শুক্রবার, ২০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

গাফ্‌ফার চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন

গাফ্‌ফার চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন

জন্ম : ১২ ডিসেম্বর ১৯৩৪ - মৃত্যু : ১৯ মে ২০২২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ইতিহাসের সঙ্গে মিলেমিশে আছে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর নাম। বায়ান্নর ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগের স্মরণে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।  স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক জয় বাংলার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন গাফ্ফার চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে তিনি কলম তুলেছিলেন। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে তাঁর অক্লান্ত লেখনী কয়েক দশক ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।  এ বিশিষ্ট সাংবাদিক একজন শক্তিশালী কলামিস্ট, গীতিকার ও সাহিত্যিক হিসেবে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। ৮৮ বছর বয়সে যুক্তরাজ্য প্রবাসী খ্যাতিমান এই সাংবাদিকের প্রয়াণ হয়। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের নানা দিক নিয়ে আজকের রকমারি। গ্রন্থনায়-রকমারি টিম

 

পথিকৃৎ সাংবাদিক

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী নানা পরিচয়ে বিখ্যাত ছিলেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, গীতিকার ও সাহিত্যিক হিসেবে তিনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদল ও সংকটে তাঁর লেখনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই খ্যাতনামা সাংবাদিকের জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার চৌধুরীবাড়িতে। তাঁর বাবা হাজী ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা জহুরা খাতুন। তিন ভাই, পাঁচ বোনের মধ্যে বড় ভাই হোসেন রেজা চৌধুরী ও ছোট ভাই আলী রেজা চৌধুরী। বোনেরা হলেন- মানিক বিবি, লাইলী খাতুন, সালেহা খাতুন, ফজিলা বেগম ও মাসুমা বেগম। ১৯৫০ সালে গাফ্ফার চৌধুরী ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরের বছর ‘দৈনিক সংবাদ’ প্রকাশ হলে তিনি সেখানে অনুবাদকের কাজ নেন। জুনিয়র ট্রান্সলেটর হিসেবে সেখানে কাজ করতেন তিনি। মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের ‘মাসিক সওগাত’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন গাফ্ফার চৌধুরী। সম্পাদনা করেছেন ‘মাসিক নকীব’। আবদুল কাদির সম্পাদিত ‘দিলরুবা’ পত্রিকারও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫৬ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক নিযুক্ত হন। ওই বছরই তিনি প্যারামাউন্ট প্রেসের সাহিত্য পত্রিকা ‘মেঘনা’র সম্পাদক হন। মাওলানা আকরম খাঁর ‘দৈনিক আজাদ’-এ সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এ সময় মাসিক ‘মোহাম্মদীর’ও স্বল্পকালীন সম্পাদক হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি দৈনিক ‘জেহাদ’-এ বার্তা সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৬৩ সালে সাপ্তাহিক ‘সোনার বাংলা’র সম্পাদক হন। পরের বছর ১৯৬৪ সালে সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় নামেন এবং অনুপম মুদ্রণ নামে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। দুই বছর পরই আবার ফিরে আসেন সাংবাদিকতায়। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনের মুখপত্র হিসেবে ‘দৈনিক আওয়াজ’ বের করেন। সেটা বছর দুই-এক চলেছিল। ১৯৬৭ সালে আবার তিনি ‘দৈনিক আজাদ’-এ ফিরে যান সহকারী সম্পাদক হিসেবে। ১৯৬৯ সালে পত্রিকাটির মালিকানা নিয়ে সহিংস বিবাদ শুরু হলে তিনি আবার যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাকে। ১৯৬৯ সালের পয়লা জানুয়ারি ইত্তেফাক সম্পাদক মানিক মিয়া মারা গেলে তিনি আগস্ট মাসে হামিদুল হক চৌধুরীর অবজারভার গ্রুপের দৈনিক ‘পূর্বদেশ’-এ যোগ দেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’য় লেখালেখি করেন। এ সময় তিনি কলকাতায় ‘দৈনিক আনন্দবাজার’ ও ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ‘দৈনিক জনপদ’ বের করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলজেরিয়ায় ৭২ জাতি জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যান। দেশে ফেরার পর তাঁর স্ত্রী গুরুতর রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলকাতা নিয়ে যান। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় তাঁকে নিয়ে ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। এরপর তাঁর প্রবাস জীবনের ইতিহাস শুরু হয়। ১৯৭৬ সালে তিনি ‘বাংলার ডাক’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদনা করেন। ‘সাপ্তাহিক জাগরণ’ পত্রিকায়ও তিনি কিছুদিন কাজ করেছেন। ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি সাতজন অংশীদার নিয়ে ‘নতুন দিন’ পত্রিকা বের করেন। এরপর ১৯৯০ সালে ‘নতুন দেশ’ এবং ১৯৯১ সালে ‘পূর্বদেশ’ বের করেন। ১৯৭৪ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করলেও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে তাঁর কলম সোচ্চার ছিল বরাবর।  প্রবাসে থেকেও ঢাকার পত্রিকাগুলোতে তিনি যেমন রাজনৈতিক ধারাভাষ্য আর সমকালীন বিষয় নিয়ে একের পর এক নিবন্ধ লিখে গেছেন, তেমনি লিখেছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, স্মৃতিকথা ও প্রবন্ধ।

 

জাতি জাগানো গীতিকার

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরিতে মুখে মুখে উচ্চারিত গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। এ কালজয়ী গানের গীতিকার ছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তাঁর লেখা এই ‘একুশের গান’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ইতিহাসের সঙ্গে মিলেমিশে রয়েছে।

এ গানে ফুটে উঠেছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে শহীদদের মহান আত্মত্যাগের কথা। গানটির গীতিকার আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সে সময় ঢাকা কলেজের ছাত্র।  পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেকে হতাহত হলে তাদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে যান গাফ্ফার চৌধুরী। ঢাকা মেডিকেলের গেটের সামনে তিনি একটি রক্তমাখা লাশ দেখতে পান। লাশটির মাথার খুলি বুলেটের আঘাতে উড়ে গিয়েছিল।

এ লাশটি ছিল ভাষাশহীদ রফিকের লাশ। লাশটি দেখে তাঁর কাছে মনে হয়, এটা যেন তাঁর নিজেরই ভাইয়ের রক্তমাখা লাশ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মনে গানের প্রথম দুটি লাইন জেগে ওঠে। পরে কয়েক দিনের মধ্যে ধীরে ধীরে তিনি গানটি লিখেন। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয় একটি লিফলেটে। সেখানে ‘একুশের গান’ শিরোনামে কবিতা আকারে ছাপা হয়েছিল গানটি। ১৯৫৩ সালে ‘একুশে সংকলনে’ও এটি স্থান পায়। প্রথমে আবদুল লতিফ গানটিতে সুর করেন। তবে পরে আলতাফ মাহমুদের করা সুরটিই বেশি জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৫৪ সালের প্রভাতফেরিতে প্রথম গাওয়া হয় আলতাফ মাহমুদের সুরে গানটি।  এ সুরটিই এখন প্রচলিত।

এ গানটি বর্তমানে হিন্দি, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানিসহ ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়।

পেয়েছেন বহু স্বীকৃতি ও সম্মাননা

দেশে-বিদেশে বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই খ্যাতিমান সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৭), একুশে পদক (১৯৮৩), ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬৩), বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, সংহতি আজীবন সম্মাননা পদক ২০০৮, (লন্ডন), স্বাধীনতা পদক ২০০৯, মানিক মিয়া পদক ২০০৯, যুক্তরাজ্যের ফ্রিডম অব বারা (টাওয়ার হ্যামলেটস) উপাধি সংহতি আয়োজিত প্রবাসীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা, ঢাকা ২০০৯। তাঁর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৩ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পান তিনি।

 

সাহিত্যে অবাধ বিচরণ

ছাত্রজীবনেই আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে সওগাত পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প ছাপা হয়। ঔপন্যাসিক হিসেবেও তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ও পাঠকনন্দিত। সাংবাদিকতার পাশাপাশি নিয়মিত লিখেছেন গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা। ছোটদের জন্যও উপন্যাস লিখেছেন তিনি। ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশী’সহ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় ৩০। এ ছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে আছে ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’, ‘একজন তাহমিনা’ ও ‘রক্তাক্ত আগস্ট’। এক নজরে তাঁর বিখ্যাত কিছু গ্রন্থের তালিকা- নাম না জানা ভোর (১৯৬২), নীল যমুনা (১৯৬৪), শেষ রজনীর চাঁদ (১৯৬৭), কৃষ্ণপক্ষ (১৯৫৯), সম্রাটের ছবি (১৯৫৯), সুন্দর হে সুন্দর (১৯৬০), ডানপিটে শওকত (১৯৫৩)।

সম্পাদনা : বাংলাদেশ কথা কয় (১৯৭২), পলাশী থেকে ধানমন্ডি (২০০৭)- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক একটি চলচ্চিত্রের কাহিনি ইত্যাদি।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিনে তাঁর শেষ লেখা থেকে

দেশে তখন অনেক দৈনিক। আর এসব দৈনিকের মধ্যে দিনবদলের ঘণ্টি বাজিয়ে ও নিরপেক্ষতার ছদ্মবেশ ধারণ করে যে পত্রিকাটি বাজার জাঁকিয়ে বসেছিল, তার ভূমিকা ছিল হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো। কোনো অন্ধকার অতল নদীগর্ভের দিকে সে জাতির একটা বড় মোহান্ধ তরুণ অংশকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, তার হদিস কেউ পাচ্ছিল না। তাকে রোখারও কোনো উপায় ছিল না। চালাকির সাংবাদিকতায় এই ‘নিরপেক্ষ’ দৈনিকটি তখন আর সব প্রতিযোগীকে টেক্কা মারছিল। বাংলাদেশ প্রতিদিন ওই দৈনিকটির অন্ধকার যাত্রাকে রুখে দিয়েছে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর নব্য পুঁজির অবাধ বিকাশ লাভের মুখে সৎ ও শুভ সাংবাদিকতার পাশাপাশি একটি অপসাংবাদিকতার বলয়ও তৈরি হতে থাকে। সে কথা আগেই বলেছি। সুবিধাবাদী একটি সাংবাদিক গোষ্ঠীও তৈরি হয়। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি থেকে এই যুদ্ধের মৌলিক আদর্শ সম্পর্কেও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। দেশে বারবার গণতন্ত্রের বিপর্যয় ঘটার মূলে তাদের ‘অবদান’ কম নয়। একসময় মনে হয়েছিল আদর্শবাদের বদলে শুধু বাণিজ্যিক মুনাফা, সততা ও নিরপেক্ষতার বদলে স্বার্থবুদ্ধিজনিত পক্ষপাত এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টিই বুঝি শুভ ও সৎ সাংবাদিকতার শক্তিকে পরাস্ত করে ফেলবে। সুখের কথা, সেটা ঘটেনি। বাংলাদেশের সব স্তরের মানুষের মনে কোথায় যেন একটা অদৃশ্য প্রাণশক্তি এসেছে, যা বারবার শুভবুদ্ধির কাছে অশুভ শক্তির পরাজয় ঘটায়।

বাংলাদেশের রাজনীতির মতো তার সাহিত্য-সাংবাদিকতায়ও এটা ঘটতে দেখা গেছে। অশুভ শক্তি প্রবল বিক্রমে মাথা তুলেছে। মনে হয়েছে আমাদের সব শুভবুদ্ধি বুঝি পরাস্ত হতে চলেছে। তা হয়নি। নির্বাণমুখী মোমবাতির আলো থেকে সমগ্র মোমের আলো জ্বলে উঠেছে। অন্ধকারকে পরাস্ত হতে হয়েছে। সে অন্ধকার সাম্প্রদায়িকতার হোক, ধর্মান্ধতার হোক কিংবা সামরিক অথবা স্বৈরাচারী শক্তির হোক। আমজনতা মাথা তুলেছে। নূর হোসেনের মতো যুবক গুলির মুখে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রকে নিপাত হতে দেয়নি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন দেশ ও জাতির দুঃসময়ে সাংবাদিকতায় তথাকথিত নিরপেক্ষতার মুখোশ ধারণ করেনি। বরং পক্ষপাত দেখিয়েছে, সে পক্ষপাত মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক আদর্শের প্রতি। বাংলাদেশ প্রতিদিন সংবাদ পরিবেশনে নিরপেক্ষ। কিন্তু মতামত প্রকাশে সে সৎ সাংবাদিকতার অবস্থান থেকে নড়তে চায়নি-এটা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট। (আংশিক)

 

গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত।

সর্বশেষ খবর