রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দেশে দেশে বিচিত্র ভোট

তানিয়া তুষ্টি

চলছে ভোটের হাওয়া। এই হাওয়ায় দুলছে ভোটার, ভোটের কর্মী, প্রার্থী এমনকি যারা ভোটার হননি তারাও। প্রত্যেকের মাঝে চলছে ভোট নিয়ে ব্যাপক তোড়জোড়। নির্বাচনকে ঘিরে তাদের কতশত প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি মিশে আছে এই ভোটের মাঝে। মনে হতে পারে, ভোটাভুটি নিয়ে আমরাই হয়তো সবচেয়ে বেশি মাতামাতি করি। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এমন জল্পনা-কল্পনা চলে না। কিন্তু সত্য ঘটনা হলো অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ঘটে বিচিত্র সব ঘটনা। কিছু ঘটনা রীতিমতো অবাক করার মতো। আজকের আয়োজনটি সাজানো হয়েছে  দেশে দেশে বিচিত্র ভোট নিয়ে।

 

রবিবার ছাড়া ভোট হয় না

জাতীয় নির্বাচনের ভোট প্রদানের দিন হিসেবে অধিকাংশ দেশের জনগণ সাপ্তাহিক বার হিসেবে পছন্দ করে থাকেন ‘রবিবার’কে। কারণ নির্বাচনের জন্য তারা ব্যক্তিগত কাজে প্রভাব ফেলতে রাজি নন। রবিবার দিনটি সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ভোট প্রদানের জন্য উপযুক্ত মনে করেন সেসব দেশের জনগণ। অথচ এই নীতির বাইরে রয়েছে মার্কিন জনগণ। বিশেষ করে যাদের প্রাথমিক ভাষা ইংরেজি তারা সবাই রবিবারকে ভোটদানের দিন হিসেবে এড়িয়ে যেতে চান। যেমন কানাডার নাগরিকরা সোমবার বেছে নেয়, ব্রিটেন বৃহস্পতিবার এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড শনিবার বেছে নেয়। আমেরিকায় মঙ্গলবার ভোট হওয়ার নিয়মটি আইন দ্বারা প্রসিদ্ধ ছিল না কখনো। অথচ ঊনিশ শতক থেকে তারা মঙ্গলবারই ভোট দিয়ে আসছে। ১৮৪৫ সাল থেকে শীতের আগে এবং ফসল কাটা শেষ হওয়ার পরে যাতে নির্বাচন হতে পারে সে কথা ভেবেই বছরের একাদশ মাসকে বেছে নেওয়া হয়। তখন দূরদূরান্তের শস্য খামার থেকে নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় আসত ভোটাররা। সোমবার যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার ভোট দিত। তারপর আবার হাটের বার বুধবারের আগেই ভোট দেওয়া শেষ হতো তাদের।  তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের এই নিয়ম আর বদলায়নি।

 

অস্ট্রেলিয়ায় ভোট বাধ্যতামূলক

অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের প্রতিটি নাগরিককে ভোটের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আর এই আইন সবার জন্য বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়, ভোটারদের ফেডারেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাও বাধ্যতামূলক। যদি কোনো কারণে কোনো ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে না পারে তবে তাকে মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হয়। আর এটাই সেখানকার রীতি। এ জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ হয় ১৫ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত। জরিমানার অর্থ কোনো নাগরিক যদি দিতে ব্যর্থ হয় তবে তার জন্য অপেক্ষা করে আরও বড় ধরনের মাশুল। সে মাশুলের কথা শুনলে হয়তো আপনার চোখ চড়কগাছ হয়ে যেতে পারে।  জরিমানাটা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১৮০ ডলারে। আর এটি তখন দুর্নীতির দায় হিসেবে গণ্য করা হয়।

 

নাসা থেকে ভোটদান

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে মহাকাশচারীরা ভোট দিতে পারবে এই মর্মে আইন পাস হয় ১৯৯৭ সালে। তখন থেকে নভোচারীরা ভোট দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে। টেক্সাসের আইনপ্রণেতারা একটি আইন পাস করে নিরাপদ ব্যালট হিসেবে একটি পিডিএফ ফাইল টেক্সাসের নিয়ন্ত্রিত স্পেস শিপে ই-মেইলে পাঠিয়ে দেয়। অভিযাত্রীরা সেখান থেকে তাদের ব্যালট রিসিভ করে নির্বাচন করে। এরপর তারা ফিরতি মেইলে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়। তাদের দেওয়া কপি প্রিন্ট করে হার্ডকপি হিসেবে জমা দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সে দেশের ভোটাররা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভোট দিয়েছেন। কেউ রণতরী থেকে, কেউ ইরাকের মরুভূমি থেকে, কেউ সাবমেরিন থেকে ও একজন দেন মহাকাশ থেকে। সেই মহাকাশচারী মার্কিন নভোচারী শেন কিমব্রাউ। হিউস্টন থেকে নাসার মিশন কন্ট্রোল একটি সুরক্ষিত ইলেকট্রনিক ব্যালট পাঠায় তার কাছে।  সেখান থেকে শেন কিমব্রাউ ফিরতি মেইলযোগে নিজের ভোট পাঠিয়ে দেন।

 

অনলাইনেও দেওয়া যায় ভোট

প্রযুক্তিতে এগিয়ে আছে এস্তোনিয়া। প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা দেখিয়ে থাকে ডিজিটালাইজেশনের প্রমাণ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সাল থেকে এস্তোনিয়ায় চালু হয় অনলাইনে ভোট দেওয়ার রীতি। এখন ভাবতে পারেন, ভোটাররা ঘরে বসেই নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেন। অথবা কোথাও ঘুরতে গেছেন, হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে নিজের ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। আসলে বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। ভোটারকে নিজের এলাকায় থাকা পোলিং স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়। এই ডিজিটাল পদ্ধতির পাশাপাশি সে দেশে এখনো সরাসরি ভোটদানই অনেক বেশি জনপ্রিয়। তার প্রমাণ মিলেছে ২০১৫ সালেও। অনলাইনে ভোট দেওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৩০ শতাংশের কিছু বেশি এই সুবিধা গ্রহণ করে। বর্তমানে সে দেশের জনগণ স্ক্যান উপযোগী আইডি কার্ড ও একটি পিন নম্বর হোল্ড করে। এই কার্ড দিয়ে তারা ট্যাক্স,  বিল ইত্যাদি প্রদান করে থাকে। নির্বাচনের দিন এই কার্ড আর পিন দিয়ে নিজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।

 

উত্তর কোরিয়ায় ভোট ভোট খেলা

বিকল্প প্রার্থী বাছাইয়ে কখনই সুযোগ রাখা হয় না। উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল একটি ব্যালট নির্ধারণ করে থাকে। সেই ব্যালটে থাকে একটি মাত্র নাম।

উত্তর কোরিয়া কখনই গণতান্ত্রিক দেশ নয়। এক ক্ষ্যাপাটে রাজা কিম জং উনের দেশ এটি। সেই দেশে নির্বাচনের কথা শুনে আপনার আমার অবাক হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কারও কাছে তো রীতিমতো অবিশ্বাস্য। কিম জং উনের দেশে ভোট? তার মতো ক্ষ্যাপাটে রাজার একচ্ছত্র আধিপত্য যেখানে ধার্য সেখানে আবার ভোট কীভাবে সম্ভব? হ্যাঁ, তাও সম্ভব। তবে  পদ্ধতিটি অবশ্যই ভিন্ন। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মতো কখনই নয়। উত্তর কোরিয়ার এই নির্বাচনকে ভোট ভোট খেলাও বলা যেতে পারে। প্রতি পাঁচ বছরে সেখানে একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। ২০১৫ সালে শেষবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ভোট প্রদানে অংশগ্রহণ করে ৯৯.৭ শতাংশ ভোটার। কিন্তু হাস্যকর হলেও সত্য যে, ভোটারদের পছন্দসই প্রার্থী বেছে নেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। বিকল্প প্রার্থী বাছাইয়ে কখনই সুযোগ রাখা হয় না। উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল একটি ব্যালট নির্ধারণ করে থাকে। সেই ব্যালটে থাকে একটি মাত্র নাম। ভোটাররা শুধু সেই ব্যালটের নির্দিষ্ট ঘরে প্রার্থীর নামের পাশে স্বাক্ষর করে। পাশে আলাদা একটি বাক্স রাখা থাকে। সেখানে ভোটাররা সরকারের বিপক্ষে অর্থাৎ শাসক প্রত্যাখ্যানের মত দিতে পারে। কিন্তু সেটি আর গ্রহণযোগ্য হয় না। অপরদিকে যে বাক্সে রাষ্ট্রপ্রধানের নাম লেখা ব্যালট ফেলা হয় সেটিই গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। এতে নির্বাচিত প্রার্থী শতভাগ ভোট পেয়েছেন বলে প্রচার করা হয়। এর অর্থ হলো কেউই এখানে শাসককে প্রত্যাখ্যান করেনি। এমন ভোটের আনুষ্ঠানিকতা তাদের কাছে প্রতি  পাঁচ বছরে পালন হয়ে আসছে।

 

নারী-পুরুষের ভোট আলাদা

দেশের জাতীয় নির্বাচনে ভোটদানের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ আমাদের কাছে খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু এর ব্যতিক্রম দেখা যায় চিলিতে। সেখানে ২০১২ সালের  নির্বাচনেও নারী-পুরুষ আলাদাভাবে অংশগ্রহণ করে। চিলির স্থানীয় নির্বাচনে নারীরা ভোটদানের অধিকার পায় ১৯৩০ সালে। তাদের জন্য তৈরি হয় আলাদা একটি তালিকা। তখন থেকে নারী ও পুরুষ ভোট দেয় আলাদা পোলিং স্টেশনে। যুগের পরিবর্তন হলেও নিয়মটি এখনো বহাল রয়েছে। স্থানীয় থেকে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত চলে একই নিয়ম। যদিও সরকার পক্ষ থেকে এ আইন চালুর ৬৩ বছর পরে একবার প্রশ্ন তোলা হয়েছিল কেন এভাবে আলাদা ভোটদান হবে?  কিন্তু তাতে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

 

স্বয়ংক্রিয় ভোটার

এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোর প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, ভোটার হতে ব্যক্তির নিজস্ব উদ্যোগই আসল। নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের তোড়জোড়ই বেশি কাজ করে সেখানে। কেউ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে উদাসীন হলে কোনো দায়বদ্ধতাও থাকে না। এমনকি ভোটে অংশগ্রহণও ব্যক্তির নিজস্ব ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। অথচ এদিক থেকে সুইডিশ ও ফ্রেন্সবাসী ঠিক বিপরীত রীতিতে চলেন। তাদের কোনো নাগরিক উপযুক্ত বয়সে পৌঁছলে ভোটার হওয়ার জন্য উদ্বিগ্ন হতে হয় না। কারণ সে দেশের আইন এমনই, কোনো নাগরিকের বয়স ভোটদানের উপযুক্ত হলে তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়।  ফ্রান্সের নাগরিক আঠারোতে যোগ্য হিসেবে গণ্য হন। সুইডেনের নাগরিক যোগ্য হন ট্যাক্স নিবন্ধনের ওপর ভিত্তি করে।

 

সপ্তাহজুড়ে নির্বাচন

১২৫ কোটি জনগণের দেশ ভারত। এ দেশে রয়েছে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ভোটার। বৃহৎ এই সংখ্যা শুধু একটি সংখ্যায় নয়, বরং বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের তকমা লাগিয়েছে। তাই তো মস্ত বড় এই সংখ্যার ভোটারকে জাতীয় নির্বাচনে এক দিনেই অংশগ্রহণ করানো সম্ভব নয়। ভোট প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রায় এক সপ্তাহ সময় নিতে হয়। কখনো কখনো এ সময় গড়ায় মাসের কোঠায়। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারতীয়রা তাদের লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে নয়টি আলাদা দিবস নিয়েছিল।  আর তার জন্য সময় লেগেছিল প্রায় পাঁচ সপ্তাহ।

 

নাগরিকত্ব ছাড়াই ভোট

প্রতিটি দেশেই দেখা যায় রাজনৈতিক নেতা নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দেন। অথচ ইউরোপীয় ক্ষুদ্র রাষ্ট্র লিচেন্সটাইন এদিক থেকে ভিন্নতা অবলম্বন করে। নিজেদের নাগরিকত্ব ধরে রাখতে এখানকার জনগণ ভোট প্রদান করে। তবে সবচেয়ে বেশি চমকপ্রদ বিষয় হলো এখানে আপনি নাগরিক হিসেবে স্বীকৃত নন, তবু ভোট দিতে পারবেন। প্রশ্ন আসতে পারে— তা আবার কীভাবে? উত্তর হলো, এ রাজ্যে যদি কেউ একটানা ১০ বছর বসবাস করে তবে তিনি ভোটদানে উপযুক্ত হন। ধরুন কেউ দীর্ঘদিন বসবাস করছে এবং নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো তাকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়নি।  এর পরেও তিনি সেখানকার জাতীয় নির্বাচনে নিজের পছন্দ-অপছন্দ জানাতে পারবেন।

 

শিশু-কিশোররাও ভোটার

কিশোরদের ভোটাধিকার প্রদানে শুধু ব্রাজিল নয়, অস্ট্রেলিয়া, নিকারাগুয়া ও আর্জেন্টিনায় ১৬ এবং ১৭ বছরের ছেলেমেয়ে ভোটার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে।

প্রাপ্ত বয়স্করা হবেন দেশের ভোটার। তারা রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বেছে নেবেন যোগ্য ও পছন্দসই ব্যক্তিকে। অথচ ব্রাজিল এই বিচারে হাঁটেন বিপরীত পথে। সেখানে ১৯৮৮ সাল থেকে শিশু-কিশোররাও ভোটদানের অধিকার অর্জন করেছে। তাদের বিবেচনায়, দেশের জনগণের বেশিরভাগ যখন জাতীয় নির্বাচনে নিজের মতামত প্রদানের সুযোগ পায় তখন সে দেশে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। আর এ কারণেই ব্রাজিল নিজের দেশের ১৬ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের ভোটাধিকার প্রদান করেছে। দেশের এত বড় সিদ্ধান্তে তাদের মতামতকে সমগুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এর আগে অবশ্য ব্রাজিলে ভোটাধিকার প্রদানের নিয়ম ছিল ১৮ থেকে ৬৯ বছর পর্যন্ত। কিন্তু বর্তমানে ১৬ বছরের ছেলেমেয়ে জাতীয় নির্বাচনে তাদের মতামত দিতে সক্ষম হয়েছে। কিশোরদের ভোটাধিকার প্রদানে শুধু ব্রাজিল নয়, অস্ট্রেলিয়া, নিকারাগুয়া এবং আর্জেন্টিনায় ১৬ এবং ১৭ বছরের ছেলেমেয়েরা ভোটার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। অপরদিকে ইন্দোনেশিয়া ও সুদানে ১৭ বছরের নাগরিক ভোট দিতে পারে। জার্মানির কিছু স্টেটে স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দেয় ১৬ বছরের ভোটাররা। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো স্কটিশ টিনএজ ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়স্ক নাগরিক ভোট দিতে সক্ষম হয়। সমীক্ষা বলে, যে দেশে বেশি টিনএজ ভোটার সে দেশে বেশিরভাগ জনগণ ভোটের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এই কিশোররা যাকে বেশি পছন্দ করে তাদের বেশি যোগ্য ধরা হয়।  ব্রাজিলে আরও একটি নিয়ম চালু আছে, আর তা হলো কেউ ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে জরিমানার বড় অংক গুনতে হয়।

 

 

টুকরো তথ্যে অবাক নির্বাচন

— উত্তর কোরিয়ার মতো অগণতান্ত্রিক দেশেও প্রতি পাঁচ বছরে একবার ভোট হয়, তবে মজার বিষয় হলো ব্যালট লিস্টে মাত্র একটি নামই থাকে।

— অস্ট্রেলিয়াতে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, নইলে গুনতে হয় জরিমানা।

— মেক্সিকোতে সিনেটররা খুব দ্রুত নির্বাচনের জন্য দৌড়াতে পারেন না। পরবর্তী নির্বাচনের জন্য তাদের ছয় বছর অপেক্ষা করতে হয়।

— প্রাচীন এথেন্সে প্রতি বছর ভোটে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু এ এক আজব ভোটের রীতি। এই রীতিতে নাগরিকরা ১০ বছরের জন্য শহর রাষ্ট্র থেকে কোনো নাগরিককে নির্বাসিত করতে এমন ভোট দিয়ে থাকে।

— প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিউজিল্যান্ডের নারীরা ১৮৯৩ সালে সর্বপ্রথম ভোটাধিকার অর্জন করে।

— আফ্রিকার ভোটের মাঠে শতকরা ৪৫ ভাগ ভোটার নানাভাবে হেনস্তার শিকার হয়।

— সৌদি আরব বিগত ৮০ বছরে মাত্র সাতবার নির্বাচন করেছে।

— ভিয়েতনামে সবচেয়ে বেশি ভোটারের অংশগ্রহণ থাকে। এর পরিমাণ ৯৯.৩ শতাংশ।

— আমেরিকায় মোট ভোটারের ৬৪ শতাংশ ভোট প্রদানের জন্য রেজিস্ট্রেশন করে। এ হিসেবে কানাডা ও ইংল্যান্ডের ৯১ শতাংশ, সুইডেনেরে ৯৬ শতাংশ, জাপানের ৯৯ শতাংশ ভোটার রেজিস্ট্রেশন করে।

— টেক্সাসের জনগণ ভোট দিতে যায় গান লাইসেন্স অথবা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড নিয়ে।

— ১৯৮৪ সালের নির্বাচনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন রোনাল্ড রিগ্যান।  তিনি ৫০টির মধ্যে ৪৯টি রাজ্যই জয় করেছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর