বিএনপি নেতা ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে না দেওয়া, বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের কথা মনে করিয়ে দেয়। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এহছানুল হক মিলন বলেন, আমি ব্যাংককে থাকাকালে জানতে পারি বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বৈঠকে আমাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। দলের নির্দেশনা পেয়ে আমি চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখে গত ২৫ অক্টোবর ঢাকায় ফিরে আসি। তিনি বলেন, দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে ৩০ অক্টোবর পুনরায় ব্যাংককে চিকিৎসার উদ্দেশে রওনা হই। যাত্রাকালীন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে জানতে পারি, আমাকে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চেয়ে কোনো সদুত্তর পাইনি।
মিলন বলেন, আমি কখনো কোনো চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, কোনোরকম দেশ বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলাম না। আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করা মানুষ। দেশ ও মানুষের ভালোবাসায় আমাকে আমেরিকার নাগরিকত্ব-পাসপোর্ট ত্যাগ করে রাজনীতিতে আসতে প্রেরণা জুগিয়েছে। তিনি বলেন, এই সরকার ’২৪-এর গণ অভ্যুত্থানের সরকার। আমার দল বিএনপি শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থন দিয়ে আসছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-এই সরকারের কোনো সংস্থা বা বিভাগের কোনো ভুল তথ্য বা ষড়যন্ত্রে তারা বিভ্রান্ত হবেন না। আমিসহ দেশের সব নাগরিকের সাংবিধানিক ও নাগরিক, মানবিক অধিকার রক্ষায় সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।