রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নিরাপত্তার চাদরে সিলেট

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

নিরাপত্তার চাদরে সিলেট

অপেক্ষা শেষ, আজ ভোটযুদ্ধ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই ভোটযুদ্ধকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে সিলেটকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সিলেটের ছয়টি আসনেই নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার বাহিনী এবং গ্রাম পুলিশের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। এর বাইরে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি আছে স্ট্রাইকিং ফোর্সের ভূমিকায়।

সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলার ছয়টি আসনের ২২ লাখ ৫২ হাজার ৭৬৪ জন ভোটারের জন্য কেন্দ্র আছে ৯৯২টি। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র আছে ৬০৭টি, বাকি ৩৮৫টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবেই ধরা হচ্ছে। সিলেটের ছয়টি আসনে ভোটগ্রহণের মোট কক্ষ আছে ৪ হাজার ৭৫৪টি। এদিকে সিলেট মহানগরী এলাকায় মোট ভোট কেন্দ্র আছে ২৯৩টি। তন্মধ্যে ২০২টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশের ২ জন, ব্যাটালিয়ন আনসারের ২ জন, সাধারণ আনসার ৮ জন ও গ্রাম পুলিশের ৬ জনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। সাধারণ কেন্দ্রে পুলিশের ১ জন, ব্যাটালিয়ন আনসার ২ জন, সাধারণ আনসার ৮ জন ও গ্রাম পুলিশের ৬ জন মিলিয়ে ১৭ জন সদস্য থাকবেন। সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল টিম, প্রতি ৫ ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে থাকবেন ২০ জনের একটি রিজার্ভ টিম কাজ করবে। এর বাইরে সিলেটের প্রতিটি উপজেলা সদরে তিনটি এবং ইউনিয়নে দুটি করে মোবাইল টিম রয়েছে। প্রতি ১০টি কেন্দ্রের জন্য রাখা হয়েছে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্সও।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাবের পাঁচ শতাধিক সদস্য মাঠে নেমেছেন। সিলেটের প্রতিটি আসনে দুই প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি আসনে ৫ জন করে সেনাসদস্যও মাঠে কাজ করছেন।

এ প্রসঙ্গে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হস্তে দমন করবে।’ সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান জানিয়েছেন, নির্বাচনে কেউ যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসরাইল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে গঠিত রিজার্ভ ফোর্স, কেন্দ্রভিত্তিক মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সও নিয়োজিত থাকবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর