রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত ঘড়ি

আবদুল কাদের

বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত ঘড়ি

লন্ডনের বিগ বেন

লন্ডনের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাগুলোর একটি যুক্তরাজ্যের হাউস অব পার্লামেন্টের অংশ বিগ বেনের নাম দ্য ক্লক টাওয়ার। এটি যুক্তরাজ্যের নববর্ষ উদযাপনেরও কেন্দ্রস্থল। এ ছাড়া টাওয়ারটি দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেন ব্রিটেনে। ৯৬ মিটার উঁচু বিখ্যাত স্থাপনাটি নিও গথিক শৈলীতে নির্মিত। এর চারদিকে চারটি ঘড়ি রয়েছে। ‘ক্লক টাওয়ারটি’র নকশা করেছিলেন অগাস্টাস পুগিন। ১৮৫৯ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। টাওয়ারটির চূড়ায় আরোহণ করতে সিঁড়ির ৩৯৩টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। লন্ডনের কেন্দ্রে টেমস নদীর তীরে এটি অবস্থিত। ১৬২ বছরের বেশি পুরনো টাওয়ারটির ডাকনাম ‘১৩ টন গ্রেট বেল’। তবে এটি বিগ বেন নামেই সুপরিচিত।

অনেকের কাছে বিগ বেন ‘লন্ডন বেল’ বলেও পরিচিত। ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যের রানীর সিংহাসন আরোহণের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিখ্যাত ‘বিগ বেন’ ঘড়ির টাওয়ারের নাম পাল্টে এলিজাবেথ টাওয়ার রাখা হয়। যদিও অ্যা ইউগভ-এর এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় অর্ধেক নাগরিক বিগ বেনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। মাত্র ৩০ ভাগ নাগরিক এটি সমর্থন করেছেন। ১৩.৭ টন ওজনের ঘড়িটি দিনে চার ঘণ্টার ব্যবধানে বেজে উঠত। কিন্তু ২০১৭ সালে ভুবনখ্যাত ‘ক্লক টওয়ার’টি স্তব্ধ হয়ে যায়। মূলত সংস্কারের জন্য তখন সেটিকে বন্ধ রাখা হয়। এ সংস্কার কার্যক্রম ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা।

মক্কার বিখ্যাত ঘড়ি

মুসলিম সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন সৌদি আরবের বিখ্যাত ‘মক্কা রয়্যাল ক্লক টাওয়ার’। মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারাম থেকে ৫০ মিটার দূরেই অবস্থিত ‘আবরাজ-আল-বাইত’ হোটেলের ওপর নির্মিত ঘড়িটি স্থাপিত, যা কিনা ১৩০ তলা উপরে! এমনকি ঘড়িটি লন্ডনের বিখ্যাত বিগ বেনের চেয়েও ছয় গুণ বড়। গ্রিনিচ মান সময় বা গ্রিনিচ মান টাইম-এর বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছে ‘মক্কা টাওয়ার’। ৩৬ হাজার টন ওজনের ঘড়িটির নকশা করেছেন জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের স্থপতি। সুইস ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের ২৫০ জন অভিজ্ঞ ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে এই ঘড়ি স্থাপন করতে সময় লেগেছে আট বছর।

২০০৪ সালে ক্লক টাওয়ারটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়, আর শেষ হয় ২০১১ সালে। এর ব্যাস ৪৩ মিটার। মাটি থেকে উচ্চতা ৬০০ মিটার এবং এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে কার্বন ফাইবার। চতুর্মুখী ঘড়িটির চারপাশে করা হয়েছে মোজাইকের কারুকার্য করা শিলালিপি; যেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘আল্লাহু আকবার’ শব্দগুচ্ছ। ঘড়ির ভিতরে বিভিন্ন রঙের লেখাগুলো বসানো হয়েছে ১৪ হাজার কাচের টুকরোর সমন্বয়ে। প্রতিটি কাচের ওজন ১৬ টন; যা পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। দিনে ও রাতে ভিন্ন ভিন্ন রং ধারণ করে এই কাচগুলো।

 

গথিক রিভাইভাল

জার্মানির অন্যতম শহর মিউনিখের জনপ্রিয় টাওয়ার গথিক রিভাইভাল। সম্পূর্ণ নাম- গথিক রিভাইভাল নিউ টাউন হল। মিউনিখের প্রাণকেন্দ্র মারিয়েনপ্ল্যাটজ-এর পর্যটক আকর্ষণীয় ঘড়ি। ২৬০ ফুট উচ্চতার টাওয়ারটি রাথাউস গ্লোকেনস্পিয়েলের বাড়ি, যেখানে ৪৩টি ঘণ্টা এবং ৩২টি চিত্র রয়েছে। বিখ্যাত টাওয়ারটি ওপরের অংশে প্রতিদিন ১৬ শতকের ডিউক উইলহেম ভি-এর বিয়ের গল্প বলা হয়। কথিত আছে, সুখী দম্পতির সম্মানে বাভারিয়া (সাদা ও নীল) এবং লোথ্রিনজেন (লাল ও সাদা) প্রতিনিধিত্বকারী ঘোড়ার পিঠে আজীবন নাইটদের সঙ্গে লড়াই করে। তবে সে লড়াইয়ে বাভারিয়ান নাইট প্রতিবার জয়ী হয়। একই সময় নিচের অংশে কুপাররা শ্যাফ্লার্টানজ বা কুপারদের নৃত্য পরিবেশন করে। ঐতিহ্য অনুসারে, মিউনিখে নাচটি সঞ্চালিত হয় প্রতি সাত বছরে একবার।  ঘড়িটি ১৯০৮ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং ২০০৮ সালে শহরের ৮৫০তম জন্মদিনের আগে ২০০৬-০৭ সালে সম্মুখভাগ এবং ঘণ্টা মেরামত করা হয়েছিল।

ফিলাডেলফিয়া সিটি হল

ফিলাডেলফিয়া সিটি হল- পেনসিলভানিয়া শহরের অন্যতম আকর্ষণ। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যস্ততম নগরী পেনসিলভানিয়ায় টাওয়ারটির আশপাশে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাউন্সিলর ভবন, ফিলাডেলফিয়ার মেয়রের অফিস, এমনকি ঐতিহাসিক কোর্টহাউসও। যা পেনসিলভানিয়ার প্রথম বিচার বিভাগীয় জেলার হিসেবে বিবেচিত। বিখ্যাত ফিলাডেলফিয়া সিটি হল ১৮৯৪ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ভবনের খেতাব ধরে রেখেছিল। এর উচ্চতা ৫৪৮ ফুট (১৬৭ মিটার)। এই বিখ্যাত টাওয়ারের চারটি ঘড়ি আছে- যা টাওয়ারের চারপাশে অবস্থিত। প্রত্যেকটি ঘড়ির ব্যাস ৮ মিটার (২৬ ফুট)। ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৮৭১ সালে আর শেষ হয় ১৯০১ সালে। টাওয়ারটি নির্মিত হয়েছিল ইউরোপীয় দ্বিতীয় সাম্রাজ্যের আদলে। টাওয়ারটি নির্মাণে ব্যবহুত হয় ইট, সাদা মার্বেল এবং চুনাপাথর। টাওয়ারটির নকশা করেছিলেন স্কটিশ বংশোদ্ভূত স্থপতি জন ম্যাক আর্থার জুনিয়র এবং থমাস উস্টিক ওয়াল্টা। নির্মাণ শেষে ১৮৯৪ সালে টাওয়ারটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনের খেতাব অর্জন করে। তৎকালে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার হিসেবে স্বীকৃত ছিল ওয়াশিংটন মনুমেন্ট ও আইফেল টাওয়ার। ১৯৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক স্থাপনার স্বীকৃতি অর্জন করে। এ ছাড়াও ২০০৬ সালে ভবনটি আমেরিকার জাতীয় ঐতিহাসিক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং টাওয়ারের খেতাব পায়। আর সে খেতাব প্রদান করেছিল আমেরিকান সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন।

 

অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ক্লক

প্রাগের ‘অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ক্লক’। স্থানীয়দের কাছে ক্লক টাওয়ারটি ‘প্রাগ অরলজ’ নামে পরিচিত। এটি একটি মধ্যযুগীয় মহাজাগতিক ঘড়ি। ১৪১০ সালে নির্মিত ঘড়িটির নির্মাণ কাজ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। ১৮৬৫ সালে ঘড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয়; যা বর্তমান বিশ্বের চলমান প্রাচীনতম ঘড়ি। চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের জনবহুল ওল্ড টাউনে অবস্থিত ক্লক টাওয়ারটি। এক কথায়, শহরটির মূল আকর্ষণ হলো- প্রাগ অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল ক্লক; যা বিশ্বের প্রাচীনতম জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘড়ি। অর্থাৎ জ্যোতিষীরা সূর্য, চাঁদ ও নক্ষত্রের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্লক টাওয়ারটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যুদ্ধ সমাপ্তির পরই ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো পুনর্নির্মাণ করা হয়। এই ঘড়ির প্রধান বিশেষত্ব হলো- প্রাচীন বোহেমেনিয়ান সময় অনুযায়ী ঘড়ির সময় চলে। অর্থাৎ সময়ের শুরুটা হয় মূলত সূর্যাস্তের পরে এবং সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয়কে ১২ ঘণ্টা ধরে সময় পরিমাপ করা হয়। তাছাড়া ঘড়ির নিচের অংশে একটি ক্যালেন্ডারও যুক্ত রয়েছে!

 

টাওয়ার অব ওয়াইন্ডস

এথেন্সের টাওয়ার অব ওয়াইন্ডস পৃথিবীর প্রাচীনতম ঘড়ি। এটি এথেন্সের রোমান অ্যাগোরার অষ্টভুজ পেন্টেলিক মার্বেল ক্লক টাওয়ার, যেটি মূলত একটি হরোলজিন বা ‘টাইমপিস’ হিসেবে কাজ করে। মার্বেলে নির্মিত ৪০ ফুট লম্বা ক্লক টাওয়ারটির অস্তিত্ব এখনো রয়েছে সাবলীলভাবে। বিশ্বের প্রথম আবহাওয়া কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত টাওয়ার অব ওয়াইন্ডস। এর উচ্চতা ১২ মিটার এবং এর ব্যাস ৮ মিটার। জলের মাধ্যমে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে চালানো হতো প্রাচীনতম এই ঘড়িটি। সেজন্যই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই ঘড়িটি ‘ওয়াটার ক্লক’ নামে সর্বত্র পরিচিতি। ঘড়িটির নকশা করেন সাইরাসের অ্যান্ড্রোনিকাস। ৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ঘড়িটি নির্মাণ করা হয়।পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সূর্যঘড়ির পরেই ওয়াটার ক্লকের আবির্ভাব। অবশ্য এই টাওয়ারের ওপরেও একটি সূর্যঘড়ি রয়েছে।

সেভিয়র টাওয়ার

ঐতিহাসিক দুর্গঘেরা মস্কোর ক্রেমলিনের কথা বলতে গেলে চলে আসবে বিখ্যাত সেভিয়ার টাওয়ারের নাম। এর আরেক নাম স্প্যাসকায়া টাওয়ার। বিখ্যাত এই ঘড়ির টাওয়ারটি রেড স্কোয়ারের সেইন্ট বাসিলের কাছাকাছি অবস্থিত। টাওয়ারটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় ১৪৯১ সালে। ঘড়িটি স্থাপিত হয় ১৬২৫ সালে। এই ঘড়িটি মস্কো শহরের অন্যতম আকর্ষণ। প্রাথমিকভাবে, ক্রেমলিনের চার্চ অব ফ্রোল এবং লাভরের নামে টারওয়ারটির নামকরণ করা হয়েছিল ফ্রোলভস্কায়া টাওয়ার, যা এখন আর নেই। ক্লক টাওয়ারটি নকশা করেন ইতালির স্থপতি পিয়েত্রো আন্তোনিও। ২৩৩ মিটার উচ্চতার টাওয়ারটিতে ১৭০৬ সালে পিটার দ্য গ্রেট আবারও নতুন করে ঘড়ি বসান। এই ঘড়িটির রিম, কাঁটা ও সময় নির্দেশক সংখ্যাগুলো সম্পূর্ণ স্বর্ণের তৈরি। মোট ২৮ কেজি স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছিল এই ঘড়ি নির্মাণে। ঘণ্টাসহ ঘড়িটির ওজন ২৫ টন! ১৯১৭ সালে এই ঘড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক বছর পর ঘড়িটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। চতুমুখী এই ঘড়ির ডায়ালের প্রতিটির ব্যাস ৬ মিটারেরও বেশি। এর একেকটি ঘণ্টার কাঁটা প্রায় তিন মিটার লম্বা। মিনিটের কাঁটাটি প্রায় সাড়ে তিন মিটার লম্বা। দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক এলাকাটি ঘুরে দেখার সঙ্গে ঘড়িটিও দেখতে আসেন।

 

পিস টাওয়ার

পিস টাওয়ারটি কানাডার অটোয়া শহরের কেন্দ্রস্থল কানাডিয়ান পার্লামেন্টেরিয়ান কমপ্লেক্সে অবস্থিত। কানাডার বিজয় ও শান্তির প্রতীক পিস টাওয়ার। এ কারণেই বিখ্যাত টাওয়ারটি অফিসিয়ালি টাওয়ার অব ভিক্টোরি অ্যান্ড পিস নামে পরিচিতি। জানা গেছে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত ৬৫ হাজার কানাডিয়ান সৈনিকের স্মরণে ক্লক টাওয়ারটি নির্মাণ করা হয়। ১৯১৬ সালে পিস টাওয়ারে আগুন লাগে। ফলে ঘড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টাওয়ারটির বেশির ভাগ সেন্টার ব্লকসহ সংসদের লাইব্রেরি টিকে ছিল তখন। পরে ঘড়িটি ভিক্টোরিয়া টাওয়ারে প্রতিস্থাপন করা হয়। মূলত এটি কানাডার প্রাচীন ঐতিহ্য। টাওয়ারটির উচ্চতা ৩২০ ফুট। টাওয়ারের যে ঘড়ি রয়েছে তা ১৬ ফিট লম্বা। ঘড়ির সময় জানান দেওয়ার জন্য রয়েছে মোট ৫৩টি বেল বা ঘণ্টা; যা আকারে তিনটি বিশালাকৃতির হাতির সমান। ঘড়ির নকশা করেন জিন মার্চ্যান্ড এবং জন পিয়ারসন।

 

জিৎস্লগ ক্লক টাওয়ার

সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নের অন্যতম আকর্ষণ জিৎস্লগ ক্লক টাওয়ার। এটি বিশ্বের প্রাচীনতম ঘড়িগুলোর একটি। ত্রয়োদশ শতকের গোড়ার দিকে ক্লক টাওয়ারটি নির্মাণ করা হয়। সুইসবাসীর কাছে বিখ্যাত টাওয়ারটি শহরের নিরাপত্তাঘাঁটি, কারাগার, ক্লক টাওয়ার ও নাগরিক স্মৃতিসৌধ হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। টাওয়ারের ঘড়িটি মূলত পঞ্চদশ শতকের একটি জ্যোতির্বিদ্যা ঘড়ি। সাধারণ সময়ের পাশাপাশি এখানে জ্যোতির্বিদ্যার সময় জানা যায়। টাওয়ারটি নির্মিত হয় ১২১৮ থেকে ১২২০ সালের মধ্যে। সেই সময়ে টাওয়ার ছিল ১৬ মিটার লম্বা। পরে ১২৭০ সালের দিকে এই টাওয়ারের উচ্চতা ৭ মিটার বাড়ানো হয়। ঘড়ির ওপরের দরজা ১৫ শতকে বানানো হয়। দীর্ঘ ৮০০ বছরের নির্মাণ অস্তিত্বে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শাসক এই ঘড়ি সংস্কার করেন এবং একেকজন এর একেক রূপ দেন। তবুও বিখ্যাত ক্লক টাওয়ারটি দেশটির প্রাচীনতম স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত। ইউনেস্কো বার্নকে ঐতিহ্যবাহী স্থান ঘোষণা করার পর থেকে টাওয়ারটি বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। বর্তমানে স্থানটি জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। ইউরোপজুড়ে নির্মিত অন্যান্য ঘড়ির মতো জিৎস্লগ ক্লক টাওয়ারের ফাদার টাইম ঘণ্টায় ঘণ্টায় কাচ উল্টায় এবং সময় জানান দেওয়ার জন্য হাতুড়ি মারা হয়। এই ঘড়ির সব থেকে আকর্ষণীয় দিক হলো- সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় পুতুলের বিভিন্ন চরিত্ররা এসে এখানে নাচ দেখায়; যা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর