রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মোস্ট ওয়ান্টেড মন্ত্রিসভা

সাইফ ইমন

মোস্ট ওয়ান্টেড মন্ত্রিসভা

আফগানিস্তানে তালেবান নেতৃত্ব

গত মঙ্গলবার তালেবান অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়। নতুন তালেবান সরকারে রয়েছেন বেশির ভাগই মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত। কারও রয়েছে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা, কারও মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল কোটি ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রের চোখে হাক্কানি নেটওয়ার্ক একটি ‘সন্ত্রাসী  গোষ্ঠী’। এই গোষ্ঠীর সদস্যকেও সরকারে রেখেছে তালেবান। ফলে তালেবানের সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মকান্ডের দিকে সতর্ক চোখ আন্তর্জাতিক মহলের। তালেবানের ‘সুপ্রিম লিডার’ হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদার পরামর্শের বাইরে কোনো কিছু হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, আফগানিস্তনে তালেবানের নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছে তা অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিনিধিত্বমূলক নয়। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে সরকার গঠনের ব্যাপারে তালেবান যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিল তা পূরণে তারা ব্যর্থ হয়েছে। জার্মানি ও জাপান তালেবানের অন্তর্র্বর্তী সরকার নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বলেছেন, বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ছাড়া আফগানিস্তানে যে সরকার গঠিত হয়েছে তাতে আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই। জাপান বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং আমেরিকা ও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তারা সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তবে তালেবানের  নেতৃত্বাধীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। দেশটি বলেছে, আফগানিস্তানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার গঠন ছিল খুবই জরুরি পদক্ষেপ।  শুরু থেকেই তালেবানের পক্ষে চীনের অবস্থান।

আফগানিস্তানে মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধান করে তত্ত্ব বধায়ক সরকার ঘোষণা করেছে তালেবান। গত মঙ্গলবার দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও নতুন সরকার গঠন করেছে তালেবান। এর আগে গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে তালেবান।  এ ছাড়া ৩০ আগস্ট কাবুল ছাড়ে মার্কিন বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। অন্তর্র্বর্তী সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকা বা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞায় থাকার কারণে এ সরকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।  এটাই সম্ভবত বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম মোস্ট ওয়ান্টেড মন্ত্রিসভা...

 

বিতর্কিত সুপ্রিম লিডার হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা

হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তালেবানদের শীর্ষ নেতা। ২০১৬ সাল থেকে তালেবান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু জনসম্মুখে তাকে খুব একটা দেখাও যায় না। ২০১৬ সালে তালেবানের দায়িত্ব গ্রহণের পর সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করার বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন তিনি। সে সময় কিছুদিনের জন্য তিক্ত ক্ষমতার লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল তালেবান। হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদার পূর্বসূরি মোল্লা মানসুরের হত্যাকান্ড এবং তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর কথা গোপন রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তালেবানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদার প্রতিদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে খুবই কম জানা যায়। সাধারণত ইসলামী পবিত্র দিনগুলোতে বার্ষিক বাণী প্রদানের মধ্যেই তার পাবলিক কর্মকান্ড সীমাবদ্ধ। এ পর্যন্ত তালেবান তার একটি সিঙ্গেল ফটোগ্রাফ প্রকাশ করেছে, কখনো তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি এবং তিনি কোথায় থাকেন তাও জানা যায় না।

আশির দশকে তিনি আফগানিস্তানে সোভিয়েত দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার তালেবান ক্ষমতায় আসার পর  হত্যাকারী ও ব্যভিচারীদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হতো এবং চোরদের হাত কেটে ফেলা হতো। তখনকার তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে তালেবান টেলিভিশন, সংগীত, চলচ্চিত্র নারীদের মেকআপ বা রূপসজ্জার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ১০ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে যাওয়াও তারা নিষিদ্ধ করেছিল।

 

মাদক পাচারে অভিযুক্ত উপ-প্রধানমন্ত্রী

আবদুল সালাম হানাফি

আবদুল সালাম হানাফি তালেবান সরকারে নিয়োগ পেয়েছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। জাতিসংঘের কালো তালিকায় রয়েছেন তিনি। আগের মেয়াদে তালেবান সরকারের উপ-শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। সে সময় মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘ মাদক পাচারের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকায় তিনি রয়েছেন ওপরের দিকে। তালেবান গোষ্ঠীর মধ্যে আবদুল সালাম হানাফির রয়েছে জনপ্রিয়তা।

 

রয়েছে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা

মোল্লা হাসান আখুন্দ, প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ। তিনি তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগী  ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে তালেবান সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। সে সময় তিনি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তালেবানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিল ‘রেহবারি শুরা’র এই সদস্য কান্দাহার প্রদেশের গভর্নরও ছিলেন। তার নামও রয়েছে জাতিসংঘের কালো তালিকায়। ধারণা করা হয়, তার বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ সবচেয়ে বেশি সময় তালেবান নেতাদের কাউন্সিল বা রেহবারি শুরার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬-২০০১ সালে তালেবানের প্রথম দফার দায়িত্ব পালনের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

এফবিআইর মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি

সিরাজুদ্দিন হাক্কানি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিরাজুদ্দিন হাক্কানি। তার বাবা জালালুদ্দিন হাক্কানির শীর্ষ নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুর পর হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা হন সিরাজুদ্দিন হাক্কানি। আফগানিস্তানে আফগান বাহিনী এবং তাদের পশ্চিমা মিত্রদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ কিছু হামলার জন্য তাকে দায়ী করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছেন এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এমনকি তার মাথার জন্য ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলার চল এই গোষ্ঠী শুরু করে বলে মনে করা হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে হত্যার চেষ্টা, ভারতীয় দূতাবাসে আত্মঘাতী হামলার জন্য হাক্কানি নেটওয়ার্ককে দায়ী করা হয়। হাক্কানির বয়স ৪০-এর ঘরে শেষ থেকে ৫০-এর ঘরে শুরু পর্যন্ত বলে মনে করা হয়। বলা হয় হাক্কানি নেটওয়ার্ক হচ্ছে ওই এলাকার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ভীতিকর জঙ্গি গ্রুপ।

 

পাকিস্তানে বন্দী ছিলেন আবদুল গনি বারাদার (উপ-প্রধানমন্ত্রী)

উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আবদুল গনি বারাদার। মোল্লা আবদুল গনি বারাদার তালেবানের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯৪ সাল থেকে তালেবান আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। ২০০১ সালে আমেরিকা আফগানিস্তানের দখল নিলে তখন আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে তালেবানরা। তার নেতৃত্বে ছিলেন  মোল্লা আবদুল গনি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১০-এ তিনি পাকিস্তান ও আমেরিকার যৌথ অভিযানে করাচিতে ধরা পড়েন। ২০১২ সালে পাকিস্তান সরকার তাকে মুক্ত করে দেয়। পাকিস্তানে গ্রেফতার হওয়ার সময় তালেবানের ধর্মীয় বিভাগের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ছিলেন গনি। মোল্লা ওমরের বোনকে গনি বারাদার বিয়ে করেন বলেও জানা যায়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে কাতারের দোহায় চালু করা তালেবানের রাজনৈতিক দফতরের প্রধান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তালেবান নেতা হিসেবে ২০২০ সালে প্রথম বারাদার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার পর ধারণা করা হয়েছিল তিনি নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারে দেখা গেল তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বারাদার ছাড়াও এই অন্তর্র্বর্তী সরকারে আরও একজন উপ-প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মৌলভি আবদুল সালাম হানাফি। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চুক্তিতে তালেবানের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।

 

বলছেন শান্তির কথা, বাস্তবতা ভিন্ন

খলিলুর রহমান হাক্কানি, অভিবাসনমন্ত্রী

আফগান মন্ত্রিসভায় পদ পাননি কোনো নারী। এর প্রতিবাদে কাবুলে চলছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দমনে তালেবান ফাঁকা গুলি, লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস এমনকি চাবুকও ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু নতুন অভিবাসনমন্ত্রী বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি তালেবানের সহযোগী সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের শীর্ষ নেতা খলিলুর রহমান হাক্কানি। তিনি বলেন, তালেবান ঘোষিত ইসলামিক আমিরাতের অধীনে সবাই নিরাপদ। এর আগে তালেবানের এই সহযোগী সংগঠনকে রাজধানী কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয় তালেবান। আলজাজিরার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে খলিলুর রহমান হাক্কানি বলেন, আফগানিস্তানের ৩৪ প্রদেশেই সবার প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং উদ্বেগের কিছু নেই। কাবুলের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা ফেরাতে তারা কাজ করছেন বলেও জানান। বাস্তবতায় আফগানিস্তান ছাড়তে বিমানবন্দরে ভিড় করছে মানুষ। 

 

কালো তালিকায় তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে

মোহাম্মদ ইয়াকুব, প্রতিরক্ষামন্ত্রী

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ ইয়াকুব। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে তিনি। তালেবানের সামরিক অভিযানের দায়িত্বে আছেন ইয়াকুব। ২০১৬ সালে মোল্লা মানসুর নিহত হওয়ার পর ইয়াকুবকে তালেবানের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা কম এবং বয়স কম হওয়ায় ইয়াকুব নেতা হিসেবে আখুন্দজাদার নাম প্রস্তাব করেন। ইয়াকুবের বয়স ৩০-এর ঘরে বলে ধারণা করা হয়। এপির তথ্য অনুযায়ী, তালেবান যখন পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছিল ইয়াকুব তালেবান যোদ্ধাদের আহ্‌বান জানিয়েছেন যেন তারা আফগান সামরিক বাহিনী বা সরকারের কর্মকর্তাদের কোনো ক্ষতি না করে। সেই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ফেলে যাওয়া বাড়িঘর লুটতরাজ করা না হয় সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও আন্তর্জাতিক কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। 

 

বলেন এখনকার দিনে পিএইচডি-মাস্টার্স ডিগ্রির কোনো মূল্য নেই

শেখ মৌলভি নুরুল্লাহ, শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষমন্ত্রী হয়েছেন শেখ মৌলভি নুরুল্লাহ মুনির। ক্ষমতায় এসেই তিনি বলেন,  ‘পিএইচডি-মাস্টার্স ডিগ্রির মূল্য নেই’। তালেবানের নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রীর এমন কথায় বিস্মিত আন্তর্জাতিক মহল। শেখ মৌলভি নুরুল্লাহ মুনির বলেছেন, ‘এখনকার দিনে পিএইচডি ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রির কোনো মূল্য নেই। আপনারা দেখুন, ক্ষমতায় থাকা মোল্লা ও তালেবান কারও পিএইচডি, এমএ, এমনকি হাইস্কুল ডিগ্রিও নেই, কিন্তু তারা সবার সেরা।’

 

তালেবানের অন্যতম কট্টরপন্থি নেতা

আবদুল হাকিম শিকযী, আইনমন্ত্রী

তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন আবদুল হাকিম শিকযী। তিনি আফগান সুপ্রিম কোর্টের চিফ জাস্টিস ছিলেন। এবার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন আইনমন্ত্রী হিসেবে। তালেবানদের হয়ে নানা কূটনৈতিক তৎপরতায় তাকে দেখা গেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কাতারে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি তালেবানের প্রধান নেগশিয়েটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বলা হয় তিনি তালেবানদের মধ্যে অন্যতম একজন কট্টরপন্থি নেতা।

 

কারাগারে ১২ বছর

নুরুল্লাহ নুরী, সীমান্তমন্ত্রী

তালেবানের সহযোগী সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের শীর্ষ নেতা নুরুল্লাহ নুরী। সবচেয়ে বিপজ্জনক হাক্কানি নেটওয়ার্কের একাধিক শীর্ষ নেতা রয়েছেন আফগান মন্ত্রিসভায়। নুরুল্লাহ নুরী সীমান্তমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কারাগারে ১২ বছর বন্দী ছিলেন এই নেতা। অন্তর্র্বর্তী সরকারের  মন্ত্রীদের মধ্যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকা বা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞায় থাকার কারণে এ সরকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল। এটাই সম্ভবত বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম মোস্ট ওয়ান্টেড মন্ত্রিসভা।

সর্বশেষ খবর