জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর আবাসন সমস্যার টেকসই সমাধান হিসেবে ‘খুদি বাড়ি’ প্রকল্পের অভিনব ও কার্যকর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার-২০২৫ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। গত সোমবার কিরগিজস্তানের বিশকেক শহরে এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথম বাংলাদেশি স্থপতি হিসেবে মেরিনা তাবাসসুম দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বব্যাপী স্থাপত্যের অন্যতম বৃহৎ ও মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার জিতলেন।
আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার-২০২৫ এর ঘোষণায় বলা হয়েছে, বিচারকমণ্ডলী খুদি বাড়ি প্রকল্পের গভীর পরিবেশগত দৃষ্টিভঙ্গিকে বিবেচনায় নিয়েছেন। একই সঙ্গে বাঁশকে বৈশ্বিক অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারার একটি উপাদান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন তারা।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর আবাসন সমস্যার টেকসই সমাধান হিসেবে মেরিনা তাবাসসুমের নকশা করা ‘খুদি বাড়ি’ প্রকল্পের অভিনব ও কার্যকর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
‘খুদি বাড়ি’ মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানচ্যুত মানুষের জন্য তৈরি একটি সাশ্রয়ী, সহজে খোলা-জোড়া লাগানো ও দ্রুত স্থাপনযোগ্য বাড়ি। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা ও নদীভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য বাঁশ ও ইস্পাত দিয়ে দোতলা এ বাড়ি তৈরি হয়েছে। বন্যার সময় বাড়ির দ্বিতীয় তলা দুর্গত ব্যক্তিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
উল্লেখ্য, মেরিনা তাবাসসুম আর্কিটেক্টস ২০১৬ সালেও ঢাকায় অবস্থিত বায়তুর রউফ মসজিদ প্রকল্পের জন্য এ পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।