শিরোনাম
রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

খোশ মেজাজে আওয়ামী লীগ কোণঠাসা বিএনপি

কুষ্টিয়ার চারটি আসন

জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

মামলা-হামলার ভয়ে কুষ্টিয়ার বিএনপির প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীরা অনেকটাই কোণঠাসা। নির্বাচনে তারা পোলিং এজেন্টই খুঁজে পাচ্ছে না। তবে খোশ মেজাজে রয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা। এমন পরিবেশেই আজ কুষ্টিয়ার চারটি সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে। বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের প্রার্থী রেজা আহমেদ বাচ্চু নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর কয়েক দিনের মাথায় একটি মামলায় জামিন নিতে গিয়ে কারাগারে যান। এর আগে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৪ নেতাকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে আটককৃতরাসহ মোট ৮২ জনের নামে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা হয়। এরপর ২১২ জনের নামে আরও একটি মামলা দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এর পর থেকে ঝিমিয়ে পড়ে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণা। ধানের শীষের পোস্টারও চোখে পড়েনি এলাকা ঘুরে। দলীয় প্রার্থী নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হওয়ার মাত্র একদিন আগে জামিন পেলেও ভয়ে মাঠে নামতে পারেননি। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নতুন মুখ আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশা অবিরাম প্রচারণা চালিয়েছেন নির্বাচনী এলাকায়। কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আর বিএনপি জোট থেকে মনোনয়ন পান জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন। প্রচারণা শুরু হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর এলাকায় আসেন। এসে মামলার মুখোমুখি তিনি ও তার সমর্থকরা। এ ঘটনার পর মাঠছাড়া জাতীয় পার্টি ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এতে হাসানুল হক ইনু অনেকটা ফাঁকা মাঠে নির্বাচনীয় সভা-সমাবেশ করেছেন। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসন মনোনয়ন বিরোধে এমনিতেই কোণঠাস বিএনপি প্রার্থী শিল্পপতি জাকির হোসেন সরকার। মনোনয়ন পাওয়ার পর এলাকায় আসেন এই নেতা। প্রথম কয়েকদিন মাঠে নামতে পারলেও এখন পুরোপুরি মাঠছাড়া। যুবলীগের ওপর হামলার অভিযোগ এনে দুটি মামলা করা হয়। এ ছাড়া শহরের মধ্যে প্রচারণায় গেলে দুর্বৃত্তরা জাকির হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এরপর নিরাপত্তাহীনতায় মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। ফলে তার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের দখলে নির্বাচনী মাঠ। তবে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী অনেকটা নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পেরেছেন। জেলার অপর আসনগুলোর বিএনপি প্রার্থীর তুলনায় সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর অবস্থা অনেকটা মজবুত। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তরুণ ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাব জর্জও প্রচরণায় এগিয়ে ছিলেন।

স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারলে চারটি আসনেই তাদের প্রার্থী জয়লাভ করবে। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা এ দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কুষ্টিয়ার মানুষ নৌকার পক্ষেই রায় দেবেন।

সর্বশেষ খবর