ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ভোটের মাধ্যমে ইবি'র প্রগতিশীল শিক্ষকদের দীর্ঘ দ্বন্দের অবসান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০১৮ এর মধ্য দিয়ে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দ্বন্দের অবসান হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের এই সংগঠনটি অভ্যন্তরীন কোন্দলে বিভক্ত ছিল। এমনকি একই সংগঠনের ছিল পৃথক পৃথক দুটি কমিটি। 

শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ৮টার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক আব্দুল মুঈদ। নির্বাচিত ১৫ সদস্যের মধ্যে উপ উপাচার্য পন্থী ৯ জন এবং উপাচর্য পন্থী ৬ জন করে বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচিত এই ১৫ সদস্য সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তিতে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবে। 

মোট ১৭১ জন ভোটারের মধ্যে ১৩৫ জন ভোট প্রদান করেন। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট প্রাপ্তদের মধ্যে ১৫ জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটে প্রথম হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া। 

এছাড়াও পর্যায়ক্রমে নির্বাচিতরা হলেন, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রেজওয়ানুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক মামুনুর রহমান, ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, ব্যাবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক জাকারিয়া রহমান, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার, ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক এ.এইচ.এম. আক্তারুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ, একই বিভাগের অধ্যাপক মেহের আলী, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আব্দুল মুঈদ বলেন,‘সম্পূর্ণ সুষ্ঠু এবং বিতর্কহীন একটি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রগতিশীল শিক্ষদের দীর্ঘদিনের দ্বন্দের ইতি ঘটেছে।’

বিডি প্রতিদিন/ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ তাফসীর



এই পাতার আরো খবর