রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন বিশ্বসেরা শিক্ষক, রয়েছে গবেষণার সুযোগ। বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়ার স্বপ্ন মেধাবী শিক্ষার্থীদের তো থাকেই। অনেক অভিভাবকও চান তাদের সন্তানরা এসব বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা করে খ্যাতির উচ্চশিখরে আরোহণ করুক।  প্রতি বছর বিভিন্ন শিক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠগুলোকে নিয়ে জরিপ করে থাকে। বিভিন্ন বিভাগে ভিন্ন ভিন্ন সূচকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারণ করা হয়। লিখেছেন- আবদুল কাদের

 

শীর্ষে এমআইটি

বিদ্যাপীঠটি মূলত শারীরবিদ্যা এবং প্রকৌশলী গবেষণার জন্য বিখ্যাত হলেও  বর্তমানে জীববিজ্ঞান, ভাষাবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনায়ও ব্যাপক সমাদৃত।

সেরার তালিকায় প্রথমেই নাম আসে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। বিদ্যাপীঠটি মূলত শারীরবিদ্যা এবং প্রকৌশল গবেষণার জন্য বিখ্যাত হলেও বর্তমানে জীববিজ্ঞান, ভাষাবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনায়ও ব্যাপক সমাদৃত। ১৮৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যামব্রিজ শহরে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিখ্যাত বিদ্যাপীঠটির সফলতার ঝুলিতে রয়েছে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং প্রযুক্তিগত অবদানের ইতিহাস। পেনিসিলিনের প্রথম রাসায়নিক বিক্রিয়া গবেষণা, রাডারের বিকাশ, কোয়ের্ক আবিষ্কার এবং চৌম্বকীয় কোর মেমোরির উদ্ভাবন বিদ্যাপীঠটিকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে পাঁচটি আলাদা আলাদা স্কুল। স্কুলগুলো হলো-স্থাপত্য ও পরিকল্পনা, প্রকৌশল, মানবিক, শিল্প ও সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও বিজ্ঞান।

১১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর জন্য এই বিদ্যাপীঠে রয়েছে এক হাজার ফ্যাকাল্টি।

‘এমআইটি’র শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, বিগ ডেটা, স্টেইন্যাবল এনার্জি, হিউম্যান হেলথসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক গবেষণায় যুক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতিসংঘ সাবেক মহাসচিব কফি আনানসহ ৮৫ জন নোবেলজয়ী, ৫৮ জন বিজ্ঞানী,  যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ জন নামজাদা গবেষক এবং উদ্ভাবকও রয়েছেন।

 

গবেষণায় এগিয়ে স্ট্যানফোর্ড

এমআইটির পাশাপাশি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুখ্যাতি রয়েছে তার নাম স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি। গবেষণার জন্য বিখ্যাত বিদ্যাপীঠটি ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ৮ হাজার ১৮০ একর জমির ওপর নির্মিত বিদ্যাপীঠটিতে রয়েছে ১৮টি গবেষণা ভবন এবং সাতটি বিশাল বড় ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসগুলো হলো-গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস, স্কুল অব আর্থ, শক্তি ও পরিবেশ বিজ্ঞান স্কুল, গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব অ্যাডুকেশন, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, মানবিক ও বিজ্ঞান, আইন স্কুল ও মেডিসিন স্কুল। বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৬ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ২ হাজার ১৮০টি ফ্যাকাল্টি এবং ১ হাজার ৮০০ ডক্টরেট ডিগ্রিপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ। যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিলিকন ভ্যালি’র সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত বিদ্যাপীঠটিতে পড়াশোনা করেছেন ১৯ জন নোবেলজয়ী, দুজন প্রেসিডেন্ট, ১৭ জন মহাকাশচারীসহ অনেক নামজাদা খেলোয়াড়।

 

ব্রিটিশদের গর্ব অক্সফোর্ড

৯২১ বছরের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বছরে ২২ হাজার শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার পাঠ নেন। ১৪০টি দেশের মেধাবীরা পড়াশোনা করতে আসেন এখানে। বিদ্যাপীঠটি ৪৪টি কলেজ ও হল নিয়ে গঠিত। রয়েছে ১০০টিরও বেশি লাইব্রেরি। ব্রিটিশ রাজ্যে এটি সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ। অক্সফোর্ডের অ্যালামনাইদের ‘অক্সনিয়ান’ বলা হয়। এ পর্যন্ত ২৫ হাজার বিখ্যাত ব্যক্তির শিক্ষাজীবন কেটেছে এই বিদ্যাপীঠে। ৪ জন ইংরেজ রাজা, ৮ জন বিদেশি রাজা, ১২০ জন অলিম্পিকজয়ী, ২৬ জন নোবেল বিজয়ী, বিখ্যাত ৭ জন সাহিত্যিক, ৩০ জন বিশ্বনেতা (বিল ক্লিনটন, ইন্দিরা গান্ধীসহ আরও ২৬ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী), ৭ জন ধর্মযাজক, ১৮ জন ‘কার্ডিনাল’ এবং একজন পোপ পড়েছেন অক্সফোর্ডে। স্টিফেন হকিং, অস্কার ওয়াইল্ড, মার্গারেট থ্যাচারও উঠে এসেছেন এ বিদ্যাপীঠ থেকেই।

 

বিখ্যাত ব্যক্তিদের আঁতুড়ঘর হার্ভার্ড

বিশ্বের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠগুলোর একটি হার্ভার্ড। ১৬৩৬ সালে মর্যাদাপূর্ণ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৬৩৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান জন হার্ভার্ডের নামে এর নামকরণ করা হয়। বিশ্বসেরার তালিকায় এর অবস্থান শুরুর দিকেই থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়টি অসংখ্য বিখ্যাত ব্যক্তি তৈরির আঁতুড়ঘর। বিখ্যাত এই বিদ্যাপীঠ থেকে ৪৫ জন নোবেল বিজয়ী, ৩০ জন রাষ্ট্রনায়ক এবং ৪৮ জন পুলিৎজার জয়ী পড়াশোনার সোনালি অধ্যায় শেষ করেন। হার্ভার্ডের ইতিহাসে ৩ লাখ ২৩ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫২ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে এসেছিলেন ২০১টি দেশ থেকে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্মানসূচক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন যাদের মধ্যে জন এফ কেনেডি অন্যতম। ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত বিদ্যাপীঠটির রয়েছে ১২টি স্কুল, দুটি থিয়েটার এবং ৫টি জাদুঘর।

 

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ

বিশ্ববিদ্যালয়টি রয়েছে সর্বকালের সেরাদের তালিকায়। ১২০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। ইংরেজি ভাষাভাষী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ক্যামব্রিজ পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীন বিদ্যাপীঠ। এমনকি পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যেও বিদ্যাপীঠটি চতুর্থ। ৮০০ বছরের পুরনো এ বিদ্যাপীঠ থেকে বিশ্বের ১৮ হাজার শিক্ষার্থী পাঠ নেন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়টি ৩১টি কলেজে বিভক্ত যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা ১৫০টি অনুষদে পাঠের সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব ছয়টি প্রাচীন স্কুল রয়েছে।

সেগুলো হলো- শিল্প ও মানবিক, জৈবিক বিজ্ঞান, ক্লিনিক্যাল মেডিসিন, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান, শারীরিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা। ক্যামব্রিজজুড়ে আছে ১০০টিরও বেশি লাইব্রেরি যেখানে সংরক্ষিত রয়েছে ১৫ লাখেরও বেশি বই। রয়েছে শিল্পকলা, বৈজ্ঞানিক এবং সাংস্কৃতিক জাদুঘরও যা সাধারণের জন্য খোলা থাকে সারা বছর। রয়েছে সবুজ বোটানিক্যাল গার্ডেনও। ব্রিটিশদের এই বিদ্যাপীঠ থেকে শিক্ষাজীবন পার করেন ৯০ জন নোবেল বিজয়ী। স্যার আইজ্যাক নিউটন, স্টিফেন হকিং, চার্লস ডারউইন, জগদীশ চন্দ্র বসু, শ্রীনিবাস রামানুজন, জে থমসনসহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবন কাটিয়েছেন।

 

উদ্ভাবনে সেরা ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। নামই বলে দেয় বিদ্যাপীঠটি বিশ্বের খ্যাতনামা বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী গবেষণার জন্য স্বীকৃত। ১৮৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডোনার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। মেধাবীরা এই বিদ্যাপীঠকে ক্যালটেক নামেই চেনেন। শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানে খোঁজে জটিল সব প্রশ্নের উত্তর। বিদ্যাপীঠটির শিক্ষার্থীরা এখানে আধুনিক সব আবিষ্কার নিয়ে গবেষণা তো করেই, পাশাপাশি এসব গবেষণার ভবিষ্যৎ রূপ দেওয়াটাও এখানকার শিক্ষার্থীদের নেশা। ক্যালটেকের রয়েছে ছয়টি একাডেমিক বিভাগ যেখানে সর্বদা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, গবেষণা ও উদ্ভাবনে জোর দেয়। খুব কম সংখ্যক সৌভাগ্যবানই এ বিদ্যাপীঠে পড়াশোনার সুযোগ পান। বিদ্যাপীঠটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিখ্যাতদের সংখ্যাও কম নয়। ৩৫ জন নোবেল বিজয়ী এবং ৭১ জন মার্কিন মেডেল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি এখানে লেখাপড়া শেষ করেন। নাসার বেশির ভাগ মহাশূন্যযানের ডিজাইন ও কার্যকারিতা ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে দেখাশোনা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নানা জাতীয়  ক্ষেত্রেও বিদ্যাপীঠটির রয়েছে বড় অবদান।

 

ইতিহাস জড়ানো প্রিন্সটন

প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসও বেশ পুরনো। ১৭৪৭ সালে নিউ জার্সিতে এ বিদ্যাপীঠটি প্রতিষ্ঠিত হয়। খেলাধুলা আর নানা বিনোদনের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের কাছে প্রিয়। সেরা বিদ্যাপীঠের তালিকায় সব সময় রয়েছে প্রিন্সটন। গবেষণার জন্যও বিখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪০ জন নোবেল বিজয়ী শিক্ষাজীবন শেষ করেন। বিখ্যাত এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী হিসেবে নোবেল অর্জন করেন এমন কয়েকজনের মধ্যে রয়েছেন রসায়নবিদ টমাস লিন্ডহাল ও ওসামু শিমোমুরা, অর্থনীতিবিদ পল কারগমান ও অ্যাঙ্গাস ডায়টন এবং পদার্থবিজ্ঞানী আর্থার ম্যাকডোনাল্ড ও ডেভিড গ্রস।

 

ধনী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধনী শিক্ষার্থী গড়ার কারখানা পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ২৫ জনই বিলেনিয়ার। বিদ্যাপীঠটি নাকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় এবং পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চতুর্থ। ১৭৪৯ সালে বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিদ্যাপীঠটি পেনসিলভানিয়ার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইভি লীগের সদস্যও। মূলত শিল্পকলা ও মানববিদ্যা, সামাজিক বিজ্ঞান, স্থাপত্য এবং যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে বিদ্যাপীঠটির জগতজোড়া খ্যাতি।

 

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন

সেরা বিদ্যাপীঠের তালিকায় রয়েছে ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনও। প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী এবং আট হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে চলে এই বিদ্যাপীঠটি। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানটি মূলত বিজ্ঞান ও গবেষণা, প্রকৌশলী, ওষুধ এবং ব্যবসায়িক বিষয়ের ওপর বেশি জোর দেয়। বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণে কলেজের পাশাপাশি রয়েছে প্রাকৃতিক, ভিক্টোরিয়া ও আলবার্ট জাদুঘর। এমনকি, এখানকার শিক্ষার্থীরা একটি বিজ্ঞানবিষয়ক ম্যাগাজিনও প্রকাশনা করে থাকে। সান আলেকজান্দ্রার ফ্লেমিংসহ আরও ১৩ জন নোবেল বিজয়ীর শিক্ষাজীবন কেটেছে এখানে।

 

ইয়েল ইউনিভার্সিটি

১৭০১ সালে কানেক্টিকাটে সেব্র“ক কলিজিয়েট নামে প্রথম এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এর ১৫ বছর পর বিদ্যাপীঠটি নিউ হ্যাভেনের ২৬০ একর জমির ওপর স্থানান্তরিত হয়। ১৭১৮ সালে সেই নাম পরিবর্তন করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করা হয়। সেই সময় অর্থাৎ ১৮৬১ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করার জন্য এটিই ছিল একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৪টি স্কুল এবং মানবিক, কলা, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পরিচালিত।

 

আবিষ্কারে বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো

আঠারো শতকে জন ডি রকফিলারের আর্থিক সহায়তায় আমেরিকার শিকাগোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যাপীঠটি আধুনিক গবেষণা ও আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। মূলত আবিষ্কার ও গবেষণার ওপর এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশ্বের মোট ৮০ নোবেল বিজয়ী এবং আমেরিকার জাতীয় পদকপ্রাপ্ত ৩০ ব্যক্তি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থী। বেশ কয়েক বছর ধরে বিদ্যাপীঠটির নোবেলজয়ী ফ্যাকাল্টিদের মধ্যে রবার্ট ই লুকাস, জেমস জে হ্যাকম্যান, রজার মেয়রসন, লার্স পিটার হ্যানসন অন্যতম।

সর্বশেষ খবর