রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনাকালে ধনী ফুটবল ক্লাব

সাইফ ইমন

করোনাকালে ধনী ফুটবল ক্লাব

মাঠের লড়াইয়ের বাইরে আরেকটি লড়াই চলে ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে। বিশ্বখ্যাত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ডেলোইট যার নাম দিয়েছে ‘ফুটবল মানি লিগ’। এ লিগে চলে শুধু টাকার খেলা। খেলার পাশাপাশি আয় দিয়েও একে অন্যকে টেক্কা দেয়। এই করোনাকালেও আয় করছে ক্লাবগুলো। চলেছে লিগের খেলা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত দর্শক থেকে শুরু করে তাদের রয়েছে নিজস্ব স্টেডিয়াম। বিশ্বজুড়ে রয়েছে কোটি কোটি অনলাইন ফলোয়ার।  ইএসপিএন-এর তথ্য অনুযায়ী বিশ্বসেরা ধনী ক্লাবগুলোর কথা নিয়ে আজকের রকমারি-

 

.২৭ বিলিয়ন ডলার

রিয়াল মাদ্রিদ [স্পেন]

ফুটবলের রাজ্যে বিশ্বসেরা ধনী ক্লাবের কথা উঠলে সবার আগেই উচ্চারিত হয় রিয়াল মাদ্রিদের নাম। সারা বিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় স্পেনের এই ক্লাবটি। এটি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সফলতম ক্লাব এবং ইউরোপের সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা দল। ক্লাবের বাস্কেটবল শাখাও অনুরূপ সাফল্য লাভ করেছে। দলের পোশাকের মূল রং সাদা টি-শার্ট ও শর্টস এবং নীল মোজা। ক্লাবটি ফিফার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। রিয়াল মাদ্রিদের নিজস্ব মাঠ মাদ্রিদে অবস্থিত। স্প্যানিশ এই ক্লাবের জন্ম ১৯০২ সালের ৬ মার্চ। এরপর থেকে গত ১১৯ বছরের ইতিহাসে এমন সব রেকর্ড করেছে তারা, সর্বকালের সেরার মুকুটটা রিয়ালকেই মানায়। ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১১ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। একটা সময় ছিল, ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার এ টুর্নামেন্টটি রিয়ালের জন্যই যেন বরাদ্দ থাকত। ১৯৫৬-৬০ পর্যন্ত টানা পাঁচবার এ টুর্নামেন্টটি নিজেদের করে নিয়েছিলেন ফেরেনচ পুসকাস আর আলফ্রেডো ডি স্টেফানোরা।  দলটির বিশ্রামে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ক্যাস্তিলা নামে ফুটবল দল এবং রিয়াল মাদ্রিদ ব্যালনকেস্তো নামে বাস্কেটবল দল রয়েছে।

 

.১৩ বিলিয়ন ডলার

ম্যান ইউ [ইংল্যান্ড]

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজ ফুটবল ক্লাব। এদের নিজস্ব মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ফুটবল গ্রাউন্ড, ট্র্যাফোর্ড, গ্রেটার ম্যানচেস্টারে অবস্থিত। সারা বিশ্বের জনপ্রিয় ফুটবল দলগুলোর মধ্যে এটিও অন্যতম। ইংলিশ ফুটবলে সবচেয়ে পুরাতন ক্লাবগুলোর মধ্যে একটি নিউটন হিথ এফসি। ১৮৭৮ সালে গড়ে ওঠা ক্লাবটি প্রথম দিকে অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে খেলত। ১৯০২ সালে ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড করা হয়। তবে একটি সফল ক্লাব হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায় তাদের। ১৯০৭-০৮ ও ১৯১০-১১ মৌসুমে প্রথম বিভাগ ইংলিশ লিগ জিতলেও পরের চল্লিশ বছর তারা শিরোপাশূন্য থাকে। এ অবস্থা থেকে দলকে বের করে আনতে ১৯৪৫ সালের পর ম্যাট বুসবি দায়িত্ব নেন। পরের ২৪ বছরে তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে বিশ্বসেরা ক্লাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। বর্তমানে ইংরেজ ফুটবলের ইতিহাসে সফলতম দলগুলোর মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অন্যতম। তাদের দ্বিতীয় ইউরোপিয়ান কাপ আসে ১৯৯৯ সালে এবং তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তারা জিতে ২০০৮ সালে।  এ ছাড়া তারা রেকর্ড ১১ বার এফএ কাপ জিতেছে। ১৯৯০ দশকের শেষভাগ থেকে ক্লাবটি যে কোনো ফুটবল ক্লাবের চেয়ে বেশি অর্থ আয় করে বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্লাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু লাভজনক নয়, খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়েও অন্যান্য ক্লাবের চেয়ে এগিয়ে আছে এটি।

 

.২৬ বিলিয়ন ডলার

বার্সেলোনা [স্পেন]

বার্সেলোনা ক্লাব সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। হালের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি ক্লাব। সাম্প্রতিককালে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির বিদায় ভক্তদের কষ্ট দিয়েছে। কল্যটোটাল ফুটবলের জনক ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ বার্সেলোনায় ফুটবল দর্শনের দারুণ কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। পরবর্তীতে সেই দর্শনে সামান্য রদবদল করেন গার্ডিওলারা। নাম দেওয়া হয় টিকি-টাকা। ফুটবল পায়ে ধরে রেখে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার এক দারুণ মন্ত্র আবিষ্কার করেছিল বার্সেলোনা। সেই মন্ত্রে ফুটবলের বহু পরাশক্তি ঘায়েল হয়েছে। নতুন শতাব্দীতে বার্সেলোনাই একমাত্র ক্লাব যারা সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে ছিনিয়ে এনেছে সাফল্যের সিংহভাগ। ছোট-বড় সবার কাছে পরিচিত এ ক্লাবটি। এটি কাতালান নামেও পরিচিত। আয়ের দিক দিয়ে এর অবস্থান রিয়ালের পর। বার্ষিক আয় প্রায় ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। ক্লাবটি বার্সা নামে পরিচিত একটি কাতালান ফুটবল দল; যার অবস্থান স্পেনের বার্সেলোনা শহরে। জোয়ান গ্যাম্পার নামক এক ভদ্রলোকের নেতৃত্বে ১৮৯৯ সালে একদল সুইস, ইংরেজ ও কাতালান নাগরিক দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। দলটি এক সময় কাতালান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় যার মূলমন্ত্র হলো- ‘একটি দলের চেয়েও বেশি কিছু’।  এ ছাড়া ক্লাবের একটি অফিশিয়াল থিম সংগীতও রয়েছে যার শিরোনাম- ‘কান্ত দেল বার্সা’।

 

৬৭৫ মিলিয়ন ডলার

আর্সেনাল [ইংল্যান্ড]

আর্সেনাল একটি ইংরেজ পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এটি গার্নাস নামেও পরিচিত। ইংরেজ ফুটবলের ইতিহাসে এটিও একটি অন্যতম সফল ক্লাব। আর্সেনাল ইউরোপীয়  ফুটবলের সেরা ক্লাবদের সংঘ জি-১৪ এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আর্সেনালের প্রতিষ্ঠা ১৮৮৬ সালে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ওউলিচে। ১৯১৩ সালে হাইবারিতে স্থানান্তরিত হয়। সেখানে স্থাপিত হয় আর্সেনাল স্টেডিয়াম। এরপর ২০০৬ সালের মে মাসে লন্ডনের হলোওয়েতে, এমিরেটস স্টেডিয়াম তাদের প্রধান কার্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৮৬ সালে কিন্তু সাফল্যের সূচনা ১৯৩০ সালে প্রথমবারের মতো লিগ চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে। ১৯৭০-৭১ মৌসুমে বিংশ শতাব্দীর প্রথম দল হিসেবে আর্সেনাল যুগ্ম শিরোপা জয় করে। শেষের ২০টি বছর ছিল ক্লাবটির স্বর্ণযুগ। সেই সময় ব্রিটেনের গন্ডি পেরিয়ে তাদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে গোটা দুনিয়ায়। এই মৌসুমেই তারা অপরাজিত থেকে লিগ শিরোপা জয় করে। ২০০৫-০৬ সালে তারা লন্ডনের প্রথম ক্লাব হিসেবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। প্রথাগতভাবে আর্সেনালের রং লাল-সাদা। তবে ইতিহাসে বেশ কয়েকবার তারা তা পরিবর্তন করেছে। পরিবর্তিত হয়েছে ক্লাবটির অবস্থান। বর্তমানে তারা লন্ডনের হলোওয়ের এমিরেটস স্টেডিয়ামে আছে। আর্সেনালের রয়েছে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী। তাদের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী টটেনহ্যাম হটস্পার।

 

.১৯ বিলিয়ন ডলার

ম্যান সিটি [ইংল্যান্ড]

ম্যানচেস্টার সিটি (ম্যান সিটি) একটি ইংরেজ ফুটবল ক্লাব। এদের উৎপত্তি ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার শহরে। ১৮৮০ সালে পসইন্ট মার্কস (ওয়েস্ট গর্টন) নামে ক্লাবের জন্ম হয়। পরে ১৮৮৭ সালে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আর্ডউইক এএফসি এবং সর্বশেষ ১৮৯৪ সালে বর্তমান নাম ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব রাখা হয়। এর বার্ষিক আয় প্রায় ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

২০১২ সালে তারা প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতে যা ৪৪ বছরের মধ্যে তাদের প্রথম লিগ শিরোপা। ২০১৩-১৪ মৌসুমে তারা আবারও লিগ শিরোপা জিতে। মৌসুমের শেষ খেলায় ওয়েস্ট হ্যামকে ২-০ গোলে হারিয়ে তারা এই শিরোপা নিশ্চিত করে। তারা সর্বমোট লিগ সাতবার, এফএ কাপ ছয়বার, ইএফএল কাপ সাতবার এবং একবার ইউরোপীয় কাপ জিতে। ম্যানচেস্টার সিটির সফলতম সময় ছিল ১৯৬০ দশকের শেষে ও ১৯৭০ দশকের শুরুর দিকে। এ সময় তারা জো মার্সারের অধীনে কয়েকটি ট্রফি জিতেছে। মূলত সেই সময় ছড়িয়ে পড়ে ক্লাবটির বিজয়গাথা ও সাফল্যের গল্প। কিন্তু এ ক্লাবকেই পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক চড়াই-উতরাই।  খেলার মানের পতনের কারণে ১৯৯০ দশকে দুই বারে তিন বছরের জন্য ক্লাবটিকে রেলিগেশনের খপ্পরে পড়তে হয়েছে।

 

৭৬৯ মিলিয়ন ডলার

চেলসি [ইংল্যান্ড]

ইংল্যান্ডের আরেকটি জনপ্রিয় ও ধনী ক্লাব  চেলসি। এটি দ্য ব্লুজ অথবা দ্য পেনশনার্স নামেও পরিচিত। ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। প্রতিষ্ঠার পর যতটা আলোচনায় ছিল; মাঝপথে এসে ঠিক ততটাই ঝিমিয়ে পড়ে তাদের কার্যক্রম। বর্তমানে ইংল্যান্ডের ফুটবলে শীর্ষ ৫-এ অবস্থান করছে। তারা দুটি সময়ে সফলতা পেয়েছে। একটি ১৯৬০ দশকের শেষভাগ ও ১৯৭০ দশকের শুরুতে এবং

১৯৯০ দশকের শেষভাগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত। চেলসি চারটি লিগ শিরোপা, সাতটি এফএ কাপ শিরোপা, চারটি লিগ কাপ, দুটি  উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ, একটি উয়েফা সুপার কাপ, একটি উয়েফা ইউরোপা কাপ, একটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে। চেলসি হলো ইতিহাসের প্রথম ক্লাব যারা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পরের বছরই উয়েফা ইউরোপা কাপ জিতেছে। চেলসির ৪২ হাজার ৫৫ দর্শক ধারণক্ষমতার নিজস্ব মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ পশ্চিম লন্ডনের ফুলহ্যাম এলাকায় অবস্থিত। ২০০৩ সালে ক্লাবটি কিনে নেন রাশিয়ান তেল ব্যবসায়ী রোমান আব্রামোভিচ। ক্লাবের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হচ্ছে নীল রঙের জামা ও শর্টস এবং সাদা মোজা। দলের প্রতীক হচ্ছে একটি সিংহ। ২০০৫ সালে প্রতীকটি পরিবর্ধিত করা হয়।

 

৮৮৭ মিলিয়ন ডলার

পিএসজি [ফ্রান্স]

ফরাসি ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্লাব পিএসজি। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি সম্প্রতি ইউরোপীয় ফুটবলে অন্যতম শক্তিশালী ফুটবল দল হিসেবে আবিভর্‚ত হয়েছে। কিছু দিন আগে পিএসজিতে যোগ দেন ফুটবল জাদুকর মেসি। তাকে দলে নিতে পারার মতো ক্ষমতা ইউরোপিয়ান ফুটবলে যে কয়টি ক্লাবের আছে তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে পিএসজি। পিএসজির প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফি। যিনি কাতারের অরিক্স কাতার ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির মালিক। জনপ্রিয় ক্লাবটির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ক্লাবের অফিশিয়াল স্টোর ও জাদুঘর মূল আয়ের উৎস হলেও করোনা মহামারীর কারণে সেটাও বন্ধ। এ অবস্থায় আয়ের নতুন পথ হিসেবে সমর্থকদের জন্য ফ্যান টোকেনের ব্যবস্থা করে ক্লাবটি। এ ক্ষেত্রে ভক্তরা পকেটের টাকা খরচ করে ফ্যান টোকেন কেনেন।  বিনিময়ে তারা পান ক্লাবের বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনা, ভোটে অংশ নেওয়া, মতামত দেওয়া, এক্সক্লুসিভ জিনিসপত্রের সুবিধা পাওয়া, খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করতে পারা, পছন্দের জায়গায় বসে ম্যাচ দেখতে পারাসহ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা।

 

.১৭ বিলিয়ন ডলার

বায়ার্ন মিউনিখ [জার্মানি]

ফুটবল ইতিহাসে সফলতম ক্লাবগুলোর মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখ অন্যতম। জার্মানরা রীতিমতো ফুটবল নিয়ে গবেষণা করে। তাদের গবেষণা খেলাটাকে সুন্দর করা নিয়ে নয়, বরং সফলতার জন্য। এ কারণেই দেখা যায়, ব্রাজিলের শিল্প এবং স্পেনের টিকি-টাকা জার্মানির মেশিনের মতো ফুটবলের কাছে বারবার মার খায়। জার্মান জাতীয় দলের ছায়া যেন বায়ার্ন মিউনিখ। দলটা ১৯০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয় অ্যালাইঞ্জ অ্যারিনাকে কেন্দ্র করে। তবে শুরুতেই সফল হতে পারেনি ক্লাবটি। জার্মান লিগ শুরু হয় ১৯০৩ সাল থেকে। তখন লিপজিগ, বার্লিন, নুরেমবার্গের মতো দলের দাপট ছিল। বায়ার্ন মিউনিখ প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা জিতে ১৯৩২ সালে। এটি জার্মানির ব্যাভারিয়া প্রদেশের রাজধানী মিউনিখে অবস্থিত একটি জার্মান ক্রীড়া দল। ক্লাবটির বার্ষিক আয় প্রায় ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত আন্তমহাদেশীয় কাপ,  উয়েফা কাপ শিরোপা, একটি উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ শিরোপাসহ বহু কাপ জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ।

সর্বশেষ খবর