শিরোনাম
রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিশ্বে খ্যাতিমান যত বাঙালি

সাইফ ইমন

বিশ্বে খ্যাতিমান যত বাঙালি

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছেন খ্যাতিমান বাঙালিরা। তাঁদের নানা অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে গোটা পৃথিবী। বিশ্ব রাজনীতি থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, শিল্পকলা, গবেষণা প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁরা নিজেদের নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।  খ্যাতিমান কয়েকজনকে নিয়ে আজকের রকমারি। পরবর্তীতে বিশ্বপরিসরে সফল বাঙালিদের নিয়ে আরও আয়োজন থাকবে।

 

এফ আর খান

২০ শতকের শ্রেষ্ঠ প্রকৌশলী মানা হয় স্থপতি ও পুরকৌশলী এফ আর খানকে...

এফ আর খান বা ফজলুর রহমান খানকে বলা হয় বিশ্বখ্যাত স্থপতি ও পুরকৌশলী। তিনি পৃথিবীর অন্যতম উচ্চ ভবন শিকাগোর সিয়ারস টাওয়ারের নকশা প্রণয়ন করেন; যা বর্তমানে উইওলস টাওয়ার নামে পরিচিত। তাঁকে বিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রকৌশলী বলা হয়। বারাক ওবামা ২০০৯ সালে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘আমরা শ্রদ্ধা জানাই এক বাঙালি প্রকৌশলীকে। তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কারণ আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আকাশচুম্বী ভবনটি তাঁরই নকশা করা। বারাক ওবামা যাঁকে কৃতজ্ঞ চিত্তে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তিনি ড. ফজলুর রহমান খান বা এফ আর খান। ফজলুর রহমান খান ১৯২৯ সালের ৩ এপ্রিল মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৪ সালে আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতার শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন।

 

অমর্ত্য সেন

দরিদ্রতা দূরীকরণ, সামাজিক কল্যাণকর অর্থনীতির ওপর অমর্ত্য সেনের কাজ বিশ্বনন্দিত...

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। চার্লস্টন-ইএফজি জন মেনার্ড কিনেস পুরস্কারও জিতেছেন এই অর্থনীতিবিদ। অমর্ত্য সেনের অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে বিশ্বব্যাপী নানা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য, সামাজিক পছন্দ ও কল্যাণকর অর্থনীতির ওপর অমর্ত্য সেনের কাজ বিশ্বনন্দিত। পৃথিবীজুড়েই তাঁর বহু ‘ডেভেলপমেন্ট পলিসি’ সার্বিকভাবে গৃহীত। অমর্ত্য সেন আত্মজীবনীতে বলেছেন, ‘আমার পৈতৃক বাড়ি হচ্ছে পুরান ঢাকার ওয়ারি অঞ্চলে রমনায়- বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছেই। আমার বাবা আশুতোষ সেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিস্ট্রি পড়াতেন। আমার জন্ম অবশ্য শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে।  আমার মাতামহ সেখানে অধ্যাপক ছিলেন।’ তিনি নিজেকে ঢাকা এবং কলকাতার দুই স্থানেরই একজন বলে মনে করেন।

 

স্যার ফজলে হাসান আবেদ

সমাজের নানা ক্ষেত্রে অতুলনীয় কাজ করে গেছেন মানুষের কল্যাণে...

স্যার ফজলে হাসান আবেদ ছিলেন একজন সমাজকর্মী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্বস্বাস্থ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। দারিদ্র্যবিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায়, সব হারানো মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনকল্পে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন।  বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা বিস্তারে ব্র্যাক বিশেষ অবদান রেখেছে। ব্র্যাক বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

রাধা বিনোদ পাল

জাপানিদের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে রাধা বিনোদ পালের নাম...

রাধা বিনোদ পাল নিজেই একজন ইতিহাস। স্বদেশের সীমানা ছাড়িয়ে জাপানে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ থেকে ৪৮ সাল পর্যন্ত জাপানের রাজধানী টোকিও মহানগরে জাপানকে যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত করে যে বিশেষ আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হয়, ড. রাধা বিনোদ পাল ছিলেন সেই আদালতের অন্যতম বিচারপতি। তিনি তাঁর রায় দিয়ে জাপানকে যুদ্ধাপরাধ থেকে মুক্ত করেন। পরবর্তীতে এ রায় বিশ্বনন্দিত ঐতিহাসিক রায়ের মর্যাদা পায়। এরপর ড. রাধা বিনোদ পালকে সম্মানসূচক ডিলিট প্রদান করা হয়। জাপান সম্রাট হিরোহিতোর কাছ থেকে জাপানের সর্বোচ্চ সম্মানীয় পদক ‘কোক্কা কুনশোও’ গ্রহণ করেছিলেন। জাপানের রাজধানী টোকিওতে তাঁর নামে রাস্তা রয়েছে।  কিয়োটো শহরে রয়েছে তাঁর নামে জাদুঘর, রাস্তার নামকরণ ও স্ট্যাচু।

 

মার্গারিটা মামুন

অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করে বলেন, এই অর্জন শুধু রাশিয়ার নয় এই অর্জন বাংলাদেশেরও...

‘দ্য বেঙ্গল টাইগার’ তাঁর ডাকনাম! বাবা-মা রিতা নামে ডাকেন। কিন্তু পুরো নাম মার্গারিটা মামুন। জন্ম রাশিয়ার রাজধানী শহর মস্কোয় হলেও বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহীতে। বাবা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন রাশিয়ায় পড়তে যান। তখন  থেকেই রাশিয়ায় থাকে মামুন পরিবার। সে কারণেই বাংলাদেশ-রাশিয়ার দ্বৈত নাগরিক মামুন-আন্না দম্পতির সন্তান মার্গারিটা মামুন। এই মার্গারিটা মামুনই রিও অলিম্পিকে রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে সোনা জিতে হইচই ফেলে দেন। রাশিয়ার হয়ে সোনা জিতলেও মার্গারিটা বলেছেন, এই অর্জন বাংলাদেশেরও।  কেননা জুনিয়র পর্যায়ে একবার বাংলাদেশের হয়েও অংশগ্রহণ করেছেন। ৭৬.৪৮৩ স্কোর করে অলিম্পিক থেকে প্রথম সোনা জিতেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই মেয়ে। তাঁর চেয়ে কম ৭৫.৬০৮ স্কোর করে সিলভার জিতেন রাশিয়ার ইয়ানা কুদ্রিয়াসেভা।

 

মুহাম্মদ আশরাফুল আলম

ইলেকট্রিক সেন্সর উদ্ভাবন করে বিশ্বে নিজেকে আলাদাভাবে চিনিয়েছেন  এই বিজ্ঞানী...

বাংলাদেশের গর্ব বিজ্ঞানী মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। নতুন  ‘ইলেকট্রিক সেন্সর’ উদ্ভাবন করেন। সহযোগী হিসেবে ছিলেন আইদা ইব্রাহিম ও জয় এন গুপ্তা। খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে তাঁদের এই সেন্সর যুগান্তকারী এক আবিষ্কার। উদ্ভাবিত সেন্সর দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই জীবিত ও মৃত ব্যাকটেরিয়ার কোষ শনাক্ত করা যাবে। ফলে রোগ নির্ণয় হবে আগের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভুল। একই সঙ্গে সব ধরনের খাবারের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে পুরোপুরিভাবে। ব্যাকটেরিয়া কালচার করার জন্য সনাতন পদ্ধতিতে বেশ সময় লাগে। সেটিকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছিল এ গবেষণার আগে। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কীভাবে আরও নির্ভুল করা যায় তা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করে আসছিলেন। এ ইলেকট্রিক সেন্সরটি সেই কাজগুলোর একটি ভালো উত্তর হতে যাচ্ছে। শতাধিক ইলেকট্রিক সেন্সর থাকছে একটি ইলেকট্রিক চিপে।

 

আবেদ চৌধুরী

এ পর্যন্ত ৩০০ রকমের নতুন ধান আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী...

ড. আবেদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এক জিন বিজ্ঞানী। জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজারে। যুক্তরাষ্ট্রে কৃষি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা শেষে চাকরি নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন দ্বীপ মহাদেশ অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানকার জাতীয় গবেষণা সংস্থার প্রধান ধান-বিজ্ঞানী হিসেবে ধানের জিন নিয়ে গবেষণা করে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের ২০টি বছর। এ পর্যন্ত ৩০০ রকমের নতুন ধান আবিষ্কার করেছেন ড. আবেদ চৌধুরী। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ ফলনশীল ধান উৎপাদন ও ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে গবেষণা করছেন। পৃথিবীর প্রথম সারির জীববিজ্ঞান গবেষকদের একজন তিনি। কৃষকদের হাইব্রিড পদ্ধতি শিখিয়ে দেন যাতে তারা বেশি উৎপাদন করতে পারেন। পাশাপাশি সনাতন বীজ  সংরক্ষণ প্রক্রিয়াকেও টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন, যাতে একাধিক উপায়ে সংরক্ষণ পদ্ধতি বীজের শর্ত ঠিক রাখে।

 

শুভ রায়

কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কার করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে চমক সৃষ্টি করেন বিজ্ঞানী শুভ রায়...

বাঙালি বিজ্ঞানী শুভ রায়। তিনি কিডনি চিকিৎসায় নিয়ে এসেছেন যুগান্তকারী উদ্ভাবন। রোগীদের জন্য নিয়ে এসেছেন শুভ বার্তা। তিনি কৃত্রিম কিডনি তৈরি করে চারদিকে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন। আকারে হাতের মুঠোর সমান এবং তুলনামূলক অনেক কম খরচে পাওয়া যাবে কৃত্রিম এই কিডনি। খুব শিগগিরই বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে কৃত্রিম কিডনির। শুভ রায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হিসেবে আছেন। আমেরিকায় তৈরি এই যন্ত্র আপাতত সে দেশের কয়েক হাজার রোগীর দেহে পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হয়েছে। শারীরিক সুরক্ষা ও সর্বাঙ্গীণ সাফল্যের পরীক্ষায় টিকে গেলে বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেবে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক এফডিএ। এই কিডনি স্বাভাবিক কিডনির মতো রক্ত শোধন করা ছাড়াও হরমোন উৎপাদন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।

 

শফিকুল ইসলাম

স্যাটেলাইটের ছবি ব্যবহার করে কলেরার প্রাদুর্ভাবের ভবিষ্যদ্বাণী করার মডেল আবিষ্কার...

বিজ্ঞানী শফিকুল ইসলামের নাম এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করে কলেরার প্রাদুর্ভাবের ভবিষ্যদ্বাণী করার মডেল উদ্ভাবন করেছেন ড. শফিকুল ইসলাম। এর জন্য তিনি ২০১৬ সালের সপ্তম প্রিন্স সুলতান বিন আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ওয়াটার (পিএসআইপিডব্লিউ) পেয়েছেন। এ ছাড়াও বিজ্ঞানজগতে তিনি অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বর্তমানে ড. শফিকুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস ইউনিভার্সিটির নির্মাণ ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক। তিনি পানি কূটনীতি (ওয়াটার ডিপ্লোমেসি) প্রোগ্রামের পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। পানি গবেষণা, পানি প্রকৌশল, পানি কূটনীতি, বন্যা পূর্বাভাস, পানিনীতি পরিকল্পনা ও ভূ-প্রকৃতিবিদ্যা, পানিবিষয়ক ইন্টারডিসিপ্লিনারি গবেষণার জন্য তিনি পৃথিবী বিখ্যাত।  ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি উন্নয়ন পরিকল্পনাতেও ভূমিকা রেখেছেন।

 

সালমান খান

সালমান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সালমান খান এখন বিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু...

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মার্কিন শিক্ষা গবেষক, উদ্যোক্তা এবং ‘খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সালমান আমিন খান। খান একাডেমি সবার কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি উন্মুক্ত অনলাইনভিত্তিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। তিনি ছোট একটি অফিস থেকে এটি শুরু করেছিলেন। একাডেমি নিজের ওয়েবসাইট ও ইউটিউবের মাধ্যমে গণিত ও বিজ্ঞানসহ ৩ হাজার ১০০-এর বেশি বিষয়ের ওপর ৬ হাজার ৫০০-এর বেশি ভিডিও তৈরি করেছেন। ২০১২ সালে মার্কিন পত্রিকা টাইমের জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির বার্ষিক তালিকা তৈরি করে। সেখানে একটি উল্লেখযোগ্য নাম খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সালমান আমিন খান।  অসাধারণ সব পরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য গুগল ঘোষণা করে ‘প্রজেক্ট টেন টু দ্য হানড্রেড’ নামে ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার।

 

পিসি সরকার

আন্তর্জাতিক জাদুশিল্পী পিসি সরকার তাঁর জাদুতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বকে...

জাদুশিল্পী পিসি সরকারের পুরো নাম প্রতুল চন্দ্র সরকার। আধুনিক বাঙালিদের মধ্যে যে কয়জন ক্ষণজন্মা মানুষ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন, ঐন্দ্রিজালিক পিসি সরকার তাঁদের মধ্যে অন্যতম। জাদুশিল্পকে তিনি সব রাষ্ট্রে ছড়িয়ে দিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলা ও বাঙালিকে গৌরবোজ্জ্বল জাতি হিসেবে নতুনভাবে পরিচিত করেছেন। ১৯১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার আশেকপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আর শিক্ষাজীবন শুরু হয় স্থানীয় শিবনাথ হাইস্কুলে। তাঁর বাবার নাম ছিল ভগবান চন্দ্র সরকার। মা কুসুম কামিনী দেবী। পিসি সরকাররা ছিলেন দুই ভাই। পিসি সরকার বড়, ছোট ভাই অতুল চন্দ্র সরকার বা এসি সরকার। ছোটবেলা থেকেই জাদুবিদ্যার প্রতি কৌতূহল এবং কিছুটা বংশগত ঐতিহ্যও তাঁকে এ পেশায় আগ্রহী করে তোলে। সে সময়ের বিখ্যাত জাদুকর গণপতি চক্রবর্তী ছিলেন তাঁর জাদুবিদ্যার গুরু।

 

মাকসুদুল আলম

পাটের জিন আবিষ্কার এক যুগান্তকারী অর্জন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশি জিনতত্ত্ববিদ...

ড. মাকসুদুল আলম ছিলেন একজন বাংলাদেশি জিনতত্ত্ববিদ। তাঁর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফটের একদল উদ্যমী গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১০ সালের মাঝামাঝি সফলভাবে উন্মোচিত হয় পাটের জিন নকশা। ২০১০ সালের ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। তিনি ফরিদপুরে ১৯৫৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে স্বাধীনতার পর মাকসুদুল আলম চলে যান রাশিয়ায়। সেখানে অণুপ্রাণবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে জার্মানিতে বিখ্যাত ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৭ সালে প্রাণরসায়নে আবারও পিএইচডি করেন।

সর্বশেষ খবর