ঢাকা, বুধবার, ১ মে, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সৌদি রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সন্তানদের বিদ্যালয় হবে নিজস্ব ভূমিতে
মোহাম্মদ আল-আমীন, সৌদি আরব:

সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রবাসে বাংলাদেশী স্কুল নির্মাণের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই-কমিটির প্রতিনিধি দল সৌদি আরবে গমন উপলক্ষে এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।

রবিবার সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে বিদ্যালয়ের বোর্ড অব ডাইরেক্টরস'র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস এনডিসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অধি-শাখার উপপ্রধান শেখ মো. শরীফ উদ্দিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক কাজী জিয়াউল হাসান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব আনোয়ারুল হক, বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মেহেদী হাসান।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক খাদেমুল ইসলাম ও মো. রেদওয়ানুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় বিদ্যালয়ের বোর্ড অব ডাইরেক্টরস'র ভাইস চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, সিগনেটরি মো. আবদুল হাকিম, কো-সিগনেটরি ইঞ্জিনিয়ার গোফরান, সদস্য ও কালচারাল ডাইরেক্টর সফিকুল সিরাজুল হক, কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফেজ মো. ইব্রাহীম পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও তরজমা করেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সারা আজাদ।

বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. আফজাল হোসেন তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আমরা প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সন্তানদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দেশীয় কৃষ্টির সংস্কৃতির সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকি। আমাদের বিদ্যালয়ের রয়েছে এক সুবিশাল ঐতিহ্যগত ইতিহাস। আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সংস্থা নাসা থেকে শুরু করে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেশের এবং প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জ্বল করে চলেছে নিরন্তর। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসামান্য অবদান রেখে চলছে।

বোর্ড অব ডাইরেক্টরস'র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মদ বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশাল ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে এই বিদ্যালয়। প্রাথমিকভাবে সংকট উত্তরণে মানবতাবাদী প্রধানমন্ত্রী তিন কোটি টাকার আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে সংকট কাটিয়ে উঠতে যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, তা প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধারা আমৃত্যু স্মরণ রাখবে। কিন্তু বর্তমান এবং স্থায়ী সংকট উত্তরণে বিদ্যালয়টি নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের কোন বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মেহেদী হাসান বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরের বিষয়ে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেবার কথা জানান।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণ সাধন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। প্রবাসীদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ঋণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। শিক্ষা বিস্তারেও আমরা কাজ করে থাকি। প্রবাসীদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করে থাকি। প্রবাসে শিক্ষা বিস্তারে আমরা সদা তৎপর। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ছয়টি স্কুল ভিজিট করবে এবং অবকাঠামো নির্মাণে অবস্থা বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে। হাজার সমস্যা থাকবে কিন্তু মাইগ্রেশন বন্ধ হবে না। এই বিদ্যালয় থাকবে এখানে ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখা করবে। আমিও চাই এখানে ভালো একটি বিদ্যালয় নির্মাণ হোক। আমরা প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী ইন্সুরেন্স চালু করব। রেমিটেন্স বৈধ উপায়ে দেশে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসীদের কারণে আমাদের দেশে বেকার সমস্যা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আছে। আপনাদের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।

পরে প্রতিনিধি দল স্কুলের জন্য দেখা কয়েকটি প্লট ঘুরে দেখেন এবং জমির মালিক সৌদি নাগরিকদের সাথে কথা বলেন। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার



এই পাতার আরো খবর