ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ প্রতিদিন'র খবরে জমি-ঘর দুটোই পাচ্ছেন সেই বাবা-মা
মেহেরপুর প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইনে ভার্সনে সংবাদ প্রকাশের কয়েকঘণ্টার মধ্যে  জমি ও ঘর দুটোই ফিরে পাওয়া আশা দেখছেন বয়বৃদ্ধ আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী রউশআরা। আজ বাংলাদেশ প্রতিদিন আনলাইনে ''কৌশলে জমি লিখিয়ে বাবাকে টাকা দিয়ে বললো 'বিষ কিনে খাও'' শিরনামে সংবাদ প্রকাশের পরপরই সংবাদটি মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। 

জেলা প্রশাসক মো. আতউল গণি তাৎক্ষণিক মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জকে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালান। অভিযোগের সত্যাতা পেয়ে ছেলে হাশেম আলীর সাথে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। হাশেম আলী জেলা প্রশাসকের কথা মত আগামি বৃহস্পতিবার বাবার নামে দুই শতক জমি লিখে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন এবং বাবা-মায়ের কাছে হাতজোড় ক্ষমা প্রার্থনা করে।

হাশেম আলী বলেন, আমি ভুল করেছিলাম। বাবার নামে দুই শতক জমি লিখে দেব। বাবা-মায়ের সাথে আরো কখনো খারাপ ব্যবহার করবো না।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা আবুল কাশেম বলেন, 'তিন বছর ধরে ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েগেছি। তার মামলায় আসামীও হয়েছি। আর সহ্য করতে পারছিনা' 

মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কোমরপুর গ্রামে হাশেম আলীর সাথে তার বাবা মায়ের দ্বন্দ্ব চলছিল। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মিমাংসার জন্য কয়েকবার তাদের সাথে বসেছি। তারপরও কোন সমাধান হয়নি। পরে আজ জেলা প্রশাসক মহদোয়েরর হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের এই দ্বন্দ্ব নিরসন হলো। আজ থেকে তারা একই সাথে বসবাস করবে।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি বলেন, হাশেম আলী প্রতারণা করে তার বাবার কাছ থেকে জমি লিখে নিয়ে বাবা মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। সংবাদটি দেখার পর আমরা সেখানে যাই। বিষয়টি উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে মিমাংসা করে দেওয়া হয়। আগামী বৃহস্পতিবার হাশেম আলী তার বাবার নামে দুই শতক জমি লিখে দেবেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে তার ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করে দেব।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর