মাঘের শুরুতে দিনাজপুরে হঠাত্ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পর থেকে শীত ঝেঁকে বসেছে। হিমেল হাওয়া আর কুয়াশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এ অঞ্চলের ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। বীজতলা নিয়ে চিন্তিত কৃষক।
গত মঙ্গলবার রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পরদিন থেকে শীতের প্রকোপ বাড়ে। ফলে জনজীবনেও অচলাবস্থা বাড়ে। মাঝারি শৈত্য প্রবাহে গত বুধবার থেকে হিমেল বাতাসে শীতে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে। সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সন্ধ্যা পর্যন্ত একই আবহাওয়া বিরাজ করছে।
হঠাৎ করে আবহাওয়া বদল হওয়ায় শীতজরিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বৃদ্ধরা। দিনাজপুর অরবিন্দু শিশু হাসপাতালে গত দুদিনে শিশু ভর্তির হার বেড়ে গেছে। আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৯২ জন শিশু শীতজনিত রোগে ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রেম কুমার রায় জানান।
হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় রবি শস্যেরও ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চিরিরবন্দরের নশরতপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, গত দুদিন ধরে সূর্যের দেখা যায়নি। এতে শীত ও কুয়াশার কারণে আমার বীজতলার রং হলুদ হয়ে পড়ছে।
বিরলের কৃষক সফিকুল ইসলাম জানান, বীজতলা হলুদ বর্ণ হয়ে নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করতে স্প্রে ব্যবহার করতে হচ্ছে।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে খুবই কষ্টে আছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। শহরে লোকজনের সংখ্যা একেবারে কম। খুব দরকারি ছাড়া কেউ যেন বের হতে চান না। শ্রমিকরা কাজে নামতে পারেনি। এমন অবস্থা কৃষি শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও।
মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার বীজতলা হুমকির মুখে পড়েছে। তবে রোদ উঠলেই এ সমস্যা কেটে যাবে বলে কৃষি বিভাগ বলছে।
আজ শুক্রবার ১২ দশমিক ৩ সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও এটি তাপমাত্রা উঠানামা করছে। শীতে জনজীবন অচল হওয়ার পাশাপাশি বীজতলার ক্লোড ইনজুরির কবলে পড়েছে। শীতের কুয়াশায় বীজতলা হলুদ বর্ণ হয়ে পড়েছে।
চিরিরবন্দর কৃষি কর্মকর্তা সুধেন্দ্র নাথ রায় জানান, এরকম শৈত্য প্রবাহ চললে বোরো চাষের জন্য সদ্য বপণকৃত বীজতলার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রোদ উঠলেই এ সমস্যা কেটে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/২২ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ