শুক্রবার, ২০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রদত্ত আজীবন সম্মাননা গ্রহণ অনুষ্ঠানে গাফ্‌ফার চৌধুরী

আজ এই গ্রুপে এসে মনে হচ্ছে যেন নিউইয়র্ক টাইমসে বসে আছি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ এই গ্রুপে এসে মনে হচ্ছে যেন নিউইয়র্ক টাইমসে বসে আছি

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর আজীবন সম্মাননা অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম

২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের রচয়িতা, সাংবাদিকতার পথিকৃৎ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা জানিয়েছিল বাংলাদেশ প্রতিদিন। পত্রিকার কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেদিন তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়; হাতে অর্পণ করা হয় সম্মাননা ক্রেস্ট ও ২ লাখ টাকার চেক। এই ভাষাসংগ্রামীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বসুন্ধরা গ্রুপ ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

সম্মাননা গ্রহণ করে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ‘সারা জীবন সাংবাদিকতা করেছি। ইচ্ছা ছিল সাহিত্যিক হব, কিন্তু হইনি। কথায় বলে, দশ চক্রে ভগবান ভূত। হয়ে গেলাম সাংবাদিক।’ তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সবগুলো সংবাদমাধ্যমের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই গ্রুপের সবগুলো সংবাদপত্র নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পেরেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান দেশের সাংবাদিকতাকে দলতন্ত্র থেকে মুক্তি দিয়েছেন।’

বিশিষ্ট এই কলামিস্ট বলেন, ‘আহমেদ আকবর সোবহান দুটি জাতীয় বাংলা দৈনিক, একটি ইংরেজি দৈনিক, একটি নিউজ পোর্টাল, একটি টেলিভিশন এবং একটি রেডিওর প্রতিষ্ঠাতা। এ এক অসম্ভব   ব্যাপার! একটা হাউসে এতগুলো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও ব্যবস্থাপনা করা খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু তা তিনি করেছেন। বিস্ময়কর হলো, তিনি মিডিয়া সাম্রাজ্য গড়েছেন। কিন্তু সাম্রাজ্যের অধিপতি হননি। তিনি বেশ কয়েকজন নিষ্ঠাবান পেশাদার কর্মীকে দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো চালাচ্ছেন। আজ এই গ্রুপে এসে মনে হচ্ছে, যেন নিউইয়র্ক টাইমসে বসে আছি।  সংবাদপত্র-জগতে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত স্থাপন করছে    বসুন্ধরা গ্রুপ।’ তিনি গ্রুপের সাফল্য কামনা করে বলেন, তিনি চান এরা স্বাধীনতার পক্ষের সাংবাদিকতার নেতৃত্ব দিক।

সর্বশেষ খবর