ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দুপচাঁচিয়া খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহে অনিয়ম
নিজস্ব প্রতিবেদক,বগুড়া:

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের দুপচাঁচিয়া খাদ্য গুদামে চলতি মৌসুমের ধান চাল সংগ্রহের অভিযানের মেয়াদ শেষ হলেও ৪ দিন পর আজ মঙ্গলবার চাল নেওয়ার ঘটনায় তোলপাড়া সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ইয়াছির আরাফাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় হাতে গোনা অসাধু কয়েকজন চাতাল ও মিল মালিকের সাথে যোগসাজশে চলতি মৌসুমে নিয়মনীতিবর্হিভূতভাবে চাল সংগ্রহ করেছে। এইসব মিল মালিকরা উপজেলা চাউল কল মিল মালিক সমিতির আড়ালে সাধারণ মিলারদের কাছে থেকে তাদের বরাদ্দকৃত চালের ডিও ক্রয় করেছে। পরে ওই ডিও’র মাধ্যমে নিজেদের মিলের তৈরি চাল গুদামে সরবরাহ করেছে। 

এ দিকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার চাল সংগ্রহ অভিযানের মেয়াদ শেষ হলেও ৪ দিন পর  আজ মঙ্গলবার এই খাদ্য গুদামে চাল নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পরেই উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোবারক আলী, সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক খাদ্য গুদামে যান। তারা নিয়ম বর্হিভূতভাবে চাল সংগ্রহের প্রতিবাদ করেন। 

এ ব্যাপারে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ইয়াছির আরাফাত জানান, চলতি মৌসুমে এই গুদামে ৮ হাজার ৮শ' ৮৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের টার্গেট ছিল। নির্ধারিত তারিখের পর মাত্র ১৫ টন চাল বাঁকি থাকায় ৩ জন মিলারকে ডিভলদারের হাত থেকে রক্ষার্থে তিনি মেয়াদ শেষের পরও ওই চাল সংগ্রহের কথা স্বীকার করেন। 

উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক জানান, এই গুদামে চলতি মৌসুমে চাল সংগ্রহের ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। প্রতি টন চালের বিপরীতে ৫ শ' থেকে ১ হাজার টাকাসহ ট্রাক প্রতি ২ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে। চালে সামান্য উনিশ থেকে বিশ হলেই তিনি এই টাকা মিলারদের কাছে থেকে আদায় করে চাল সংগ্রহ করেছেন। বাধ্য হয়ে সাধারন মিলাররা হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে কতিপয় সেন্ডিকেট মিলারের কাছে তাদের বরাদ্দকৃত ডিও বিক্রি করেছে। এতে তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদের সাথে উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতির হাতেগুনা কয়েকজন নেতৃবৃন্দসহ গুদাম খাদ্য কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে। এই ঘটনায় সাধারন মিলারদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এই সব অনিয়মের বিরুদ্ধে সাধারন মিলারের মাধ্যমে সভা আহবান করে ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলেন। 

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিতোষ কুমার কুন্ডু মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও গুদামে চাল সংগ্রহের বিষয়ে কোন কিছু জানেন না বলে জানান। বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মাইন উদ্দীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, স্থানীয় চাল কল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

 



এই পাতার আরো খবর