১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৫৭

‘সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে না চাইলে আমার জীবন নিতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর:

‘সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে না চাইলে আমার জীবন নিতে হবে’

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব (ফাইল ছবি)

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলা এবং সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘যশোর-৪ আসনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, নইলে আমার জীবন নিয়ে নিন। বিনা চ্যালেঞ্জে আমি এখানে পাতানো খেলার নির্বাচন হতে দেবো না’।

সোমবার সকালে যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। যশোরের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের আটক, নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, পোস্টার ছিড়ে পুড়িয়ে দেওয়া, বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি, জনমনে আতংক তৈরি করা হচ্ছে অভিযোগ করে জেলা বিএনপির ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এসময় সেখানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চুসহ বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলা বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে টিএস আইয়ুব অভিযোগ করেন, তফসিল ঘোষণার পর তার এলাকায় বিনা ওয়ারেন্টে পুলিশ ৩১ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। পরে তাদের একেকজনের বিরুদ্ধে ৫/৬টা করে পেন্ডিং মামলা দিয়েছে যাতে ভোটের আগে তারা জেল থেকে বের হতে না পারে।

তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিনে আমার ১৩টি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। প্রতিদিন রাতে ৩০/৪০ জনের গুণ্ডাবাহিনী বের হয়ে পোস্টার ছিড়ে তাতে আগুন দিচ্ছে, কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে। এ ব্যাপারে দফায় দফায় রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানানো হলেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থাই নেওয় হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িও আক্রান্ত হয়েছে, আমার ছেলেমেয়েরা কান্নাকাটি করেছে। আমি বাড়ি থাকলে সেদিন বড় ধরণের রক্তক্ষয় হতে পারতো। আমার যদি অস্তিত্ব না থাকে, আমার নেতা-কর্মীদের যদি অস্তিত্ব না থাকে, আমাদের আর পেছানোর সুযোগ থাকবে না। যশোর-৪ আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেই হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করার তার সবকিছুই আমরা করবো’।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু দাবি করেন, যশোরের ছয়টি আসনেই একইরকম অবস্থা বিরাজ করছে। সব আসনে ৪০/৫০ জনের গুণ্ডা বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। যারা মোটরসাইকেল নিয়ে রাতে বের হয়ে ধানের শীষের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করছে, নেতা-কর্মী-ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে, পোস্টার ছিড়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। সাবু বলেন, যশোর-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি এলাকায় থাকতে পারছেন না, যশোর-২, যশোর-৩, যশোর-৪, যশোর-৫ ও যশোর-৬ আসনেও একই অবস্থা।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর