ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ছেলের নামে টুর্নামেন্টের আয়োজন করে খেলোয়াড়দের পেটালেন ইউএনও!
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফি উল্লাহ

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নিজের ছেলের নামে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে তুচ্ছ ঘটনায় নিয়ে খেলায় অংশ নেওয়া বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের পিটিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফি উল্লাহ। শুক্রবার বিকালে দিরাই সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটার পর এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, নিজের শিশুপুত্রের নামে গঠিত ‘রাফসান একাডেমি’র ব্যানারে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফি উল্লাহ। টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বের খেলা শুক্রবার বিকালে দিরাই সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসন দলের বিপক্ষে খেলায় অংশ নেয় উপজেলা বিদ্যুৎ প্রকৌশলী দল। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খেলা শুরু হওয়ার আগেই উপজেলা প্রশাসন দল বহিরাগত খেলোয়াড় নিয়ে খেলতে চাইলে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা আপত্তি তোলেন। এমন পরিস্থিতির মাঝেই খেলা শুরু করেন রেফারি। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে বিপক্ষ দলের করা একটি ফাউল নিয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন ইউএনও। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় আবাসিক বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান কমলেশ দাসের দিকে তেড়ে যান তিনি। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় কমলেশ দাসকে ধাক্কা দিয়ে মাঠে ফেলে দেন তিনি। এ সময় দুই দলের খেলা ফেসবুক লাইভে প্রচার করছিলেন বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী নুরুজ্জামান মুকুল। বিষয়টি ইউএনও দেখতে পেয়ে দৌঁড়ে গিয়ে নুরুজ্জামানকে শার্টের কলার ধরে মারতে মারতে তার মাবাইলটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। মোবাইল  কেড়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় পুরো ঘটনাটি ফেসবুক লাইভে প্রচারিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। 

এদিকে ইউএনওর এমন ব্যবহারে উপস্থিত দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে অধীনস্থ কর্মচারীদের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে সরকারি গাড়িতে উঠে মাঠ ত্যাগ করেন ইউএনও মো. সফি উল্লাহ। 

দিরাই আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী হায়দার আলী বলেন, একজন বিচারক যখন অন্যায়ভাবে কারও গায়ে হাত তুলেন, তখন আর কিছুই বলার থাকে না। উপজেলার নির্বাহী বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন আচরণ অনভিপ্রেত। 

দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফি উল্লাহ বলেন, খেলায় সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, বিষয়টি মিটে গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর সংবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিক মুঠোফোনে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফি উল্লাহকে ‘ভাই’ সম্বোধন করায় ওই সাংবাদিকের প্রতি ক্ষেপে যান তিনি। এ নিয়ে সংবাদের শিরোনাম হন তিনি। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর