ঢাকা, বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মুক্তাগাছায় শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে সড়কে মুক্তিযোদ্ধারা
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করাসহ সাত দফা দাবিতে উপজেলার প্রধান সড়কে নেমেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সোমবার বেলা ১১টায় মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা জনতার মঞ্চ ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা সরকারের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমশনার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও স্থানীয় এলাকাবাসীও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মুক্তিযোদ্ধা জনতার মঞ্চের আহবায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ, চলতি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী আকন্দ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি প্রবীন নেতা আবু তাহের সরকার ছানা মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বছির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার জিন্নত আলী জিন্নাহ, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম আবু সাঈদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এসময় বক্তারা বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে আনারস প্রতীকের ২৯ জন নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। নৌকার প্রার্থী পেশি শক্তি ব্যবহার করায় পুরো এলাকা আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। জোরপূর্বক ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মেরে কিংবা রাতের আঁধারে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রেখে নৌকার প্রার্থীকে যেকোন প্রকারে বিজয়ী করবে বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। 

সাবেক কমান্ডার আবুল কাশেম বলেন, এক শ্রেণির ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ সন্ত্রাসী বাহিনী সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনে পেশী শক্তির ব্যবহার করছে। এগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তাই আজ অমরা সড়কে নামতে বাধ্য হয়েছি। 

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ। স্মারকলিপি গ্রহণকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও অবাধ হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

স্মারকলিপিতে সাত দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নির্বাচনী এলাকায় মিথ্যা মামলায় কাউকে গ্রেফতার না করা, নির্বাচনী এলাকায় ভয়-ভীতিহীনভাবে ভোটার যেন ভোটকেন্দ্রে যেতে গিয়ে ভোট দিতে পারে এমন পরিবেশ প্রশাসনকে থেকে সৃষ্টি করা, প্রচারণায় সবার জন্য সমান সুযোগের ব্যবস্থা করা, চলমান সব ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া।

বিডি-প্রতিদিন/২৫ মার্চ, ২০১৯/মাহবুব



এই পাতার আরো খবর