সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশ্বের দীর্ঘতম যত সেতু

আ ব দু ল কা দে র

বিশ্বের দীর্ঘতম যত সেতু

বিশ্বজুড়ে রয়েছে অসাধারণ সব সেতু; যা স্থাপত্যশৈলীতে অনন্য। নির্মাণ-কৌশলে একেকটি ছাড়িয়ে গেছে অন্যটিকে। দৃষ্টিনন্দন এসব সেতু বিস্মিত করে সবাইকে। দীর্ঘতম এই সেতুগুলো নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ রাষ্ট্র চীনেও দীর্ঘতম সেতুর সংখ্যা কম নয়।  এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এবং থাইল্যান্ডেও রয়েছে বেশ কয়েকটি দীর্ঘতম সেতু। প্রমত্তা পদ্মার বুকে সদ্য উন্মুক্ত পদ্মা সেতুও রয়েছে এই তালিকায়,  যা নির্মাণ কৌশলে এরই মধ্যে পেয়েছে বিশ্ব স্বীকৃতি। বিশ্বের দীর্ঘতম কয়েকটি সেতু নিয়ে আজকের রকমারি...

 

বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর মধ্যে আটটি এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। যদিও এই তালিকায় সদ্য উন্মুক্ত হওয়া পদ্মা সেতু জায়গা করে নিতে পারেনি।  তবে পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু। ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতুটি বিশ্বের ১২২তম দীর্ঘতম সেতুর স্থান দখল করে আছে...

 

ড্যানইয়াং-কুনশান গ্র্যান্ড ব্রিজ

(১ লাখ ৬৪ হাজার ৮০০ মিটার) :

পৃথিবীর দীর্ঘতম ১০টি সেতুর মধ্যে ড্যানইয়াং কুনসান গ্র্যান্ড ব্রিজ একটি। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে। ১০২ মাইল (১ লাখ ৬৪ হাজার ৮০০ মিটার) দৈর্ঘ্যরে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে। দীর্ঘতম সেতুটি তৈরিতে ১০ হাজার শ্রমিকের প্রায় চার বছর সময় লেগেছিল। ২০১০ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ২০১১ সালে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তখন থেকে সেতুটি বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর রেকর্ড ধরে রেখেছে। এটি চীনের রাজধানী বেইজিং থেকে সাংহাইয়ের হাইস্পিড রেলওয়ের একটি অংশ। এই সেতুর মাধ্যমে চীনের জনসাধারণ জিয়াংসু প্রদেশের সাংহাই থেকে বেইজিং এবং দানিয়াং থেকে কুনশান নদীপথ পারাপারে ব্যবহার করে থাকে। এটি বিশ্বের চারটি রেলওয়ে সেতুর মধ্যে একটি, যা বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেতুটি নির্মাণে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন থেকে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে।

বিস্ময়কর তথ্য :  দীর্ঘতম এই সেতুটি মূলত ধানি জমি, খাল, নদী এবং হৃদের ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি সেইসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে নির্মিত, যা চীনের প্রাকৃতিক দৃশ্যের পরিপূরক। এটি মূলত রেলওয়ে সেতু হিসেবে তৈরি করা হয়েছে, যা স্থানীয়দের কাছে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

চাংহুয়া-কোয়াশিউং ব্রিজ

(১ লাখ ৫৭ হাজার ৩১৭ মিটার) :

পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতুটি তাইওয়ানে অবস্থিত। এর নাম চাংহুয়া-কোয়াশিউং ব্রিজ। এটি তাইওয়ান হাই-স্পিড রেলওয়ে নেটওয়ার্কের একটি অংশ। সড়কপথের পাশাপাশি তাইওয়ানের দ্রুতগতির রেলপথ এই সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেতুটি মূলত দেশটির চাংহুয়া প্রদেশের বাঙ্গুয়াশান থেকে কোয়াশিউংয়ের জুওয়িং অঞ্চল পর্যন্ত প্রায় ৯৮ মাইল (১ লাখ ৫৭ হাজার ৩১৭ মিটার) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এক জরিপে উঠে এসেছে, ২০১২ সালের শেষ নাগাদ প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষ পারাপারের জন্য চাংহুয়া-কোয়াশিউং সেতুটি ব্যবহার করেছে। ভূমিকম্পের সময় ট্রেন যেন সাবধানে যাতায়াত করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সেতুর নকশা করা হয়েছে। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে জনসাধারণের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

বিস্ময়কর তথ্য :  এই সেতুটি বিশ্বের ভূমিকম্প প্রতিরোধী সেতুগুলোর একটি, যা ভূমিকম্পের সময় ট্রেনগুলোকে নিরাপদে থামতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া এর নকশা এমনভাবে করা যে, ভূমিকম্পের কারণে যদি সেতুর সীমিত ক্ষতিসাধনও হয়ে থাকে, তবে তা দ্রুত মেরামত করাও সম্ভব।

 

তিয়ানজিন গ্র্যান্ড ব্রিজ

(১ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ মিটার) :

চীনের এই সেতুটি ৭০ মাইলেরও বেশি (১ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ মিটার) দীর্ঘ। দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে তিয়ানজিন গ্র্যান্ড ব্রিজ। যার অবস্থান চীনের হুবেই প্রদেশের তিয়ানজিন শহরের কাছাকাছি। এটিও বেইজিং-সাংহাই হাইস্পিড রেলওয়ের জন্য একটি সেতু। যা ল্যাংফাং থেকে কিংজিয়ানকে একত্রিত করেছে। দীর্ঘ চার বছর হাজার হাজার শ্রমিকের প্রচেষ্টায় এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১০ সালে। ২০১১ সালে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ডে জায়গা করে নেয়।

বিস্ময়কর তথ্য :  এটি তালিকার সুন্দর সেতু না হলেও এর গঠন অনন্য। এটি বক্স গার্ডারের মাধ্যমে নির্মিত, যার প্রতিটি ১০০ ফুটেরও বেশি লম্বা এবং প্রতিটির ওজন প্রায় ৮৬০ টন। এই গার্ডারগুলোকে সেতুর মূল রুটে বসানোর জন্য বিশেষ ক্রেন ব্যবহার করা হয়েছিল।


আপনি কি জানেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুটি ১০০ মাইলেরও বেশি বিস্তৃত! এটি ২০০টি বুর্জ খলিফার উচ্চতার চেয়ে কম নয়! বিশ্বের দীর্ঘতম এই সেতুগুলো সত্যিই বিশ্বের বিস্ময়। দেখতে সুন্দর, যা একত্র করেছে কয়েকটি প্রদেশ এমনকি শহর-বন্দরকেও।  সেতুগুলো মানুষেরই সৃষ্ট বিস্ময়কর কীর্তি...

 


ক্যান্ডি গ্র্যান্ড ব্রিজ

(১ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ মিটার) :

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সেতুর অবস্থান চীনের রাজধানী শহর বেইজিংয়ে।  এর নাম ক্যান্ডি গ্র্যান্ড ব্রিজ। সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০৫ দশমিক ৮১ কিলোমিটার (১ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ মিটার)। এটিও চীনের বেইজিং-সাংহাই হাইস্পিড রেলওয়ের অংশ। চীনে অবস্থিত সেতুটি বেইজিং ও সাংহাইকে সংযুক্ত করেছে। ভূমিকম্পে অটলভাবে দাঁড়িয়ে থাকার সক্ষমতার লক্ষ্য নিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়, যা শেষ হয় ২০১০ সালে। তখনকার সময়ে এটিই ছিল সবচেয়ে দীর্ঘ রেলসেতু। ৬৬ মাইল দৈর্ঘ্যরে সেতুটিতে মোট ৩০৯২টি পিলার (স্তম্ভ) রয়েছে।

বিস্ময়কর তথ্য :  রেললাইনের এই সেতুটি হংকং, ম্যাকাও এবং চীনের মূল ভূখন্ডজুড়ে যাত্রীদের ভ্রমণের ৩ ঘণ্টারও বেশি সময়কে নামিয়ে নিয়ে এসেছে মাত্র ৩০ মিনিটে।

 

ইউনান ইউহে গ্র্যান্ড ব্রিজ

(৭৯ হাজার ৭৩২ মিটার) :

এটি চীনের আরেকটি দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতু; যা পৃথিবীর পঞ্চম দীর্ঘতম সেতু। ৭৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ উইনান উইহে গ্র্যান্ড ব্রিজটি জাংঝো-জিয়ান হাইস্পিড রেলপথের একটি অংশ। এটি মাত্র ৫০ মাইল লম্বা। তবে সেতুটি বিশ্বের অন্যতম অস্বাভাবিক সেতু, কারণ- এটি লিং, লুওফু, শি এবং শি ডিসহ আরও কয়েকটি নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ওয়েই নদীকে দুইবার অতিক্রম করেছে। ২০০৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং ২০১০ সালে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এই স্বল্প সময়ের জন্য এটি ছিল বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু।

বিস্ময়কর তথ্য : এই সেতুটি বৈশ্বিক প্রকৌশল শিল্পের আরেকটি বড় কীর্তি। এর নির্মাণে ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক জড়িত ছিলেন। এর নির্মাণ সম্পূর্ণ করতে প্রায় ২.৩ মিলিয়ন ঘনমিটার কংক্রিট এবং ৪৫ হাজার টনের বেশি ইস্পাত প্রয়োজন হয়েছিল।

 

ব্যাং না এক্সপ্রেসওয়ে

(৫৪ হাজার মিটার) :

মাত্র ৩৪ মাইলেরও (৫৪ হাজার মিটার) বেশি লম্বা সেতুটি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় সেতু। বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় সপ্তম স্থানে থাকা এ সেতুটির নাম ব্যাং না এক্সপ্রেসওয়ে। একে বুরাফি ওয়েট এক্সপ্রেসওয়ে বলা হয়ে থাকে। ৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েটিতে মোট ছয়টি লেন রয়েছে। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ২০০০ সালে। মাত্র চার বছর অর্থাৎ ২০০৪ সাল পর্যন্ত সেতুটি বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছিল। তালিকায় সেতুর মধ্যে এটি একমাত্র সেতু, যা খুবই কম নদীপথের ওপর নির্মিত হয়েছে। এটি শুধু অল্প দূরত্বের জন্য ব্যাং পাকং নদী অতিক্রম করে। ব্যাং না এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ১৮ লাখ কিউবিক মিটার কনক্রিট লেগেছিল।

বিস্ময়কর তথ্য :  এটি মূলত প্রয়োজন পূরণের জন্য কেবল দেখানো একটি সেতু। তবে এর হাইওয়ে-ওভার হাইওয়ে নকশা একে করেছে অনন্য।

 

বেইজিং গ্র্যান্ড ব্রিজ

(৪৮ হাজার ১৫৩ মিটার) :

৩০ মাইলেরও (৪৮ হাজার ১৫৩ মিটার) কম দৈর্ঘ্যরে বেইজিং গ্র্যান্ড ব্রিজটি চীনের বেইজিং এবং সাংহাই অঞ্চল দুটিকে সংযুক্ত করেছে। যার অবস্থান চীনের বেইজিং শহরে। এটি দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে সেতু। তবে সেতুটি বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে। ২০১০ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০১১ সালে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ৪৮ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটিতে ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারে। এটিও মূলত বেইজিং-সাংহাই হাই-স্পিড রেলওয়ের একটি অংশ।

বিস্ময়কর তথ্য : বেইজিং-সাংহাই হাই-স্পিড রেলওয়েতে ভ্রমণকারী যাত্রীরা এই সেতুতে তাদের যাত্রা শুরু বা শেষ করে। এটি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দীর্ঘতম সেতু।

 

পন্টচারট্রেইন কজওয়ে

(৩৮ হাজার ৪৪২ মিটার) :

লেক পন্টচারট্রেইন কজওয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম এবং বিশ্বের অষ্টম দীর্ঘতম সেতু। মাত্র ৩৮ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটি পানির ওপর নির্মিত বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সেতু। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ লুইসিয়ানার লেক পন্টচারট্রেইন-এর দুই পাশে দুটি সেতু নিয়ে লেক পন্টচারট্রেইন কজওয়ে গঠিত। সেতু দুটির দৈর্ঘ্য মাত্র ২৪ মাইল। যার নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দুই দফায় সেতু দুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। প্রথমত- ১৯৫৬ সালে নির্মাণ করা হয় সেতুর দক্ষিণ অংশ এবং দ্বিতীয়ত- ১৯৬৯ সালে নির্মাণ করা হয় সেতুটির উত্তর অংশ। ১৯৬৯ সালে নির্মাণ কাজ শেষে তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ২০০৫ সালের হ্যারিকেন ক্যাটরিনার প্রভাবে সেতুটির আংশিক ক্ষতি হয়েছিল।

বিস্ময়কর তথ্য :  বছরের পর বছর ভয়ানক হ্যারিকেনের আঘাত সহ্য করে আজও টিকে আছে আমেরিকার দীর্ঘতম সেতু লেক পন্টচারট্রেইন কজওয়ে। ২০০৫ সালের হ্যারিকেন ক্যাটরিনা তন্মধ্যে অন্যতম। সেই বড় ঝড়ের সময়, অবকাঠামোটির আংশিক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

 

লাইন-১, উহান মেট্রো ব্রিজ

(৩৭ হাজার ৭৮৮ মিটার) :

বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় রয়েছে চীনের আরও একটি সেতু, নাম লাইন-১, উহান মেট্রো ব্রিজ। যা পৃথিবীর নবম দীর্ঘতম সেতুর স্থান দখল করে আছে। যদিও চীনের উহান শহরের মেট্রো লাইন-১ ঐতিহ্যগতভাবে কোনো সেতু নয়। এটি আসলে বিশ্বের দীর্ঘতম মেট্রো সিস্টেম ভায়াডাক্ট। লাইন-১ মেট্রো ভায়াডাক্টটি প্রায় ২৪ মাইল দীর্ঘ এবং এতে মোট ৩২টি স্টেশন রয়েছে। ৩৮ হাজার মিটারের সেতুটি ১৯৯৫ সালে চালু হয়। পরে ২০০৩ সালে সংস্কার করা হয়েছিল। এর পর ২০০৪ সালে আবার তা উন্মুক্ত করা হয়। ৪৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটি নির্মাণে হুন্দাই ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি প্রায় ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছিল।

বিস্ময়কর তথ্য :  লাইন-১, মেট্রো ব্রিজ হলো একটি বর্ধিত ট্রেন ব্যবস্থার অংশ, যা উহানজুড়ে জনসাধারণের ভ্রমণকে আরও সহজ করেছে।

 

মানচাক সোয়াম্প ব্রিজ

(৩৬ হাজার ৫৯০ মিটার) :

বিশ্বের দশম দীর্ঘতম সেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানচাক সোয়াম্প ব্রিজ। এটি হলো- লুইসিয়ানার লেক পন্টচারট্রেইন এলাকায় অবস্থিত টুইন কংক্রিটের ট্রেসল অবকাঠামো। এটি ২৩ মাইল দীর্ঘ সেতু, যা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ হাইওয়ে পানির সেতু। এটি পাশাপাশি পানির ওপর নির্মিত বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুগুলোর মধ্যে একটি। ৩৬ দশমিক ৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি বিশ্বের দীর্ঘতম টোলমুক্ত সড়ক সেতু। সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। এর নির্মাণে মাইলপ্রতি ব্যয় হয়েছে ৭ মিলিয়ন ডলার। এটি নির্মাণের জন্য প্রতিটি পাইল বা স্তম্ভকে জলাভূমির ২৫০ ফুট গভীরে নিয়ে যেতে হয়েছিল।

বিস্ময়কর তথ্য :  তালিকায় থাকা এটিই একমাত্র সেতু, যা স্থানীয়দের কাছে ভুতুড়ে কাজুন ওয়ারউলফ বা দুর্ভাগা রাজকুমারী নামে পরিচিত। এটি একমাত্র সেতু, যার নিচে মাংসখেকো অ্যালিগেটরের বসবাস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর