রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভোটের লড়াই ২৯৯ আসনে

► আওয়ামী লীগ ২৬০ (নৌকা ২৭২) ► বিএনপি ২১৯ (ধানের শীষ ২৮২) ► জাতীয় পার্টি ১৭৫ (মহাজোট ২৫) ► ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) ২৯৮ ► স্বতন্ত্র ১২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোটের লড়াই ২৯৯ আসনে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আজ। গাইবান্ধা-৩ আসনটি স্থগিত থাকায় ২৯৯ আসনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন ভোটাররা। ভোটের ময়দানে ৩৯টি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিলেও মাঠ পর্যবেক্ষণ বলছে- মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সামনে হ্যাটট্রিক জয়ের সুযোগ। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির সামনে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ। জোটগত ও উন্মুক্ত মিলিয়ে দেড় শতাধিক আসনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিলেও ২৫টি আসনে তারা পাবে মহাজোটের সমর্থন।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬০ (নৌকা ২৭২), বিএনপি ২১৯ (ধানের শীষ ২৮২), জাতীয় পার্টি ১৭৫ (মহাজোট ২৫) আসনে প্রার্থী দিয়েছে। নির্বাচনে সর্বাধিক ২৯৮ আসনে প্রার্থী দিয়ে চমক দেখিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ ছাড়া এলডিপি ৮ (ধানের শীষ ৪), জেপি ১১ (মহাজোট ২), সাম্যবাদী দল ২, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৯ (ধানের শীষ ৪), সিপিবি ৭৪, গণতন্ত্রী পার্টি ৬, ন্যাপ ৯, বিকল্পধারা ২৫ (নৌকা ৩), ওয়ার্কার্স পার্টি ৮ (নৌকা ৫), জাসদ ১২ (নৌকা ৩), জেএসডি ১৯ (ধানের শীষ ৪), জাকের পার্টি ৯০, বাসদ ৪৫, বিজেপি ৩ (ধানের শীষ ১), তরীকত ফেডারেশন ১৭ (নৌকা ১), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ২৩, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ৪৮, এনপিপি ৭৯, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ৮ (ধানের শীষ ৩), গণফোরাম ২৭ (ধানের শীষ ৭), গণফ্রন্ট ১৩, পিডিপি ১৪, বাংলাদেশ ন্যাপ ৩, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১১, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১৮, কল্যাণ পার্টি ২ (ধানের শীষ ১), ইসলামী ঐক্যজোট ২৪, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৫, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ২৫, জাগপা ৪, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২৮, খেলাফত মজলিস ১২ (ধানের শীষ ২), বিএমএল ১, মুক্তিজোট ২, বিএনএফ ৫৭ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন ১২৮ জন। এর মধ্যে কিছু অনিবন্ধিত দল প্রধান দলগুলোর প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

২৯৯ আসনে ১৮৬১ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে আজ ভোট দেবেন প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ভোটার। নিজেদের শক্ত অবস্থান ও জোটগত কৌশলে এগিয়ে থাকা ১৬০ আসনেই ফুরফুরে মেজাজে আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বাকি আসনগুলোতে বিএনপি জোটের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। এদিকে দল নিবন্ধন হারালেও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের ২১ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটেছেন প্রার্থীরা। নানা আশ্বাস দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন তারা। দেশের সাড়ে ১০ কোটি ভোটার আজ যাদের পক্ষে রায় দেবে, তারাই গঠন করবে সরকার। আগামী পাঁচ বছর  তাদের হাতেই থাকবে ক্ষমতা। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এবার নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ বদলে দিতে পারে প্রায় আড়াই কোটি তরুণ ভোটার। এর মধ্যে ১ কোটি ২৩ লাখ এবারই প্রথম ভোট দিচ্ছেন। জীবনের প্রথম ভোটটি তারা কোনো দলের প্রতি আনুগত্য না দেখিয়ে দেশের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে যোগ্য প্রার্থী দেখেই দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলই অংশ নিচ্ছে। প্রচার-প্রচারণা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেও গত কয়েক দিন মিছিলে মিছিলে মুখরিত ছিল সারা দেশ। আজ জয়-পরাজয়ের দিন। সন্ধ্যার পর থেকেই ভোটের ফলাফল আসতে শুরু করবে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী প্রতিটি ভোট কেন্দ্র থেকেই ফলাফল ঘোষণা হবে। প্রিসাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রেই ভোট গণনা করবেন। এ সময় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীর এজেন্টরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। ভোট গণনা শেষে প্রিসাইডিং অফিসার লিখিত ফলাফল সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করবেন। পরে এ ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। রিটার্নিং অফিসাররা তা ইসিতে পাঠাবেন।  ইসির ফোয়ারা প্রাঙ্গণে স্থাপিত মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে।

 

♦ মোট ৩০০ আসন ♦ স্থগিত গাইবান্ধা-৩ ♦ নির্বাচন হবে ২৯৯ আসনে

নির্বাচনী এলাকার নাম ও আসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম-মনোনয়ন প্রদানকারী রাজনৈতিক দলের নাম/স্বতন্ত্র-বরাদ্দকৃত প্রতীক

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর