নগরীর স্টেশন রোডের ফলমণ্ডীর বেশ কয়েকটি আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছেন। এ সময় আড়ৎ থেকে বেশকিছু আমের চালান পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, যেগুলোর বাইরে পাকা কিন্তু ভিতরের আঁটি কাঁচা রয়ে গেছে।
একইভাবে বেশ কিছু লিচুও পরীক্ষা করে দেখা হয়, যেগুলোর বাইরে পাকা লাল দেখালেও ভেতরে পরিপক্ক হয়নি। শনিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, ফরমালিন টেস্ট করে ১০ আড়তের আম ও লিচুর নমুনায় কিছু পাওয়া যায়নি। তবে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ১০টি আড়ত থেকে ফলের নমুনা সংগ্রহ করে বিসিএসআইআর চট্টগ্রাম ও ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে পাকা ফলগুলো কেটে দেখা যায় ফলের ভিতরে আঁটি কাঁচা। এসব ফল দ্রুত পাকানোর জন্য ইথোফেন বা অন্য কোনো ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে কি না তা দেখার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফলমণ্ডীর গাউছিয়া ফল বিতান, ওহী এন্টারপ্রাইজ, সিহা ফ্রুট এজেন্সি, রাকিব এন্টারপ্রাইজ, ও এ এন্টারপ্রাইজ, মকবুল এন্টারপ্রাইজ, জান্নাত এন্টারপ্রাইজ, আজম এন্ড ট্রেডার্স, সততা এন্টারপ্রাইজ ও মৌসুমি এন্টারপ্রাইজে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়।
এদিকে শনিবার নগরীর ফিরিঙ্গি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে ওজনে কমদেয়ায় তিন বিক্রেতাকে তিন হাজার দুইশ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিম।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর