেস নামে বেশি পরিচিত। হাঙ্গেরির স্থপতি আন্টি লোভাগ দৃষ্টিনন্দন ভবনটির নকশা করেছিলেন। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অদ্ভুত নকশায় দৃষ্টিনন্দন ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ভবনটি ফরাসি শিল্পপতি পিয়েরে বার্নার্ডের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ফ্যাশন ডিজাইনার পিয়েরে কার্ডিন অবকাশযাপনের জন্য বাড়িটি কিনেছিলেন। ১৩ হাজার বর্গমিটার বাড়িটির সামনের অংশে রয়েছে একটি অভ্যর্থনা হল, প্যানোরামিক লাউঞ্জ, ৫ শতাধিক আসনের ওপেন-এয়ার এম্পিথিয়েটার, ২৯টি সুবিশাল কক্ষ, ১০টি শয়নকক্ষ, ১১টি বাথরুম, অসংখ্য সুইমিং পুল এবং জলপ্রপাত। প্রতিটি জিনিসই খুব  সুন্দরভাবে সাজানো-গোছানো।

 

কলম্বিয়া

ক্যাসা টেরাকোটা

কলম্বিয়ার অনন্য স্থাপত্য ক্যাসা টেরাকোটা বিশ্বের সৃজনশীল ভবনের তালিকায় অন্যতম। স্থানীয়দের কাছে এটি সিরামিক হাউস হিসেবেও পরিচিত। অদ্ভুত নকশার সম্পূর্ণ মাটি দিয়ে নির্মিত হলেও এটি এমন একটি নির্মাণ প্রকল্প যা পৃথিবীতে স্থাপত্যশিল্পে রূপান্তরের জন্য মাটি, বায়ু, জল ও আগুন- এই চারটি উপাদানই ব্যবহার করা হয়েছে। অদ্ভুত নকশার ভবনটি কলম্বিয়ার রেগল গ্রামের একটি পর্বতমালায় অবস্থিত। যেখানে বছরের সব সময় সূর্যের আলো বিদ্যমান। এই অদ্ভুত কাঠামোর জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ক্যাসা ডি ফ্লিনস্টোন’ বা ‘ফ্লিনস্টোন হাউস’ নামেও পরিচিত। এটি কটেজের মতো দেখতে, যা কাদামাটির টিলার মতো মনে হবে। অদ্ভুত ভবনটির চারপাশ সবুজ কৃষিজমি এবং পাহাড়ে ঘেরা।

 

বিলবাও

গুগেনহাইম মিউজিয়াম

আধুনিক ও সমসাময়িক শিল্পের অন্যতম সংগ্রহশালা গুগেনহাইম মিউজিয়াম। স্পেনের বিলবাও নগরীর বিখ্যাত মিউজিয়ামটি তার অদ্ভুত নকশার জন্য বেশি জনপ্রিয়। কানাডিয়ান-আমেরিকান স্থপতি ফ্র্যাঙ্ক গহরি আধুনিক এই অদ্ভুত মিউজিয়াম ভবনটির নকশা করেছিলেন। ১৯৯৭ সালে আজব নকশার এই ভবনটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছিল স্পেন সরকার। ভবনটির আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার পেছনে রয়েছে এর অদ্ভুত নকশা। আসলে গুগেনহাইম মিউজিয়াম বেশ কয়েকটি আন্তঃসংযোগ ভবনের নকশাকে জটিল করেছে। পুরো ভবনটি টাইটানিয়াম, চুনাপাথর এবং কাচে আবৃত। এই মিউজিয়ামটি নেভারিয়ন নদীর পাশে অবস্থিত, যা ভবনটিকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। এই মিউজিয়ামে সমসাময়িক শিল্পীদের অসংখ্য শিল্পকর্ম রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর