ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সন্তান নিতে দেরি হলেও যে সুফল পাওয়া যাবে
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

গর্ভধারণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ডিএইচইএ নামের হরমোন। যা বয়সের সাথে কমতে থাকে। তাই পাল্লা দিয়ে কমে ডিম্বাণুর গুণমানও। ব্যাপারটা অনেকটা কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখার মতো। 

বেশি বয়েসে মা হওয়ার পরিকল্পনা থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ডিএইচইএ ওষুধ নিতে পারেন মেয়েরা। এই হরমোনটিই বাদবাকি ডিম্বাণুগুলোকে ভাল রাখবে। এর সে রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ত্বক তৈলাক্ত, মুখে ব্রণ বা অবাঞ্ছিত লোমের কিছু সমস্যা হতে পারে। তার বেশি নয়। আর এর গুণেই চল্লিশ পেরিয়েও এখন নিজের ডিম্বাণু দিয়েই মা হতে পারেন।

ডেনমার্কের আর্হাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩৫-এর পর যারা মা হচ্ছেন, তারা অনেক ভালোভাবে লালন-পালন করতে পারছেন সন্তানদের।

দেরিতে প্রথমবারের মতো মা হলে কিছু জটিলতা থাকলেও দম্পত্তির এক্ষেত্রে বেশি সচেতন থাকেন।  সে জন্য আগেই পরিকল্পনা করে স্বামী-স্ত্রী নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা করে রাখেন। এছাড়াও ডাক্তারের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে থাকলে কারও কোনো জটিলতা থাকলে প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া সম্ভব।

বেশি বয়সের মায়েরা কিশোর সন্তানদের প্রতি তুলনামূলকভাবে কম শাসন করে থাকেন। ফলে এমন মায়েদের কাছে মন খুলে খোলামেলাভাবে কথা বলতে পারে সন্তানরা। সন্তানের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে সুস্থভাবে বড় হয়ে ওঠা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও প্রাপ্ত বয়স্ক মা-বাবার পারস্পরিক সমঝোতাপূর্ণ সম্পর্ক ও মানসিক পরিপক্কতায় সন্তানরা সুস্থ পারিবারিক পরিবেশ পায়।

  বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 



এই পাতার আরো খবর