ঢাকা, বুধবার, ১ মে, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ
দুদকের মামলায় রেল শ্রমিকলীগ নেতা সুমন কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া দুদকের একটি মামলায় রেলওয়ে শ্রমিক লীগের একাংশের বিতর্কিত নেতা অলী উল্লাহ সুমন গ্রেফতার হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। 

গ্রেফতার হওয়া সুমন ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানাধীন মিশ্রীপুর গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। তিনি পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার কার্যালয়ের সহকারী দাবি পরিদর্শক পদে চাকরি করার সুবাধে নিজেকে রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নেতা দাবি করতো বলে জানা গেছে।

দুদক জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং মামলায় সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। 

এর আগেও অবৈধ কার্যকলাপের অভিযোগে ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর ভোরে নগরীর সদরঘাটের পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে নারীসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন অলিউল্লাহ সুমন।

জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া অলীউল্লাহ সুমন ২০০৫ সালের ১৬ জানুয়ারি রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) সদর দফতরে পিয়ন পদে যোগদান করেন। গত বছরের জুলাইয়ের শেষের দিকে চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার কার্যালয়ে সহকারী দাবি পরিদর্শক (এসিআই, গ্রেড-২) হিসেবে পদোন্নতি পান। চাকরিতে থাকাকালীন রেলওয়ের চাকরি দেয়ার প্রলোভন, তদ্বির ও ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেয়ার নামে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন করেন তিনি। সর্বশেষ ২০১০ সালের আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তার ব্যাংক হিসেব ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নেওয়া ১ কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার ৯৬৮ টাকার অবৈধ উৎসের খোঁজ পায় দুদক। যে কারণে দণ্ডবিধির ১৬৩/৪২০ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ ২ নম্বর আইনের ৫(২) ধারায় এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২ (ফ) ধারায় বর্ণিত মানি লন্ডারিং আইনের ৪ (২)ধারায় গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নগরীর কোতোয়ালী থানার মামলা দায়ের করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। ওই মামলায় মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় ২-এর উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন। এরপর তাকে কোতোয়ালী থানার ওই মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর আদালত-৩ এর ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিনের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় সুমনের পক্ষে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করে। এসময় দুপক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম



এই পাতার আরো খবর