২০২৪-এর স্বৈরাচারবিরোধী জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধের স্মরণে একটি প্রীতি ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের দুটি দল। গতকাল রাতে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির ফুটবল অনুশীলন মাঠে ন্যাশনাল ইয়ুথ অ্যালায়েনস বাংলাদেশের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ম্যাচের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দুই আইকন ও অগ্রণী সৈনিক শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধ। তাঁরাসহ যাঁরা এ আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন তাঁদের আমাদের স্মরণ রাখতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ এ সময় তিনি বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি ও দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বসুন্ধরা গ্রুপের অগ্রণী ভূমিকার প্রশংসা করেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ২-২ গোলে ড্রর পর টাইব্রেকারে গড়ায়। টাইব্রেকারে জেতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস। পরে দুই দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, শহীদ আবু সাঈদের বাবা মো. মকবুল হোসেন ও মীর মুগ্ধের বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান।
২০২৪-এর স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের সময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। এ উত্তাপ বিস্ফোরণে রূপ নেয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুতে। বুক চিতিয়ে পুলিশের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে অকাতরে বিলিয়ে দেন নিজের জীবন। জেগে ওঠে দেশের ছাত্র-জনতা। এক পর্যায়ে পুলিশের সশস্ত্র আক্রমণ যখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিশাহারা ঠিক তখন রাজপথে নেমে আসেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন পায় চূড়ান্ত রূপ। শহীদ হন মীর মুগ্ধ। ১৪ শ ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশ হয় স্বৈরাচারমুক্ত। পালিয়ে যান ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা।