বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত দিনদিন ফুরিয়ে আসছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরাও বারবার দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের দায়িত্বশীল মহলকে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধির তাগিদ দিচ্ছেন। কিন্তু এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ সংশ্লিষ্ট মহলকে এখনো নিতে দেখা যাচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বছরখানেক হয়ে গেলেও এখনো গতিহীন সাগরের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস এবং খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)-এর দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এ কার্যক্রম এখনো পর্যালোচনার পর্যায়েই আছে। সাগরে জ্বালানি অনুসন্ধানের জন্য নতুন করে কবে নাগাদ আবার দরপত্র আহ্বান করা হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকারের জ্বালানি মন্ত্রণলায়। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে এখনো বিরাট জ্বালানি অনুসন্ধানের সুযোগ আছে। তবে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে বিদেশি কোম্পানি কখনো আসতে চায় না। পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট) প্রকৌশলী মো. শোয়েব গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের ছয়টি দরপত্র বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ সাড়া দেয়নি। এ দরপত্রে কেউ কেন সাড়া দেয়নি তা জানতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। আমরা সেই রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করছি। যাতে করে এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। আমাদের পরবর্তী টেন্ডারটি যাতে আরও প্রতিযোগিতামূলক করা যায় সে চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে এ বিষয়ে আগ্রহী করার জন্যও চেষ্টা চলছে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান বলেন, আমরা এখনো বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনার মধ্যে আছি। সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে সাড়া না মেলার কারণ জানতে আমরা তিনটি উৎস থেকে তথ্য নিয়েছিলাম। এর মধ্যে যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আমাদের থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য কিনেছে, তাদের কাছে দরপত্র জমা না দেওয়ার কারণ জানতে চেয়েছি। দ্বিতীয়ত এ খাতে যারা বিশেষজ্ঞ আমরা তাদের কাছেও এ ব্যাপারে মতামত জানতে চেয়েছি। তৃতীয়ত এ বিষয়ে গণমাধ্যমে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সে তথ্যও আমরা সংগ্রহ করেছি। দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে এগুলো পাঠানো হয়েছে। এরপর এ-সংক্রান্ত কনসালট্যান্টের কাছে এগুলো পাঠানো হয়। এরই মধ্যে একটি সংশোধিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) দাখিলের প্রস্তুতি চলছে। এর অনুমোদন পেলে পরবর্তী উদ্যোগে যেতে পারব। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাধারণত আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর একটা পরিকল্পনা থাকে, তারা বিশ্বে কখন ও কোথায় কাজ করতে যাবে। আবার কোনো একটি দেশ অস্থিতিশীল থাকলে সেখানে কোনো তেল-গ্যাস কোম্পানি কখনো আসতে চায় না। ধারণা করছি সর্বশেষ ডাকা দরপত্রে এ কোম্পানিগুলোর অংশ না নেওয়ার পেছনে এগুলো সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।
শিরোনাম
- সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
- স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
- এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
- ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
- চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস
- নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি
- শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা
- নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ
- যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি
- কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট
- চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু
- সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা সরাতে আল্টিমেটাম
- ভালুকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
- বোয়ালমারীতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
- পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
- বিশ্বব্যাপী জলবায়ু কর্ম সপ্তাহে কলাপাড়ায় মানববন্ধন
- গাজায় গণহত্যা চলছে, দায়ী ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন
- সিদ্ধিরগঞ্জে আহতদের পুনর্বাসন, জুলাই যোদ্ধাকে দোকান উপহার
- ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত
- নীলফামারীতে ৮৪৭টি মণ্ডপে হবে শারদীয় দুর্গাপূজা