রবিবার, ১০ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

নতুন পরিচয়ে তারা

বিশ্বকাপেও তারা থাকবেন মাঠে। তবে ফুটবলার হিসেবে নন, নতুন দায়িত্ব নিয়ে

ক্রীড়া ডেস্ক

নতুন পরিচয়ে তারা

একসময় জাতীয় দলের জার্সিতে জয় করেছেন বিশ্বকাপের সোনার ট্রফি। ক্লাব ফুটবলে তারা ছিলেন নিজেদের সময়ের সেরা তারকা। পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন দীর্ঘদিন আগে। তবে ফুটবলের মায়া কাটাতে পারেননি তারা। ফুটবল মাঠে ফিরেছেন নতুন ভূমিকা নিয়ে। রাশিয়া বিশ্বকাপেও তারা থাকবেন মাঠে। তবে ফুটবলার হিসেবে নন, নতুন দায়িত্ব নিয়ে। থিয়েরি অঁরি ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জিতেছেন জিদানদের সঙ্গী হিসেবে। ফ্রান্সকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি উপহার দিয়েছেন তিনি। এরপর ২০০৬ বিশ্বকাপেও খেলেছেন ফাইনাল। ২০১০ বিশ্বকাপেও ছিলেন তিনি ফ্রান্সের জার্সিতে। ব্রাজিল বিশ্বকাপে মাঠে থাকতে পারেননি। তবে আবারও ফিরছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপেই দেখা যাবে সাবেক এই ফরাসি তারকাকে। বেলজিয়ামের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অঁরি। ইউরোপিয়ান ফুটবলের অন্যতম শক্তি বেলজিয়ামের প্রধান কোচ রবার্তো মার্টিনেজের পাশাপাশি ডাগ আউটে থাকবেন এই ফরাসি তারকাও। মিরোস্লাভ ক্লোসার নাম ফুটবল ইতিহাসে লেখা হয়ে গেছে বহুদিন আগেই। গত বিশ্বকাপে জার্মানির জার্সিতে তিনি কেবল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবই অর্জন করেননি, পাশাপাশি দারুণ এক রেকর্ডও গড়েছেন। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৬টি গোল) হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনাল্ডোকে (১৫টি গোল) পেছনে ফেলে। সেই মিরোস্লাভ ক্লোসাও পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন ২০১৬ সালে। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপের মাঠে উপস্থিত থাকবেন নতুন ভূমিকা নিয়ে। ফুটবলার হিসেবে অবসর নেওয়ার পরই জার্মান কোচ জোয়াকিম লোর সহকারী হিসেবে যোগ দিয়েছেন মিরোস্লাভ ক্লোসা। টাফারেলকে সর্বকালের সেরা গোলরক্ষক না বললেও এই তালিকায় রাখতে হবে। ব্রাজিলের জার্সিতে তিনি ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জিতেছেন। ১৯৯৮ সালে খেলেছেন ফাইনালও। কোপা আমেরিকায় দুবারের চ্যাম্পিয়ন ও দুবারের রানার্স-আপ তিনি। তুর্কি ক্লাব গ্যালাটাসারির জার্সিতে জয় করেছেন উয়েফা ইউরোপা লিগের শিরোপা। এ ছাড়া আরও অনেক অর্জন আছে ব্রাজিলের সাবেক এই গোলরক্ষকের। বিশ্বকাপে বহুদিন ধরেই অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে নতুন ভূমিকা নিয়ে আবারও ফিরেছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলের গোলরক্ষক কোচ হিসেবে তাকে দেখা যাবে ডাগ আউটে। দিদিয়ের দেশম ছিলেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের অধিনায়ক। জিনেদিন জিদান আর থিয়েরি অঁরিদের মতো তারকাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। জয় করেছেন উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও (২০০০)। মার্সেইয়ের জার্সিতে জয় করেছেন ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স। জুভেন্টাসের জার্সিতেও জয় করেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ করে তিনি কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোনাকো, জুভেন্টাস ও মার্সেইয়ে। এরপর ২০১২ সালে দায়িত্ব নেন ফ্রান্স দলের। তার অধীনেই ফ্রান্স পুনর্গঠিত হয়। রানার্স-আপ হয় ২০১৬ ইউরো কাপে। ব্রাজিল বিশ্বকাপে তার দল খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। রাশিয়ায়ও দেশমকে দেখা যাবে ফ্রান্সের ডাগ আউটে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর