১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:০৪

উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পথে লতিফ সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পথে লতিফ সিদ্দিকী

লতিফ সিদ্দিকীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার চিকিৎসকরা তাকে ওষুধ সেবন ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায়ে (বিএসএমএমইউ) উন্নত চিকিৎসা নেওয়া জন্য রওনা হয়েছেন অনশনরত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও টাঙ্গাইল-৪(কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বুধবার দুপুরে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

লতিফ সিদ্দিকীর ভাতিজা মোশাররফ হোসেন সিদ্দিকী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ'তে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য চাচা রওনা হয়েছেন। 

এর আগে, গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে কালিহাতী থানার ওসির অপসারণসহ তিন দফা দাবিতে অনশনরত লতিফ সিদ্দিকীর ৮২তম জন্মদিন ছিল গতকাল মঙ্গলবার। এদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ওষুধ সেবন ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এসে স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকীও তাকে ওষুধ সেবনের অনুরোধ জানান। তবে লতিফ সিদ্দিকী জানান তার মৃত্যু হলেও তিনি দাবি পূরণ না হলে অনশন ভাঙ্গবেন না। 

কিন্তু আজ বুধবার লতিফ সিদ্দিকীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধানে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার সকালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈলে লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এতে অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় বহরে থাকা চারটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।  

বিকালে জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কালিহাতী থানার ওসিকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানান লতিফ সিদ্দিকী। 

জানা গেছে, রবিবার বেলা সোয়া ২টা থেকে সেখানে অবস্থান নেন লতিফ সিদ্দিকী। পরে বেড, কাঁথা, বালিশ বিছিয়ে বসে পড়েন আওয়ামী লীগের সাবেক এই মন্ত্রী। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও একটুও নড়েননি তিনি। বরং তাঁবু গেঁড়ে, লেপ নিয়ে রাত্রিযাপনের সব প্রস্তুতি সেরে শুয়ে পড়েন। এরপর সোম ও মঙ্গলবার শীত ও বৃষ্টির মধ্যেও তিনি অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যান।

বিডি-প্রতিদিন/১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর