বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
সিলেট-১

সিলেটে আলোচনায় কামরান

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটে আলোচনায় কামরান

বদরউদ্দিন আহমদ কামরান

মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করায় বদলে যাচ্ছে পুরনো হিসাব-নিকাশ। সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়া কামরান সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করায় উজ্জীবিত দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। হঠাৎ নির্বাচন করার এমন সিদ্ধান্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে তাকে। আর কামরান বলছেন, দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের চাপ ও সাধারণ মানুষের আগ্রহেই তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

গেল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ হিসেবে দলের দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থার পাশাপাশি কয়েকজন নেতাকেও দায়ী করা হয়। নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকা রাখার অভিযোগে শোকজও করা হয় কয়েক নেতাকে। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে সিলেটে এক সভায় কামরান ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন।

এতদিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ না করলেও সিলেটে কামরানকে নিয়ে চলছিল নানা কানাঘুষা। দলের অনেক নেতা-কর্মী তাকে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার দাবি জানিয়ে সরগরম করে রেখেছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। জনবান্ধব এ নেতা প্রার্থী হলে আসনটি ধরে রাখা সম্ভব হবে বলেও মনে করছেন নেতা-কর্মীরা। নগরীর ভোটারদের পাশাপাশি সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কামরানের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ভোটের মাঠে বড় প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা দেখছেন তারা। কিন্তু নেতা-কর্মীদের এমন চাওয়ার বিপরীতে নীরব ছিলেন কামরান। নির্বাচন করা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত গত রবিবার তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে পরদিন জমা দিয়েছেন। কামরানের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে সিলেটে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে তৃণমূলে। জনবান্ধব নেতা হিসেবে কামরানের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়েও আশাবাদী হয়ে উঠেছেন তারা।

নির্বাচন প্রসঙ্গে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে নিয়েই আমার রাজনীতি। ভালোবেসে মানুষ আমাকে সিলেট পৌরসভার সর্বকনিষ্ঠ কাউন্সিলর থেকে দুবারের মেয়র নির্বাচিত করেছে। আমিও চেষ্টা করেছি মানুষের এই ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়ার। সিটি নির্বাচনের পর আর কোনো নির্বাচন করার আগ্রহ না থাকলেও সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের চাপে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছি। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যদি নৌকা প্রতীক দেন তবে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে তার আস্থার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করব।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর