শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৫

যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ
প্রিন্ট ভার্সন
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়

জীবন পুষ্পশয্যা নয়। সে জীবনে সফলতাও রাতারাতি ধরা দেয় না। সফলতা অর্জন করতে হয়। কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে লেগে থাকতে হয়। চিরকালই পৃথিবীতে যাঁরা সফল হয়েছেন,  তাঁদের সাফল্যের পেছনে রয়েছে ভাঙা-গড়া, চড়াই-উৎরাইয়ের বিরাট ইতিহাস। ব্যর্থতার পাহাড় ডিঙিয়ে সাধারণ থেকে অসাধারণ হওয়া কজন মানুষের গল্প নিয়ে আজকের আয়োজন-

 

বিল গেটস

বিল গেটস

প্রকল্পে ব্যর্থতার পরও মাইক্রোসফট করপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা

দিনের বেশির ভাগ সময়ই কলেজের কম্পিউটার ল্যাবে কাটাতেন। একদিন বন্ধু পল অ্যালেনকে নিয়ে ইন্টেল-৮০৮০ সিপিইউর উপযোগী এমআইটিএস-৪৪০০ তৈরি করেন

 

পুরো নাম উইলিয়াম হেনরি গেটস। ১৯৫৫ সালের ২৮ অক্টোবর আমেরিকার ওয়াশিংটনের সিয়াটলে তাঁর জন্ম। বাবা উইলিয়াম হেনরি গেটস সিনিয়র ছিলেন বিখ্যাত আইনজীবী। মা ম্যাক্সওয়েল গেটস ছিলেন ইউনাইটেড ওয়ের পরিচালক। লেকসাইড স্কুলে তাঁর স্কুলজীবন শুরু। সেখান থেকেই গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এ সময় তিনি ১৬০০ নম্বরের মধ্যে ১৫৯০ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দেন। ১৯৭৩ সালে হার্ভার্ড  কলেজে পড়ার সুযোগ পান। তখন বিভিন্ন মানুষের সান্নিধ্য লাভ করেন। স্টিভ বালমার তাঁদেরই একজন যিনি পরবর্তীতে মাইক্রোসফটের সিইও হন। হার্ভার্ডে পড়ার সময় গেটসের নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা ছিল না। দিনের বেশির ভাগ সময় কলেজের কম্পিউটার ল্যাবে কাটাতেন। একদিন বন্ধু পল অ্যালেনকে নিয়ে ইন্টেল-৮০৮০ সিপিইউর উপযোগী এমআইটিএস-৪৪০০ তৈরি করেন। এ আবিষ্কারের পর গেটস সফটওয়ার কোম্পানি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। ছাড়েন হার্ভার্ড। কিন্তু প্রথম প্রকল্পে ব্যর্থ হন। মাইক্রোসফটের কো-ফাউন্ডার ও বাল্যবন্ধু পল আর গেটস মিলে ‘ট্রাফ ও ডেটা’ নামে মেশিন তৈরি করেন। যা ট্রাফিক কাউন্টারগুলো থেকে ডেটা সংগ্রহ করে সরকারি ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারদের সরবরাহ করত। যন্ত্রটির ওপেনিংয়ে শিয়াটলের ট্রাফিক সুপারভাইজার আসেন। কিন্তু যন্ত্রটি চালু করার পর কোনোভাবেই কাজ করছিল না। এমন লজ্জা গেটসের জীবনে আর আসেনি। কিন্তু তিনি থেমে যাননি। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেন। ধীরে ধীরে মাইক্রোসফটকে সফল করেন। এসব কাজ চলাকালে গেটসকে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সাফল্যের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮১ সালে মাইক্রোসফট কোম্পানি পূর্ণরূপে গঠিত হয়। কোম্পানির সিইও করা হয় তাঁকে। পরিচালনা পর্ষদকে চেয়ারম্যান করা হয়। ২০০০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তিনি কোম্পানির সিইও হিসেবে নেতৃত্বে ছিলেন। তারপর সিইও পদ থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। সেই সঙ্গে ‘আর্কিটেক্ট সফটওয়্যার’ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হিসেবে যুক্ত হন। মাইক্রোসফট সর্বপ্রথম তাদের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ শুরু করে ১৯৮৫ সালের ২০ নভেম্বর। এ সময় তারা আইবিএমের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে মাইক্রোসফট কোম্পানি আইবিএম থেকে পৃথক হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করে। বিল গেটস ১৯৯৪ সালের ১ জানুয়ারি মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিন সন্তানের জনক বিল গেটস বর্তমানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী। গেটস ও মেলিন্ডার দাম্পত্যজীবন বেশিদূর গড়ায়নি। ২০২১ সালে পারিবারিক কলহে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাঁর ৩২তম জন্মদিনের আগে ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রভাবশালীদের তালিকায় সেরা চারজনের একজন নির্বাচিত হন। তিনি প্রায় ৭২.৭ বিলিয়ন ইউএস ডলারের মালিক। এ অর্থের একটি বিশাল অঙ্ক প্রতি বছরই পৃথিবীর দুস্থ ও অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে জমা করেন।

 

ইলন মাস্ক

ইলন মাস্ক

পরাজয়ের পথ পেরিয়ে টেসলার প্রতিষ্ঠাতা

মাস্ক টেসলার মাধ্যমে ২০১৬ সালে সোলারসিটিকে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের স্টকের বিনিময়ে কিনে নেন।  ২০২২ সালে টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেন  ইলন মাস্ক

 

১৯৭১ সালের ২৮ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে তাঁর জন্ম। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। বাবা একজন সফল প্রকৌশলী ছিলেন। মা ছিলেন মডেল ও পুষ্টিবিদ। ইলন মাস্কের বয়স যখন ১০ বছর, তখন তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। অনেক মেধাবী হলেও জীবনে তাঁকে বেশ কঠিন সময় পার করতে হয়। বয়স যখন ২৪ বছর, তখন মাস্ক স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি করতে ক্যালিফোর্নিয়া যান। সেখানে বেশ আগ্রহ নিয়েই পিএইচডি শুরু করেছিলেন; কিন্তু দুই দিন পর সিলিকন ভ্যালিতে ইন্টারনেটের উত্থানের কারণে পিএইচডি ছাড়েন। উদ্যোক্তা হিসেবে ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত আইডিয়ার বিকাশ করেন। মাস্ক বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী উদ্যোগ নেন, যেগুলো থেকে তিনি সফল হন। ১৯৯৫ সালে তিনি ও তাঁর ভাই জিপ-২ নামে একটি কোম্পানি শুরু করেন। জিপ-২ সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের কাছে লাইসেন্সযুক্ত সফটওয়্যার সরবরাহ করত। ১৯৯৯ সালে কমপ্যাক কম্পিউটার করপোরেশনের কাছে ৩০০ মিলিয়ন ডলারে জিপ-২ বিক্রি করে দেন। এ বিক্রি মাস্কের সম্ভাবনার পথ খুলে দেয়। এরপর হ্যারিস ফ্রিকার, এড হো ও ক্রিস্টোফার পেইনের সঙ্গে এক্স ডটকম প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অনলাইন ব্যাংক ছিল। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক মডেল সে সময়ের জন্য নতুন উদ্ভাবন ছিল। এর মাধ্যমে পেপাল নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান চালু হয়। পেপাল অনলাইন পেমেন্টের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। পেপাল তাঁর সবচেয়ে সফল কোম্পানির একটি হতে যাচ্ছিল; কিন্তু কনফিনিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা পিটার থিয়েলসহ মাস্ক ও অংশীদাররা ২০০২ সালে এটি ১.৫ বিলিয়ন স্টক ডিলের জন্য ই-বেতে বিক্রি করেন। পেপালকে একপর্যায়ে ১৯৯৯ সালের সবচেয়ে বাজে ব্যবসায়িক আইডিয়া হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ২০০০ সালে হানিমুনে থাকাকালে মাস্ককে সিইও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি ভবিষ্যতের বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকে চোখ ফেরান। তিনি টেসলার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। ২০০৩ সালে কোম্পানিটি চালু করেন। ২০০৬ সালে মাস্কের চাচাতো ভাইয়েরা মিলে প্রতিষ্ঠা করেন সোলারসিটি। এ প্রতিষ্ঠানে মাস্ক পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তিনি ছিলেন তাদের প্রধান আর্থিক সহায়তাকারী। মাস্ক টেসলার মাধ্যমে ২০১৬ সালে সোলারসিটিকে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের স্টকের বিনিময়ে কিনে নেন। ২০২২ সালে টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেন ইলন মাস্ক। এ ছাড়া ২০১৫ সালে অলাভজনক সংস্থা ওপেনএআই প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ২০১৬ সালে নিউরালিংক ও বোরিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠান করেন। এ মুহূর্তে পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের একজন ইলন মাস্ক। তাঁর মোট সম্পদ ১৯৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি শুধু একজন সফল উদ্যোক্তাই নন, সফল উদ্ভাবকও। আপাতদৃষ্টে মনে হয়, ইলন মাস্ক যে উদ্যোগই হাতে নেন, তা সফল হবেই। কিন্তু বাস্তবে তাঁর পথচলা মোটেও মসৃণ ছিল না। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ।

 

লিওনেল মেসি

লিওনেল মেসি

হরমোন ঘাটতির পরও বিশ্বসেরা

হাজার হাজার কাচের টুকরোয় লুকিয়ে ছিল মহামূল্যবান হীরা। তাকে খুঁজে নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু রোজারিও সেন্তা ফের ছোট এক মাঠে ধুলোবালির মধ্যে খেলতে থাকা সেই হীরার টুকরোকে ঠিকই চিনে নিয়েছিলেন বার্সেলোনার এক স্কাউট। ধুলোমাখা পোশাকের ছোট্ট আদুরে চেহারার শিশুটির ফুটবল নিয়ে কাড়াকাড়ি মুগ্ধ করে দেয় তাঁকে। ভাগ্য খুলে যায় হোর্হে হোসারিওর; যিনি সেই শিশুর বাবা। ছেলে বল নিয়ে ড্রিবলিং-ডজের খেলায় মেতে ওঠে। বাবা তা দেখে মুগ্ধ হন। কেউ একজন তাঁকে ভর্তি করিয়ে দিল রোজারিওর ক্লাব নিউয়েল ওল্ড বয়েজে। এরপরই হঠাৎ আসে সেই দুঃসংবাদ। ‘গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম’ রোগে আক্রান্ত শিশুটি। সেই রোগের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই গরিব বাবার। আচমকা এলোমেলো হলো সবকিছু। আদরের সন্তানটির গায়ের রং ফিকে হয়ে উঠল। চিন্তায় পড়ে গেলেন বাবা। এটাই লিওনেল মেসির শিশুবেলার গল্প। বয়স তখন ১৩। এ রোগ থেকে সেরে উঠতে তাঁর চিকিৎসায় প্রতি মাসে প্রয়োজন ৯০০ ডলার। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে বাবার। যাঁকে নিয়ে দারিদ্র্য কাটানোর স্বপ্ন দেখছিলেন, সেই অবলম্বনটিই কি না দিনে দিনে শেষ হতে যাচ্ছে। ঠিক তখনই হোসারিওর কাছে স্বস্তির বার্তা নিয়ে আসেন সেই ফুটবল স্কাউট। তাদের হাত ধরেই বার্সেলোনায় পা রাখে ১৩ বছরের শিশুটি। পুচকে ওই ফুটবলারের বল নিয়ে ক্যারিশমা দেখে তো মুগ্ধ সবাই। চটজলদি তাঁকে দলে নিতে টিস্যু পেপারেই চুক্তি হয়ে গেল। এরপর বার্সার একাডেমিতে হলো শিশুর পরিচর্যা। সঙ্গে চলল ব্যয়বহুল চিকিৎসা। কার্লোস রেক্সাস বার্সেলোনার তখনকার ক্রীড়া পরিচালক। ছোট্ট লিওনেল মেসিকে বার্সেলোনায় জায়গা করে দেন তিনিই। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন হোর্হে হোসারিও মেসি। যিনি ফ্যাক্টরিতে ছোটখাটো চাকরি করেন। তাঁর স্ত্রী পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ইতালি থেকে তারা পাড়ি জমিয়েছিলেন আর্জেন্টিনায়। পরিবারের চতুর্থ ছেলের হাত ধরেই যে একদিন এই আর্জেন্টাইন দম্পতির জীবন পাল্টে যাবে, কে জানত? এর পরের গল্প তো সবার জানা। ন্যু ক্যাম্পের ক্লাবে প্রতিভার যত্নআত্তি হলো মেসির। সময়ের পথ ধরে তাঁর অর্জনগুলোও জানা হলো ভক্তদের। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা মেসি আজ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আয় করা ১০ অ্যাথলিটের একজন। সাতবারের ফিফার বর্ষসেরাকে এ খ্যাতি আর অর্থ বদলে দেয়নি। এখনো সেই আগের মেসিই আছেন তিনি। পা মাটিতেই আছে ১৯৮৭ সালের ২৪ জুনে জন্ম নেওয়া এ খুদে ফুটবল জাদুকরের। সংসার পেতেছেন শৈশবের প্রেমিকা রোজারিওর মেয়ে আন্তেনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে। এরই মধ্যে তাদের সংসারে এসেছে তিন সন্তান। ২০০৩ সালের পোর্তোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে বার্সেলোনা সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেক মেসির। তখন বয়স ১৬ বছর ১৪৫ দিন। তারপর দুই পায়ের ম্যাজিকে শুধুই লিখেছেন এগিয়ে যাওয়ার গল্প। খুদে জাদুকর থেকে কয়েকবারের বর্ষসেরা। ক্লাব ফুটবলে সব ট্রফিই মিলেছে। ১০টি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তিনটি ফিফা ক্লাব কাপ ট্রফি। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জয়, কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়। সাফল্যে আকাশ ছুঁয়েছেন। ফুটবল জগতে তাঁর যেন পাওয়ার কিছু নেই!

 

জ্যাক মা

জ্যাক মা

আর্থিক টানাপোড়েন জয় করে আলিবাবার কর্ণধার

অর্থ বা যোগাযোগ ছাড়া তাঁর এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল শিক্ষা। হাইস্কুল শেষ করে তাই কলেজে ভর্তির আবেদন করেন। কিন্তু দুবার প্রবেশিকা পরীক্ষায় ব্যর্থ হন।  এরপর প্রচুর পড়াশোনা করে তৃতীয়বারের চেষ্টায় উত্তীর্ণ হন

 

১৯৬৪ সালের ১৫ অক্টোবর চীনের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের হাংঝুতে তাঁর জন্ম। সে সময় কমিউনিস্ট চীন পশ্চিমা বিশ্ব থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছিল। তাঁর পরিবারের কাছে তখন খুব বেশি সম্পদ ছিল না। অন্যান্য শিশুদের মতো তারও কিছু শখ ছিল।

১৯৭২ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন হাংঝু সফরের পর শহরটি পর্যটনস্থলে পরিণত হয়। কিশোর বয়সে জ্যাক মা ইংরেজি শেখার বিনিময়ে দর্শনার্থীদের ট্যুর গাইড হিসেবে শহরের প্রধান প্রধান হোটেলে ঘুরতেন। একজন পর্যটকের সঙ্গে তখন দারুণ বন্ধুত্ব হয়। তিনিই তাঁকে ‘জ্যাক’ নাম দিয়েছিলেন। জ্যাক মা জানতেন, অর্থ বা যোগাযোগ ছাড়া তাঁর এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল শিক্ষা। হাইস্কুল শেষ করে তাই কলেজে ভর্তির আবেদন করেন। কিন্তু দুইবার প্রবেশিকা পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। এরপর প্রচুর পড়াশোনা করে তৃতীয়বারের চেষ্টায় উত্তীর্ণ হন।

হাংঝু টিচার্স ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৮ সালে স্নাতক শেষ করেন। শুরু হয় চাকরির লড়াই। যত বেশি সম্ভব চাকরির জন্য আবেদন করেন। ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের আগে কেএফসিসহ এক ডজনেরও বেশি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যাখ্যাত হন। কম্পিউটার বা কোডিং নিয়ে জ্যাক মার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। তখন অনুবাদ ব্যবসা শুরু করেন। একটি চীনা কোম্পানির অর্থ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে ওই ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তাঁর প্রথম অনলাইনে সার্চ করা শব্দ ছিল ‘বিয়ার’।

কিন্তু তিনি দেখেছিলেন, ফলাফলে কোনো চীনা বিয়ার আসেনি; যা তাঁকে রীতিমতো অবাক করে। তখন তিনি চীনের জন্য ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাঁর প্রথম দুটি উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছিল। চার বছর পর তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে ১৭ জন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানান। তাদের ‘আলিবাবা’ অনলাইন মার্কেটপ্লেসের জন্য বিনিয়োগ করতে রাজি করান। সাইটটিতে রপ্তানিকারকরা তাদের পণ্য পোস্ট করেন। গ্রাহকরা সেখান থেকে সরাসরি কিনেন। খুব দ্রুত সাইটটি সারা বিশ্বের মানুষকে আকৃষ্ট করে। ১৯৯৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে কোম্পানিটি গোল্ডম্যান স্যাকস থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার ও সফটব্যাংক থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পায়। ২০০৫ সালে ইয়াহু আলিবাবার প্রায় ৪০ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। আলিবাবার হাত ধরেই জ্যাক মা চীনের ধনকুবের পরিণত হন। কিন্তু খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন তিনি। স্নাতক শেষ হওয়ার পরে ঝাং ইং নামের এক শিক্ষককে বিয়ে করেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘আমি তাঁর প্রেমে পড়ার কারণ তিনি ব্যর্থতাকে কখনো ভয় পাননি।’

 

কর্নেল স্যান্ডার্স

কর্নেল স্যান্ডার্স

পরাজয়ের পাহাড় ডিঙিয়ে কেএফসির মালিক

জীবনের পুরোটা সময় ধরে অত্যন্ত কষ্ট করে চলা স্যান্ডার্সের জীবনে অবশেষে ধরা দেয় সাফল্য। ১৯৬৩ সাল নাগাদ স্যান্ডার্স ৬০০টিরও বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি রেস্টুরেন্টের সঙ্গে কাজ শুরু করেন

 

১৮৯০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আমেরিকার ইন্ডিয়ানার হেনরিভিলেতে তাঁর জন্ম। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তাঁর বাবা উইলবার মারা যান। বাধ্য হয়ে তাঁর মা টম্যাটো ক্যানজাতের ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন। আশপাশের পরিবারের জন্য সেলাইয়ের কাজও করতেন তিনি। অভাবের তাড়নায় ১০ বছর বয়সে স্থানীয় খামারে চাকরি নেন স্যান্ডার্স। গ্রিনউড, ইন্ডিয়ানার বিভিন্ন স্থানে খামারের টুকটাক কাজ করে মাসে ১০ থেকে ১৫ ডলার আয় করতেন। এর মাঝে পড়াশোনারও চেষ্টা করতেন। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণির পর তাঁকে লেখাপড়া ছেড়ে দিতে হয়। এর পরবর্তী ২৮ বছরে নানানরকম ছোটখাটো চাকরি ও কাজের মাধ্যমে অতিকষ্টে জীবন চালান। তাঁর চাকরি ও ক্যারিয়ার জীবন ছিল অত্যন্ত অস্থিতিশীল। কিছুদিনের জন্য আমেরিকান আর্মিতেও কাজ করেন। রেইল রোডের ফায়ারম্যান, স্ট্রিটকার কন্ডাক্টর, ইন্স্যুরেন্স সেলসম্যান, সেক্রেটারি, টায়ার বিক্রেতা, ফেরিচালক- এমনকি ধাত্রী হিসেবেও কাজ করেন তিনি। স্যান্ডার্সের পারিবারিক দিকেও নানানরকম দুঃখজনক ঘটনা ছিল। ১৯০৮ সালে তিনি বিয়ে করেন জোসেফাইন কিংকে।  জোসেফাইন তাঁকে অল্প সময়ের মধ্যে ছেড়ে গেল। অনেকবার জীবনের পথে হেরে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন তিনি। অবশেষে ১৯৪৯ সালে ক্লডিয়া লেডিংটন নামের একজন নারীকে বিয়ে করেন। যার সঙ্গে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলেন। এরপর কেন্টাকির কর্বিন শহরে একটি গ্যাসস্টেশন চালানো শুরু করেন। এ সময় ক্ষুধার্ত ড্রাইভার ও যাত্রীদের জন্য তিনি খাবার রান্না ও বিক্রি শুরু করেন। তাঁর রান্না করা খাবারগুলো মূলত ছিল প্যানে ভাজা মুরগি, হ্যাম, ঢ্যাঁড়শ, শিম ভাজা ও গরম বিস্কুট। এ খাবারগুলো তাঁর রান্নার দক্ষতার জন্য কেন্টাকি অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কয়েক বছর পর গ্যাসস্টেশন তুলে রেস্টুরেন্ট দেন তিনি। এ সময় তাঁর রেস্তোরাঁটি বেশ জনপ্রিয় হয়। বহু কষ্টের পর পাওয়া এ সাফল্যের ওপর আবারও দুর্ভাগ্য আঘাত হানে। হাইওয়ে জংশনটি সরিয়ে অন্য জায়গায় নেওয়া হয়। ব্যস্ত ট্রাফিক, লোকজন, গাড়ি ও যাত্রীদের আনাগোনা কমে যায়। রেস্তোরাঁর বিক্রিও হয় না। ১৯৫৬ সালে তিনি অল্পদামে রেস্তোরাঁটি বিক্রি করেন। রান্নায় নিবেদিতপ্রাণ স্যান্ডার্স এবার তাঁর মুরগির রেসিপি বিক্রি করবেন- এমন ফ্র্যাঞ্চাইজি রেস্টুরেন্ট খুঁজতে থাকেন। জীবনের পুরোটা সময় ধরে অত্যন্ত কষ্ট করে চলা স্যান্ডার্সের জীবনে অবশেষে ধরা দেয় সাফল্য। ১৯৬৩ সাল নাগাদ স্যান্ডার্স ৬০০টিরও বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি রেস্টুরেন্টের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি ২ মিলিয়ন ডলারে ব্যবসাটি বিনিয়োগকারীদের হাতে দেন। যারা বছর দুয়েক পর ব্যবসাটিকে পাকাপোক্তভাবে প্রকাশ করে। নির্দিষ্টভাবে তৈরি হয় ‘কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন’; সংক্ষেপে ‘কেএফসি’। ১৯৭০ সাল নাগাদ ‘কেএফসি’র ৪৮টি দেশে প্রায় ৩ হাজারের মতো রেস্তোরাঁ ছিল। বর্তমানে কেএফসির ১১৮টি দেশে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি আউটলেট রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৮ লাখ ২০ হাজার কর্মী কাজ করে।

এই বিভাগের আরও খবর
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
সর্বশেষ খবর
মেট্রোরেল চলাচল শুরু
মেট্রোরেল চলাচল শুরু

৩২ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

সরকারের মধ্যে সব সময় একটা ‘শেকি’ ব্যাপার দেখা যায় : সারোয়ার তুষার
সরকারের মধ্যে সব সময় একটা ‘শেকি’ ব্যাপার দেখা যায় : সারোয়ার তুষার

৭ মিনিট আগে | টক শো

ঝিনাইদহে কৃষককে হত্যা, দুজন গ্রেফতার
ঝিনাইদহে কৃষককে হত্যা, দুজন গ্রেফতার

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ ঢাকার
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ ঢাকার

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রথমবার মার্কিন রাজধানী সফরে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট
প্রথমবার মার্কিন রাজধানী সফরে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় দিয়েই রাজনৈতিক সংকটের শুরু : আপিল বিভাগকে বিএনপি
তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় দিয়েই রাজনৈতিক সংকটের শুরু : আপিল বিভাগকে বিএনপি

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

জেনেভা ক্যাম্পে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ পরিদর্শন
জেনেভা ক্যাম্পে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ পরিদর্শন

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

প্রাইম ব্যাংকের পে-রোল সেবা নিচ্ছে এসকিউ লাইটস
প্রাইম ব্যাংকের পে-রোল সেবা নিচ্ছে এসকিউ লাইটস

২৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার হাতছানি স্মিথের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার হাতছানি স্মিথের

৩৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কাতারের নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সংহতি পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের
কাতারের নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সংহতি পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

এবারের ইজতেমা জাতীয় নির্বাচনের পর: ধর্ম উপদেষ্টা
এবারের ইজতেমা জাতীয় নির্বাচনের পর: ধর্ম উপদেষ্টা

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন চার সুবিধা ঘোষণা আমিরাতের
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন চার সুবিধা ঘোষণা আমিরাতের

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুনমিং শিক্ষা সহযোগিতা সম্মেলনে আইইউবিএটির প্রতিনিধি দল
কুনমিং শিক্ষা সহযোগিতা সম্মেলনে আইইউবিএটির প্রতিনিধি দল

৪৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপি নেতার অর্থায়নে কাঠের সেতু, ৬ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব
বিএনপি নেতার অর্থায়নে কাঠের সেতু, ৬ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিইসির সঙ্গে এনসিপির বৈঠক বিকালে
সিইসির সঙ্গে এনসিপির বৈঠক বিকালে

৫২ মিনিট আগে | রাজনীতি

এই মুহূর্তে ট্রাম্প-পুতিনের জরুরি বৈঠকের প্রয়োজন নেই: ক্রেমলিন
এই মুহূর্তে ট্রাম্প-পুতিনের জরুরি বৈঠকের প্রয়োজন নেই: ক্রেমলিন

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নীল রঙের কুকুর! বিজ্ঞানীরাও হতবাক
নীল রঙের কুকুর! বিজ্ঞানীরাও হতবাক

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

৪৩ বছর পার করল সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস
৪৩ বছর পার করল সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শাহরুখের জন্মদিনে প্রকাশ পেল ‘কিং’ টিজার, ফিরল বলিউডের আসল বাদশা
শাহরুখের জন্মদিনে প্রকাশ পেল ‘কিং’ টিজার, ফিরল বলিউডের আসল বাদশা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হানিফসহ চারজনের বিচার শুরু, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
হানিফসহ চারজনের বিচার শুরু, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা বিকেলে
এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা বিকেলে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কানাডায় এইম ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন
কানাডায় এইম ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আন্দোলন, যা বলছে ডিএমপি
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আন্দোলন, যা বলছে ডিএমপি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি
মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত এক, আহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত এক, আহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে ট্রাকচাপায় যুবকের মৃত্যু, আহত ১
নারায়ণগঞ্জে ট্রাকচাপায় যুবকের মৃত্যু, আহত ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘আমার কি দোষ বলুন তো, যদি চোখ দুটো বড় হয়’
‘আমার কি দোষ বলুন তো, যদি চোখ দুটো বড় হয়’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজার ৭৬ শতাংশ ত্রাণ আটকে রেখেছে ইসরায়েল
গাজার ৭৬ শতাংশ ত্রাণ আটকে রেখেছে ইসরায়েল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, পাকিস্তানে জেলে গ্রেফতার
ভারতের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, পাকিস্তানে জেলে গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলামি আলেমের সম্ভাব্য সফর প্রসঙ্গে ভারতের মন্তব্য ঢাকার নজরে এসেছে
ইসলামি আলেমের সম্ভাব্য সফর প্রসঙ্গে ভারতের মন্তব্য ঢাকার নজরে এসেছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
‘জামায়াতকে বাদ দিয়ে হলেও সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবে’
‘জামায়াতকে বাদ দিয়ে হলেও সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবে’

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিন আনলেন নতুন পারমাণবিক টর্পেডো ‘পসাইডন’, আতঙ্কে ইউরোপ
পুতিন আনলেন নতুন পারমাণবিক টর্পেডো ‘পসাইডন’, আতঙ্কে ইউরোপ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন ভিসা চালু করছে পর্তুগাল
দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন ভিসা চালু করছে পর্তুগাল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য ভিডিও প্রচার
মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য ভিডিও প্রচার

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচনের আগে ইসলামকে রাজনৈতিক ফায়দা লাভে ব্যবহারের চেষ্টা : সালাহউদ্দিন
নির্বাচনের আগে ইসলামকে রাজনৈতিক ফায়দা লাভে ব্যবহারের চেষ্টা : সালাহউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৯৮ শতাংশ ভোটে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া হাসান
৯৮ শতাংশ ভোটে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া হাসান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদ্মাপাড়ে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেল বাপেক্স
পদ্মাপাড়ে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেল বাপেক্স

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বহুরূপীদের খপ্পরে পড়েছে দেশ : আলাল
বহুরূপীদের খপ্পরে পড়েছে দেশ : আলাল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মিডিয়া ও তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে বিএনপির ৭ টিম গঠন
মিডিয়া ও তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে বিএনপির ৭ টিম গঠন

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বাসদের কার্যালয় থেকে ২২ নেতাকর্মী আটক
সিলেটে বাসদের কার্যালয় থেকে ২২ নেতাকর্মী আটক

২২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি
ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে : মামুনুল হক
৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে : মামুনুল হক

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পকেটমার-চুরির অভ্যাস কোনভাবেই ছাড়তে পারলেন না এই অভিনেত্রী!
পকেটমার-চুরির অভ্যাস কোনভাবেই ছাড়তে পারলেন না এই অভিনেত্রী!

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘বিবাহবিচ্ছেদ’ প্রশ্নে যে জবাব দেন ঐশ্বরিয়া
‘বিবাহবিচ্ছেদ’ প্রশ্নে যে জবাব দেন ঐশ্বরিয়া

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কোহলির রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে বাবর
কোহলির রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে বাবর

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন প্রেমে মজেছেন মালাইকা!
নতুন প্রেমে মজেছেন মালাইকা!

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা মোকাবিলায় ভেনেজুয়েলার পাশে রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা মোকাবিলায় ভেনেজুয়েলার পাশে রাশিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও’র বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জালিয়াতির অভিযোগ
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও’র বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জালিয়াতির অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০৭ সালের পর জন্ম নিলে সারাজীবন ধূমপান নিষেধ!
২০০৭ সালের পর জন্ম নিলে সারাজীবন ধূমপান নিষেধ!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই : মির্জা ফখরুল
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই : মির্জা ফখরুল

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৫ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ঘোষণা
১৫ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ঘোষণা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টিপাতের মধ্যেই ১০ জেলায় ঝড়ের আশঙ্কা
বৃষ্টিপাতের মধ্যেই ১০ জেলায় ঝড়ের আশঙ্কা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রবল বৃষ্টিতে এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টে গেল বাস
প্রবল বৃষ্টিতে এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টে গেল বাস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর ফাঁকিতেও চ্যাম্পিয়ন সেই ডাক্তাররা
কর ফাঁকিতেও চ্যাম্পিয়ন সেই ডাক্তাররা

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হোটেলে রুম না পেয়ে থাকতে চাইলেন মান্নাতে, ভক্তকে শাহরুখের জবাব
হোটেলে রুম না পেয়ে থাকতে চাইলেন মান্নাতে, ভক্তকে শাহরুখের জবাব

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের
নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমআরআই করতে হবে সোহান-শরিফুলের
এমআরআই করতে হবে সোহান-শরিফুলের

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বেপরোয়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ওবামার
বেপরোয়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ওবামার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আগে নির্বাচন চায় দেশবাসী
আগে নির্বাচন চায় দেশবাসী

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির
ড. আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার সংস্কার বাস্তবায়নে কমিশন
এবার সংস্কার বাস্তবায়নে কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ক্রিকেটবিশ্ব
নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ক্রিকেটবিশ্ব

মাঠে ময়দানে

শোবিজ কাঁপানো প্রেম
শোবিজ কাঁপানো প্রেম

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিপজ্জনক বগুড়ার মহাসড়ক
বিপজ্জনক বগুড়ার মহাসড়ক

নগর জীবন

আসছেন জাকির নায়েক, ভারতের সতর্কবার্তা
আসছেন জাকির নায়েক, ভারতের সতর্কবার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

আড়াই শ বছরের কাঠগোলাপ গাছ
আড়াই শ বছরের কাঠগোলাপ গাছ

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের
৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে সাজ্জাদ হত্যার নেপথ্যে পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ!
চট্টগ্রামে সাজ্জাদ হত্যার নেপথ্যে পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ!

নগর জীবন

পাহাড়ি মেলায় মানুষের উচ্ছ্বাস
পাহাড়ি মেলায় মানুষের উচ্ছ্বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট ছাড়া নির্বাচনের দুই পয়সার মূল্য নেই
গণভোট ছাড়া নির্বাচনের দুই পয়সার মূল্য নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

মওদুদী নয়, মদিনার ইসলাম চর্চা করি
মওদুদী নয়, মদিনার ইসলাম চর্চা করি

প্রথম পৃষ্ঠা

আলালের বক্তব্য জামায়াতের প্রতিবাদ
আলালের বক্তব্য জামায়াতের প্রতিবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে সরব বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন
মাঠে সরব বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন

নগর জীবন

দুই দলের বোঝাপড়ার কথা শোনা যাচ্ছে
দুই দলের বোঝাপড়ার কথা শোনা যাচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

গাছের ওপর ১২ ফুট লম্বা অজগর
গাছের ওপর ১২ ফুট লম্বা অজগর

খবর

দলের কাছে নতি স্বীকার উপদেষ্টাদের
দলের কাছে নতি স্বীকার উপদেষ্টাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

এ বয়সে চাকরি পামু কোথায়
এ বয়সে চাকরি পামু কোথায়

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যয় বেড়েছে ব্যবসায়
ব্যয় বেড়েছে ব্যবসায়

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা নরসিংদীতে
দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা নরসিংদীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

বই পড়ায় ১০২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৭তম
বই পড়ায় ১০২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৭তম

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্বার খুললেও জাহাজ নেই!
দ্বার খুললেও জাহাজ নেই!

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে ভাগাভাগি করে
নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে ভাগাভাগি করে

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন দলের চার নেতা কুশলী প্রচারে
তিন দলের চার নেতা কুশলী প্রচারে

নগর জীবন

বৃষ্টিতে ভোগান্তি নগরবাসীর
বৃষ্টিতে ভোগান্তি নগরবাসীর

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭০ হাজার ছাড়াল

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাধান
নির্বাচনই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাধান

পেছনের পৃষ্ঠা