ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে এই বাজেট উপস্থাপন করেন।
গত সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের নিয়মিত সভায় এই বাজেট অনুমোদিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ১ হাজার ২৫১ কোটি টাকা হলেও নতুন বাজেট অনুমোদন হয়েছে ১ হাজার ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার। যেখানে বাজেট কমতি থাকবে চাহিদার প্রায় ২১৬ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে ৮৫.২৮% অর্থাৎ ৮৮৩ কোটি ৪ লাখ টাকা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে আসবে বাজেটের ৮.৬৯% অর্থাৎ ৯০ কোটি টাকা। ফলে ঘাটতি থাকবে ৬. ০৩% অর্থাৎ ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
১ হাজার ৩৫ কোটি টাকার বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২.০৮% বা ২১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। গত বছর এই বরাদ্দ ছিল ২০ কোটি টাকা ৭ লক্ষ টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটের ৬২.৬৯ শতাংশই (৬৪৮ কোটি ২৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা) ব্যয় হবে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশনে। এ ছাড়া পণ্য ও সেবা–সহায়তা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ দশমিক ৬২ শতাংশ (২৮৫ কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার টাকা)। গত বছর প্রস্তাবিত বাজেটের ৬৭ শতাংশ (৬৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা) ব্যয় হয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশনে। এ ছাড়া পণ্য ও সেবা–সহায়তা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ (২২০ কোটি ৫৫ লাখ ৫ হাজার টাকা)।
বাজেট উপস্থাপনের সময় ইউজিসির বরাদ্দকে অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে কোষাধ্যক্ষ এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এবার ইউজিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ১ হাজার ২৫১ কোটি ৬০ লাখ ২৫ হাজার টাকা; ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৯৭৮ কোটি ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ আমাদের চাহিদার চেয়ে প্রায় ২৭৩ কোটি ৫৬লাখ ২৫ হাজার টাকা কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বারবার চাহিদার চেয়ে কম টাকা বরাদ্দ দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বিনিয়োগ কমে আসছে। সেকারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার কার্যক্রম গতিশীল হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ছিল ৯৭৩ কোটি ৫ লাখ টাকা যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হ্রাস পেয়েছিল ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকায়। তবে এবারে বাজেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫ কোটি টাকায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গবেষণায় বরাদ্দ ছিল মাত্র ২০ কোটি টাকা, যা বর্তমান বাজেটে ২১ কোটি টাকা। গতবারের বাজেটে ৬৭ শতাংশ ব্যয়ই ছিল বেতন ও ভাতা খাতে, এবং ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্যয় ছিল পণ্য ও সেবা-সহায়তা খাতে। এবারের বাজেটে ৬২.৬৯ শতাংশ ব্যয় হবে বেতন ও ভাতা ও পেনশন খাতে এবং পণ্য ও সেবা-সহায়তা খাতে ২৭ দশমিক ৬২ শতাংশ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত