রবিবার, ২৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
‘হাউ টু মার্ডার ইওর হাজব্যান্ড’ লিখেই

স্বামী খুনে জড়ালেন লেখিকা

ব্লগে লিখেছিলেন কীভাবে স্বামীকে খুন করতে হয়, তারপর...

তানভীর আহমেদ

স্বামী খুনে জড়ালেন লেখিকা

নিজের স্বামীকে কীভাবে খুন করবেন- শিরোনামে ব্লগ লিখে সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন লেখিকা ন্যান্সি ব্রফি। স্বামীকে নিয়ে থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগনের পোর্টল্যান্ডে। নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে ন্যান্সি যেসব বই লিখতেন তা খুব একটা চলত না। তার স্বামী ড্যান ব্রফি ছিলেন প্রধান শেফ বা রাঁধুনি। অন্যান্য দিনের মতো কলেজে কাজে গিয়েছিলেন তিনি।  সেখানেই কেউ তাকে গুলি করে খুন করে। তদন্তকারীরা খুনির খোঁজে নেমে হিমশিম খেয়ে যান। না আছে সন্দেহভাজন, না পাওয়া যাচ্ছে খুনের অস্ত্র। স্বামী হারানো ৭১ বছর বয়সী লেখিকাকে হঠাৎ খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। হইচই পড়ে যায় সবখানে। একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

ন্যান্সি ক্রাম্পটন ব্রফি ও ড্যানিয়েল ব্রফি

সুখী দম্পতি ছিলেন, দাবি স্ত্রীর

স্বামীকে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান ন্যান্সি। কথা বলতে গিয়ে কাঁপতে থাকেন তিনি। মুখে কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল তার। কখনো কখনো কথার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন তিনি। প্রসিকিউটরকে বলেন, ‘আমি ও আমার স্বামী ড্যান ব্রফি সুখী দম্পতি ছিলাম। আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপোড়া ছিল। আমরা দুজনে মিলে একটা টিম ছিলাম। আপনারা আমাদের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে যা বলেছেন সেটা ভুল। আমার স্বামী যখন বেঁচে ছিলেন তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা বেশ ভালো ছিল।’ এই দম্পতির বাড়িঘরও বেশ সাজানো ছিল। ন্যান্সির কথায় জানা যায়, পোর্টল্যান্ডের যেখানে তাদের বাড়ি, জায়গাটি খুব নির্জন। তারা সেখানে টার্কি, মুরগি পালতেন। বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া বাগান ছিল তাদের। সেখানে শাকসবজি ফলত। সুন্দর ফুলের বাগানও ছিল। নিজের বাগানের সবজি দিয়ে ড্যান ব্রফি তার জন্য রান্না করতেন বলে জানান ন্যান্সি।

 

খুন, বিশ্বাসঘাতকতা এবং যৌনতা নিয়ে উপন্যাস লিখতেন ন্যান্সি

ন্যান্সির পুরো নাম ন্যান্সি ক্রাম্পটন ব্রফি। এখন তার বয়স ৭১ বছর। নিজেকে লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। নিজের টাকা খরচ করে বই লিখেছেন, ‘দ্য রং হাজব্যান্ড’ এবং ‘হেল অন অ্যা হার্ট’। ন্যান্সির সব কয়টি উপন্যাসেরই মূল বিষয় খুন, অপরাধ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং যৌনতা। দ্য রং হাজব্যান্ড সিরিজে তিনি যেসব অধ্যায় রেখেছেন যেখানে স্বামী, ভাই, পুলিশ, প্রেমিক ও নায়ককে ভুল সঙ্গী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। প্রেম ও অপরাধ নিয়ে এসব থ্রিলার ঘরানার উপন্যাসে দেখা যায় প্রতারণা ও খুনের গল্প। তার লেখা, ‘দ্য রং হাজব্যান্ড’ উপন্যাসের গল্পের কথা বলা যাক। এ উপন্যাসের গল্পে দেখা যায়, স্বামী তার স্ত্রীকে নানাভাবে অত্যাচার করছে। যে কারণে স্ত্রী তাদের বিবাহবার্ষিকীর আনন্দ ভ্রমণে স্পেনে গেলে সেখানে আত্মগোপন করেন। কিন্তু বাস্তবে নিজের স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হলে ন্যান্সির লেখা নিবন্ধ ‘হাউ টু মার্ডার ইওর হাজব্যান্ড’ (কীভাবে নিজের স্বামীকে খুন করবেন) এখন সব জায়গায় ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসে, ন্যান্সি তার উপন্যাসগুলোতে যেমনটা দেখাতেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা চলছে, স্বামী খুন হচ্ছে, স্ত্রী পালিয়ে যাচ্ছে- এসব যেন নিজের জীবনের গল্প থেকেই তিনি লিখেছেন। নিজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে সুখে থাকার দুই দশকের যে গল্প তিনি এত দিন বলে এসেছেন, দেখা যাচ্ছে তার পুরোটাই মিথ্যা। নিজের স্বামীকে তার গল্পের নারী চরিত্র, স্ত্রীদের মতোই খুন করে মুখ লুকিয়ে চলছিলেন ন্যান্সি। পুলিশ তাকে খুনের প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবেই গ্রেফতার করে।

 

কী হয়েছিল সেদিন

২০১৮ সালের জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন কিউলিনারি ইনস্টিটিউটের ভিতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল ন্যান্সির স্বামী ড্যানিয়েল ব্রফিকে। ৬৩ বছরের ড্যানিয়েল ওই কিউলিনারি ইনস্টিটিউটে শেফ বা রন্ধনশিল্পী হিসেবে কাজ করতেন। তার পিঠে ও বুকে গুলির আঘাতের চিহ্ন ছিল। অন্যান্য দিনের মতো সেদিন সকালে তিনি ওই কলেজে যান। কলেজের রান্না ঘরে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা। বালতিতে পানি ও বরফ ভরার সময় কেউ তাকে প্রথমে পেছন থেকে ও পরে সামনে থেকে গুলি করে। তার সঙ্গে ছিল ক্রেডিট কার্ড ও আরও কিছু টাকা-পয়সা। এসব দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, কোনো ছিনতাইকারীর কাজ নয় এটি। বরং তাকে হত্যা করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য।

 

স্বামীকে হত্যার যেসব কৌশল লিখেছিলেন সেই ব্লগে

ন্যান্সি ইন্টারনেটে ব্লগ লিখতেন। সেখানেই তিনি একটি নিবন্ধ লেখেন। শিরোনাম দেন, ‘হাউ টু মার্ডার ইওর হাসবেন্ড।’ বাংলায় এর মানে দাঁড়ায়, কীভাবে নিজের স্বামীকে খুন করবেন। লেখিকা এই লেখাটি লেখেন ২০১১ সালে। প্রায় ৭০০ শব্দের নিবন্ধটি পুরোটাই বিদ্বেষমূলক, খুনের কৌশল বর্ণনা ছিল। সে সময় নিবন্ধটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যাওয়ার পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয় লেখিকা ন্যান্সি ব্রফিকে নিয়ে। সমালোচনায় পড়ে এক পর্যায়ে লেখাটি সরিয়ে ফেলেন তিনি। সেই নিবন্ধে তিনি লেখেন, ‘রোমান্টিক, থ্রিলার উপন্যাস লেখক হিসেবে আমাকে খুনের ধরন, খুনের পর ফলাফল ও পুলিশি তদন্ত এসব নিয়ে ভাবনা-চিন্তায় অনেক সময় ব্যয় করতে হয়।’ নিবন্ধটি কয়েকটি অংশে বিভক্ত ছিল। শত্রুতুল্য স্বামীকে হত্যার প্রক্রিয়া সেখানে লেখেন তিনি। ন্যান্সি লেখেন, ‘নিজের মুক্তি বা স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য যদি স্বামীকে খুন করতে হয়, তাহলে খুনের পর জেলে বন্দি থাকার কোনো মানে হয় না।’ এ ছাড়া লেখায় স্বামীকে মিথ্যাবাদী, প্রতারক বলে গালমন্দ করেন তিনি। লেখেন খুনের প্রক্রিয়া, ‘ছুরি দিয়ে খুন করাটা খুব ব্যক্তিগত বিষয়। খুব কাছ থেকে কাজটা করতে হয় এবং এতে রক্তের ছড়াছড়ি হবে। নারীদের প্রিয় হতে পারে বিষ। এটা সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। আর বন্দুক খুব শব্দ করে। এটা ব্যবহার করতে গেলে দক্ষ হতে হবে এবং ঝামেলাও বাড়বে।’ স্বামীকে কেন হত্যা করবেন তার বর্ণনাও ছিল সে লেখায়। ন্যান্সির স্বামী এ লেখাটি প্রকাশ হওয়ার সাত বছর পর খুন হয়েছেন বলে আদালত এই ব্লগ পোস্টের কোনো লেখাকে গুরুত্ব দেয়নি এবং এ লেখাটি খুনের অভিযোগের পেছনে কোনো প্রমাণ হিসেবেও ন্যান্সির বিরুদ্ধে উপস্থাপন করেননি তদন্তকারীরা।

 

খুনের নেপথ্যে ১৩ কোটি টাকা

ড্যান ব্রফিকে কেন খুন করা হলো? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে লেখিকা ন্যান্সি ও ড্যান ব্রফির সংসারের আর্থিক টানাপোড়েনের কথা বেরিয়ে আসে। তদন্তকারী কর্মকর্তা কোর্টে তার পক্ষে যুক্তিতে বলেন, দুই বছর আগে থেকেই সংসারের খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছিল এ দম্পতি। অবসরে যাওয়ার পর যে ভাতা পেতেন তার অনেকটাই খরচ করে ফেলেছেন তারা। লেখিকা ন্যান্সির বইও খুব একটা চলত না বাজারে। মানুষের কাছে ধার নিয়ে দেনায় পড়েছিলেন তারা। ন্যান্সি যেভাবে টাকা উড়িয়ে চলতে চাইতেন, সে টাকা ছিল না তার স্বামী ড্যানের। তখন ন্যান্সির চোখ পড়ে স্বামীর ইন্স্যুরেন্সের দিকে। ড্যান ব্রফির একাধিক ইন্স্যুরেন্স ছিল। ন্যান্সি খোঁজ নিয়ে দেখেন, তার স্বামী খুন হলে এই ইন্স্যুরেন্সের পুরো টাকার মালিক হবেন তিনি। সেই টাকার অঙ্কটাও বেশ লোভনীয়। প্রায় ১৩ কোটি টাকা! এত টাকার লোভ সামলাতে পারেননি ন্যান্সি। প্রসিকিউটর কোর্টে ন্যান্সির বিরুদ্ধে খুব শক্তভাবে এ খুনে জড়িত থাকার পেছনে দুটি কারণ উল্লেখ করেন। প্রথমত, বাজারে ব্রফি পরিবারের প্রচুর ধার হয়ে গিয়েছিল। স্বামীর মৃত্যুতে যে জীবন বীমার অর্থ পাওয়া যাবে, তাই দিয়ে ন্যান্সি সেই ধার শোধ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, তার স্বপ্ন ছিল লেখিকা হিসেবে খ্যাতি পাবেন কিন্তু সেটা হয়নি। নিজের খরচে বই প্রকাশ করলেও তার বই আয় করতে পারেনি। তিনি মানসিকভাবে ভয়ানক হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

 

যেভাবে ধরা পড়েন খুনি

খুনের কারণ খুঁজতে গিয়ে তদন্তকারীরা দুটি বিষয় জানতে পারেন। প্রথমত, ব্রফি পরিবারে আর্থিক সংকট চলছিল এবং এ খুনের কারণে লেখিকা ন্যান্সি প্রায় ১৩ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। দ্বিতীয়ত, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ন্যান্সিকে গাড়ি চালিয়ে ওরেগন কিউলিনারি ইনস্টিটিউটে আসতে দেখা গিয়েছিল। পরে ওই ইনস্টিটিউট থেকেই মিলেছিল ড্যানিয়েলের দেহ। তবে অভিযুক্ত ন্যান্সি এসব অস্বীকার করে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর দিন কিউলিনারি ইনস্টিটিউটের কাছে তার উপস্থিতি নিছকই কাকতালীয়। অবশ্য ১৮ মে এই মামলার মোড় ঘুরে যায়। ন্যান্সির সঙ্গে কারাগারে একই কক্ষে থাকতেন আন্দ্রেয়া জেকবস নামে এক মহিলা। আদালতে তিনি দাবি করেন, নিজের অজান্তেই ন্যান্সি তার স্বামীর মৃত্যুর বিবরণ প্রকাশ করেছিলেন। আন্দ্রেয়া আদালতে দাবি করেন, ন্যান্সি তাকে বলেছিলেন তার স্বামীর হৃৎপিন্ডে দুটি গুলি করা হয়েছিল। এমনকি তার স্বামীকে কতদূর থেকে গুলি করা হয়েছিল, তাও বিশদে বর্ণনা করেছিলেন। অথচ এই তথ্যগুলো স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তার জানার কথাই নয়। আন্দ্রেয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সঙ্গে যোগ হয় ন্যান্সির অনলাইন থেকে বন্দুকের ব্যারেল কেনার প্রমাণ। সব মিলিয়ে অভিযোগের সব তীর এসে বিঁধে ন্যান্সির গায়ে।

 

অনলাইন থেকে বন্দুক কিনেছিলেন

ন্যান্সিই যে এই হত্যা করেছিলেন, তদন্তকারীদের কাছে এর কোনো অকাট্য প্রমাণ ছিল না। এমনকি যে বন্দুকটি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, সেটিও পুলিশ খুঁজে পায়নি। সরকার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে বলেন, ড্যানিয়েলকে হত্যা করতে যে বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই একই সংস্থার তৈরি একই মডেলের একটি বন্দুক ন্যান্সিরও ছিল। সম্ভবত, হত্যার পর ওই ঔপন্যাসিক বন্দুকের ব্যারেলটি পাল্টে দিয়েছিলেন এবং তারপর সেটি ফেলে দিয়েছিলেন। সেই কারণেই পুলিশ হত্যার অস্ত্র পায়নি। পরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, অনলাইন বিপণি থেকে একটি বন্দুক কিনেছিলেন ন্যান্সি। খুনের জন্য তিনি সেটিই ব্যবহার করেছিলেন। যে বন্দুক থেকে গুলি করা হয়েছিল তার ব্যারেল ‘ইবে’ থেকে অনলাইনে কিনেছিলেন ন্যান্সি। অনলাইনে বন্দুকের নানা অংশ আলাদাভাবে কেনা যায়। এসব বন্দুক সরকারিভাবে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। এর জবাবে ন্যান্সি জানান, তিনি খুন ও অপরাধ নিয়ে উপন্যাস লেখেন। উপন্যাস লেখার প্রয়োজনে তিনি বন্দুক কিনেছিলেন, যেন তিনি বন্দুকের নানা দিক সম্পর্কে বাস্তবসম্মত বর্ণনা ও গল্প লিখতে পারেন।

 

কী হবে লেখিকার

ড্যান ব্রফি খুন হন ২০১৮ সালের জুনে। সে বছরই সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার হন ন্যান্সি। ন্যান্সির সঙ্গে কারাগারে একই কক্ষে থাকা আন্দ্রেয়ার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য এবং পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে পোর্টল্যান্ডের মাল্টনোমাহ কাউন্টির জুরিরা ন্যান্সিকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। অপরাধ প্রমাণ হওয়ার পরে জনাকীর্ণ আদালতে ন্যান্সির মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ১৩ জুন সাজার চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে। ন্যান্সির আইনজীবীরা বলেছেন, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। লেখিকাকে সরাসরি সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার বা খুনের অভিযোগ অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাই এ খুনের অভিযোগে চূড়ান্তভাবে দোষী প্রমাণিত হলে কমপক্ষে ২৫ বছরের জেল হতে পারে ন্যান্সি ব্রফির।

 

তার উপন্যাস নিয়ে হইচই

খ্যাতির বদলে কুখ্যাতি কুড়িয়েছেন ন্যান্সি ব্রফি। নিজের স্বামীকে হত্যার কৌশল লিখে এখন সত্যি সত্যি স্বামীকে হত্যার অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। এ ঘটনার পর তার লেখা উপন্যাস, নিবন্ধ, গল্প পড়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন পাঠকরা। আমাজনসহ যেসব পোর্টালে অনলাইনে বই বিক্রি হয় সেখান থেকে ন্যান্সি ব্রফির বই কেনার জন্য বড় অঙ্কের টাকা খরচ করছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের পাঠকরা। তার লেখা ‘হাউ টু মার্ডার ইওর হাজব্যান্ড’-এর নানা কপি ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে ন্যান্সির লেখা, স্বামীকে খুনের যেসব বর্ণনা তিনি উপন্যাসে লিখেছেন অবলীলায়।

সর্বশেষ খবর