জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে প্রতিনিয়তই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল করছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ বলছে, এসব ঝটিকা মিছিল আয়োজনে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করা হচ্ছে। মিছিলে অংশ নিতে ঢাকার বাইরে থেকে আগতদের যাতায়াত ও থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি নির্দিষ্ট টাকা দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে বেশির ভাগ নেতা-কর্মী আনা হচ্ছে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায় থেকে। ঝটিকা মিছিলে এই অর্থায়নকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। গতকাল সকালে মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর সাতটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগের ৪৬ নেতা-কর্মীর বিষয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, চলতি বছরে ১০ মাসে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৩ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গণগ্রেপ্তার নয়, অবশ্যই যারা সরাসরি মিছিলে অংশ নিয়েছেন, শুধু তাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিসি জানান, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যক্তিদের গতিবিধির ওপরও কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে।
সম্প্রতি এক দিনে ২৪৪ জন এবং অন্যদিন ১৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেককেই আমরা ককটেলসহ গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ও সমাজমাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়া। নির্বাচন সামনে থাকায় রাজনৈতিক তৎপরতা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার সক্ষমতা ডিএমপির রয়েছে।
এদিকে কুমিল্লা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুমিল্লা নগরীতে ঈদগাহ মাঠের পাশে ৪০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারদের গতকাল কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।