নকল ভারতীয় নোট বহনের অভিযোগে দুই বাংলাদেশিকে আটক করেছে। আটক হওয়া মহম্মদ জোশিফ (৩৮) ও মহম্মদ রাকিব (১৬) সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন তারা। ভিসা-পাসপোর্ট নিয়েই ভারতে গিয়েছিলেন ঢাকার মিরপুরের এ দুই বাসিন্দা। আজ বৃহস্পতিবার তাদের বনগাঁ মহুকুমা আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
বুধবার বিকালে ভারত-বাংলাদেশের হরিদাসপুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করেন। নিয়মানুসারে পেট্রাপোল শুল্ক দফতরে পরীক্ষার পর তারা অভিবাসন দফতরের ঘরের দিকে যাচ্ছিলেন সেসময়ই শুল্ক দপ্তরের কর্মী লক্ষ্য করেন যে তাদের সাথে দুইটি ব্যাগ সেখানে ফেলে রেখে যাচ্ছেন। এরপরই ওই দুই ব্যক্তিকে তাদের ফেলে যাওয়া ব্যাগ দুইটিকে নিতে ডাকা হয়। তারা যখন ওই দুইটি ব্যাগ নিতে আসেন তখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন শুল্ক দফতরের কর্মকর্তারা।
দুইটি ব্যাগের মধ্যেই ছিল একটি করে কাগজের প্যাকেট, যার এক-একটির মধ্যে তিনটি করে দু'হাজার রুপির নোট, চারটে করে পাঁচশত রুপির নোট (৮ হাজার রুপি করে মোট ১৬ হাজার রুপি) এবং সেগুলির সব কয়টিই নকল। এর মধ্যে একই নাম্বারের দুটি করে নোট ছিল। নকল রুপি ছাড়াও তাদের কাছে আসল ৫০ রুপির নোট উদ্ধার হয়। ঘটনার পরই অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করে শুল্ক দপ্তর এবং তাদেরকে পেট্রাপোল থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জাল রুপির ব্যাপারে কিছুই জানা নেই বলে দাবি করেছেন আটক দুই বাংলাদেশি। ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ওই করেছেন তারা।
শুল্ক দপ্তরের সুপার অর্কপ্রভ বন্দোপাধ্যায় জানান, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা নাগাদ মহম্মদ জোশিফ এবং মহম্মদ রাকিব নামে দুই বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। এসময় শুল্ক দফতরে ব্যাগেজ পরীক্ষার সময় ব্যাগ দুইটিকে পাশে রেখে তারা দুইজন অভিবাসন দফতরের দিকে চলে যান। সেখানে গিয়ে পাসপোর্ট-এ সিল মেরে ফের শুল্ক দফতরে এসে ফেলে রাখা ব্যাগগুলি নিতে আসেন। এই বিষয়টি আমাদের এক কর্মকর্তা লক্ষ্য করেন এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে ব্যাগের ভিতর থেকে দুইটি খামে নকল ভারতীয় নোট পাওয়া যায়। কিন্তু এই রুপির ব্যাপারে কোন সদুত্তর তারা দিতে না পারায় শুল্ক দফতরের আইন অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা