বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

বুড়িগঙ্গা ফিরছে দৃষ্টিনন্দন রূপে

উবায়দুল্লাহ বাদল

বুড়িগঙ্গা ফিরছে দৃষ্টিনন্দন রূপে

ছবি : আবু তাহের খোকন

বুড়িগঙ্গা নদীকে রাজধানী ঢাকার প্রাণ বলা হয়। প্রায় ১০০ বছর আগে প্রবহমান ছিল এই নদী। ওই সময় নদীর তীর ছিল দৃষ্টিনন্দন। পাল তোলা নৌকায় চড়ে দেখা যেত ‘আহসান মঞ্জিল’ ‘লালকুঠি’ ও ‘রূপলাল হাউস’সহ নদীর দুই পাড়ের অপরূপ দৃশ্য। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সে সৌন্দর্য এখন হারিয়ে গেছে। বুড়িগঙ্গা তীরকে খোলামেলা ও বিনোদন স্পট হিসেবে ফের দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। নদীকে পুরনো চেহারায় ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নদীর দুই পাশে প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ এবং হাতিরঝিলের চেয়ে আধুনিকভাবে সজ্জিত করে নদীর দুই পাড়ের ৫২ কিলোমিটার এলাকাকে দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি করা হবে।

ভাবুন তো, আপনি বুড়িগঙ্গা তীর ধরে হাঁটছেন, সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য দেখছেন। রূপলাল হাউসের সামনের খোলা প্রান্তরে নির্মল পরিবেশ উপভোগ করছেন। এ দালানের সাদা দেয়ালের ওপর পড়া রোদ আপনার মুখে পড়ছে। অন্যরা নদীতীর ধরে হাঁটতে হাঁটতে নির্মল বাতাস গায়ে মাখছেন। কিছুক্ষণ পর পরই হকার এসে বলছেন, চা খাবেন? বাড়ি ফেরার আগে জনসন হলের লাইব্রেরি কিংবা নর্থব্রুক হলের সন্ধ্যার শো দেখে আসতে পারেন। এ দুটি ভবন ১৮৭৯ সালে নির্মিত, যাকে অনেকে চেনেন লালকুঠি নামে। এই যে কল্পিত ঘটনা এখন দেখছেন, যা শত বছর আগেও ছিল বুড়িগঙ্গা তীরের একটি বিকাল। সে সময়ও বুড়িগঙ্গার তীর ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনোদনের জন্য জনপ্রিয় ছিল। নৌকাবাইচ, উৎসব-পার্বণে বুড়িগঙ্গা তীরে বিশেষ করে নদীর উত্তর প্রান্তে মানুষ ভিড় করত। ধনী ব্যক্তিরা এ নদীর দিকে মুখ করে বড় বড় দালান ও প্রাসাদতুল্য বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। ১৮৭২ সালে আহসান মঞ্জিল ও ১৮২৫ সালে রূপলাল হাউস সে ইতিহাসেরই সাক্ষী হয়ে টিকে আছে। নদীতীর এভাবেই জমে উঠেছিল, ব্যস্ততায় ও নান্দনিকতায়- এভাবেই সে সময়ের কথা বর্ণনা করেছেন প্রফেসর শরীফ উদ্দিন আহমেদ। তার ইতিহাসভিত্তিক বই, যার শিরোনাম, ‘ঢাকা : অ্যা স্টাডি ইন আরবান হিস্টোরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’, সে বর্ণনা পাওয়া যায়।

বতর্মানে বুড়িগঙ্গা যেন সে সোনালি অতীতের পুরো বিপরীত একটি চিত্র। অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ এবং অবহেলার কারণে বুড়িগঙ্গা তীরের বেশির ভাগ ঐতিহাসিক স্থাপনা হারিয়ে গেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বা ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এরই মধ্যে বুড়িগঙ্গা তীরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যমন্ডিত স্থাপনা রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। লালকুঠি ও রূপলাল হাউস সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। এ ধরনের পদক্ষেপ তার নির্বাচনী অঙ্গীকারনামায় ছিল। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআইডব্লিউটিএ)-কে একটি চিঠি দিয়েছে ডিএসসিসি। এ চিঠিতে বলা হয়, লঞ্চের জেটি ঘাট যেন লালকুঠির সামনের অংশ ও আহসান মঞ্জিল সংলগ্ন বাকলেন্ড বাঁধ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ ১৯৬০ সাল থেকে এখানে লঞ্চের জেটি ঘাট পরিচালনা করছে।

ডিএসসিসির চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক। গতকাল তিনি মোবাইল ফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বুড়িগঙ্গা নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ তৈরি করতে আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি। প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায় চলমান। দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর দুই পাশে ওয়াকওয়ে, বনায়ন ও ইকোপার্ক নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় নদীর তীরভূমিতে ওয়াকওয়ে হবে ৩৪ কিলোমিটার। কলামের ওপর ওয়াকওয়ে হবে ১৮ কিলোমিটার। তীর রক্ষায় কাজ হবে ২৫ কিলোমিটার। আরসিসি সিঁড়ি নির্মাণ হবে ৮০টি, নদীর সীমানা পিলার হবে ৭ হাজার ৫৬২টি। ভারী যানবাহনের জন্য জেটি নির্মাণ হবে ১৪টি, বসার বেঞ্চ নির্মাণ হবে ২৯১টি এবং নদীর তীরভূমিতে ইকোপার্ক হবে তিনটি। সদরঘাট ও কেরানীগঞ্জের যাত্রীসেবার জন্য ঘাট নির্মাণ করা হবে চারটি। আহসান মঞ্জিল ও লালকুঠির সামনে উন্মুুক্তকরণের বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আলোচনা হয়েছে। তারাও (ডিএসসিসি) এ বিষয়ে কাজ করছে। আমাদের প্রকল্প ও সিটি করপোরেশনের প্রকল্প সমন্বয় করেই আমরা কাজ করব। আশা করি এ বিষয়ে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হবে না।’

অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, বুড়িগঙ্গা তীরে এই উন্নয়ন পরিকল্পনা কেন ঢাকাবাসীর জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল? ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার প্রফেসর অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল হিস্টোরিয়ান হিসেবে পরিচিত স্পাইরো কনস্টেনটাইন কসতোভের লেখা বই, ‘দ্য সিটি অ্যাসেম্বেলড’। সে বইয়ে উঠে এসেছে এমন সব শহরের কথা যেগুলো বিখ্যাত নদী ও লেকের তীরে গড়ে উঠেছে। সেখানে তুলে ধরেন কীভাবে একটি নদী তার তীরে গড়ে ওঠা শহরের গতি-প্রকৃতির ওপর প্রভাব ফেলে। তিনি দেখিয়েছেন, নদীর সঙ্গে শহরের বেড়ে ওঠার এ চিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের নানা প্রান্তে এমন উদাহরণ পাওয়া যায়। সুন্দর ও আধুনিক শহরগুলো নদীতীর থেকে দৃষ্টিনন্দন। লন্ডনের আছে টেমস, নিউইয়র্কের আছে হাডসন, প্যারিসের আছে দ্য সেইন এবং বিখ্যাত নদী দানিউবের তীরে গড়ে উঠেছে ইউরোপের তিনটি বড় শহর। ঢাকা হয়তো সবচেয়ে দুর্ভাগা শহর, যার বুকে বুড়িগঙ্গার মতো নদী থাকার পরও আজ সে নদী নিয়ে অহংকার ও বিনোদন পাওয়ার মতো কিছু অবশিষ্ট নেই এ শহরবাসীর।

১৮৬৪ সালে নির্মিত হয় বাকল্যান্ড বাঁধ। এ বাঁধ নির্মিত হওয়ার পর ব্যস্ত হয়ে ওঠে বুড়িগঙ্গা। তার কিছু বছর আগেই এখানে চলতে শুরু করে প্রাইভেট স্টিমার। বাঁধটির নামকরণ হয় তৎকালীন ঢাকা কমিশনার চার্লস থমাস বাকল্যান্ডের নামে। বুড়িগঙ্গার উত্তর প্রান্তে একটি নির্মিত হয়। তখন ঢাকার শহরের উত্তর প্রান্তে বন্যা, নদী ভাঙন রোধ ও সাধারণের চলাচলের সুবিধা বাড়াতে এ বাঁধ গড়ে তোলা হয়। তখন কার্গো নামানোর জন্য এ নদীবন্দর ব্যবহৃত হতো। প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ প্রফেসর আবদুল করিম ১৯৯১ সালে একটি বই লেখেন। বইটির শিরোনাম ছিল, ‘অরিজিন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব মুঘল ঢাকা।’ সেখানে তিনি বলেন, এ বাঁধ নির্মাণ নদীতীরের চেহারায় বড় পরিবর্তন আনে। বুড়িগঙ্গা তীর বিনোদনপ্রেমীদের জন্য গড়ে তোলার কথা প্রথম মাথায় আসে ব্রিটিশ শাসকদের। ১৯১৭ সালে স্যার প্যাট্রিক গেডিসকে নগর পরিকল্পনার জন্য সে সময় নিয়োগ করা হয়েছিল। গেডিস পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে বেশ সচেতন ছিলেন। বাকল্যান্ড বাঁধের কারণে বুড়িগঙ্গা যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা বুঝতে পেরেছিলেন। সে সময় তিনি নদীতীর বলতে বর্তমানে পুরো ঢাকা শহরটাকেই চিহ্নিত করেছিলেন। ১৯৫৮ সালের ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি)-এর মাস্টারপ্ল্যান, ১৯৯৫ সালের ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (ডিএমডিপি) এবং ২০১০ সালের ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ), কিছু নির্দিষ্ট নদীতীর উন্মুক্ত রাখার ব্যাপারে সুপারিশ করে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করেছে। এসব পরিকল্পনার ফলাফল ছিল, এখন যা দেখতে পাচ্ছি আমরা-বুড়িগঙ্গা তীরের করুণ চিত্র।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ২০০৮ সালে সরেজমিন একটি নিরীক্ষা চালিয়েছে। সে সময় তারা বুড়িগঙ্গার ২৩৭৫.৫৭ একর দীর্ঘ নদীতে উন্মুক্ত অংশ পেয়েছিল মাত্র ০.৬৬ শতাংশ। এ অংশে ৫৩ হাজার ৯৯৪টি দালান রয়েছে, যার মধ্যে ৩৫ হাজার ৯৩৫টি দালান মাত্র ২৫ বছরের পুরনো। নিকট অতীতে নগরায়ণের ফলে নদীতীর কীভাবে ধ্বংস হয়েছে তারই একটি বাস্তব চিত্র পাওয়া যায় রাজউকের এই নিরীক্ষার মাধ্যমে। সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কংক্রিটের স্থাপনা আর বিআইডব্লিউটিএর টার্মিনাল রূপলাল হাউস, আহসান মঞ্জিল এবং লালকুঠিকে যেন ঢেকে ফেলেছে। নদী থেকে নৌ-যাত্রীরা এসব দালান দেখতে পান না। ডিএসসিসি বুড়িগঙ্গার তীরকে নতুন করে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য গড়ে তুলতে চাইছে। শহরের মেয়র বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কাছ থেকে মৌখিক অঙ্গীকার নিয়েছেন যেন লালকুঠির সামনে থেকে লঞ্চঘাট পাগলায় সরিয়ে নেওয়া হয়। ডিএসসিসি কর্মকর্তাদের সূত্র বলছে, লালকুঠি ও রূপলাল হাউসের চারপাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা শিগগিরই সরিয়ে ফেলা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে নদী থেকে এ দুটি ঐতিহাসিক দালান ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে চমৎকারভাবে চোখে পড়বে। অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দেওয়া হলে দুটি দালানের সীমানা একত্রিত হবে এবং ২৫০ মিটার প্রশস্ত এ অংশটি আরও দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে। এ ছাড়াও পায়ে হাঁটার প্রশস্ত পথ নির্মিত হবে এবং নদীর তীর পাথর দিয়ে বাঁধাই করা হবে। রূপলাল হাউসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় আগের রূপ ফিরিয়ে দিতে একটি ঘাটও বানানো হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাঁচটি কনসালটিং ফার্ম যার দুটি কোরিয়ান এবং তিনটি স্থানীয় এরই মধ্যে ‘কনসেপচুয়াল ডিজাইন’ বা  উন্নয়ন নকশা তৈরি করছে। বিশ্বব্যাংক এই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থায়ন করবে। ডিএসসিসির একটি সূত্র বলছে, নকশা অনুমোদন পেলে একটি ডিজিটাল নিরীক্ষা করা হবে। নকশার চূড়ান্ত ব্লু প্রিন্ট পাওয়ার পর মোট বাজেট করা হবে। বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙা ও অন্য জায়গায় সরানোর জন্যও বাজেট নির্ধারিত থাকবে। যেমন বুড়িগঙ্গার সামনে নির্মিত একটি মসজিদ এখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার খরচও ধরা হয়েছে। বর্তমানে লালকুঠির মালিকানা রয়েছে ডিএসসিসির হাতে। কিন্তু যারা উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে তাদের রূপলাল হাউসও অধিগ্রহণ করতে হবে। এ দালানটির মালিকানা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এস্টেট ডিপার্টমেন্টকে এ দালানের মালিকানা প্রদানের জন্য মেয়র ইতোমধ্যে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। সূত্রটি বলছে, এ দুই ঐতিহাসিক দালানের চারপাশে থাকা ফল, পান এবং মসলার গোডাউন অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে। এসব কারণে ডিএসসিসির উন্নয়ন পরিকল্পনা গতি হারিয়েছে। সব অবৈধ স্থাপনা এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। যারা এখানে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার কোনো উদ্যোগ গত ৫০ বছরে নেওয়া হয়নি। বর্তমান ডিএসসিসি প্রশাসন সেই কাজটি শুরু করতে চাইছে। যদি ডিএসসিসি এ কাজে সফল হয় তবে অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া যাবে।

স্থপতি তৈমুর ইসলাম আরবান স্টাডিজ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সেভ ওল্ড ঢাকা ক্যাম্পেইনের অর্গানাইজার। তিনি বিশ্বাস করেন, বুড়িগঙ্গা তীরে এই উন্নয়ন পরিকল্পনা যেন দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন পরিকল্পনারই অংশ হয়। ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষার ব্যাপারে যেন বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভবিষ্যৎ নগরীর কথা ভেবেই যেন এই উন্নয়ন করা হয়। তিনি আরও বলেন, বুড়িগঙ্গা তীরে আরও কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। সেগুলো রক্ষার বিষয়টি যেন এই পরিকল্পনায় যোগ করা হয়। বুড়িগঙ্গা তীর রক্ষা হলে ঐতিহাসিক স্থাপনা যেমন রক্ষা পাবে তেমন ‘বঙ্গবন্ধু-চীন ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ’ এবং ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী ব্রিজ’ ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীর উত্তরপ্রান্ত পর্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়ন হবে। সরকার চাইলে এখানের ঐতিহ্য সংস্কার করে সংরক্ষণ করতে পারে। তবে এ জন্য প্রয়োজন আরও বিস্তারিত ও ব্যাপক আকারের পরিকল্পনা। নইলে এমন প্রচেষ্টা সফল হবে না বলে মনে করেন তৈমুর ইসলাম।

সর্বশেষ খবর