পিরোজপুর-১ বা সদর আসন জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলা নিয়ে এ আসন গঠিত। আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতার জন্য এ আসন থেকে বড় দল বিএনপির ছয়জন নেতা তৎপরতা চালাচ্ছেন। তারা হলেন জিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, বর্তমান আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক এলিজা জামান, সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত। জামায়াত থেকে এ আসনে সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে জিয়ানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটের প্রধান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দারও প্রার্থী হচ্ছেন। এই তিন পক্ষ ছাড়া এখন পর্যন্ত নির্বাচনের ময়দানে আর কোনো দলের তৎপরতাও নেই। মাঠের সূত্রগুলো বলছে, আসনটিতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো বিএনপি ও জামায়াত।
ভোট সম্পর্কে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান বলেন, ‘তারেক রহমানের ৩১ দফা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ও তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।’ আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দুলাল বলেন, ‘নমিনেশন পেলে বিজয়ী হব। এরপর দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করাই হবে আমার প্রধান দায়িত্ব।’ আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘নির্বাচিত হলে শিক্ষাব্যবস্থার প্রসার ও বেকার সমস্যা দূর করতে পদক্ষেপ নেব।’ এলিজা জামান জানান, আগামী নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারলে বড় পরিসরে জনগণের জন্য কাজ করতে পারবেন। সাইদুল ইসলাম কিসমত বলেন, ‘দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তাকেই বিজয়ী করতে কাজ করব।’
জামায়াত প্রার্থী মাসুদ সাইদী বলেন, ‘আমি এমপি নির্বাচিত হলে প্রথমেই পিরোজপুরকে একটি অর্থনৈতিক জোন হিসেবে ঘোষণা করার ব্যবস্থা করব। এখানে কলকারখানা স্থাপন, শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে। নদীতীরবর্তী এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেব।’