সংস্কার ও পানি নিষ্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় গাইবান্ধার সাঘাটায় উপজেলা শহরের রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। বৃষ্টি হলেই হাঁটু পর্যন্ত নোংরা পানি জমে থাকে জনগুরুত্বপূর্ণ এসব রাস্তায়। ফলে এ এলাকার স্কুলের শিশুশিক্ষার্থী, হাসপাতালের রোগীসহ জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার অন্যতম জনগুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়িক কেন্দ্র সাঘাটা বাজার এলাকা। এর আশপাশে রয়েছে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সাঘাটা থানা, সাঘাটা ডিগ্রি কলেজ, সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সাঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি প্রাথমিক পর্যায়ের কিন্ডারগার্টেন স্কুল, অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও জনবসতি। বাজারের পল্লিচিকিৎসক দ্বীজেন্দ্র নাথ পাল বলেন, সামনে গলিতে নোংরা পানি ও কাদা জমে থাকে। তার চেম্বার ও ওষুধের দোকানে প্রতিদিন শতাধিক রোগী নিরুপায় হয়ে কাদা পায়ে আসে। মুদি ব্যবসায়ী বিপ্লব সাহা বলেন, নোংরা পানি আর কাদা থাকায় নিচে ইট, পাথর অথবা কাঠ দিয়ে দোকানে বসতে হয়। কাদার কারণে হাটুরে ও বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা চরম দুর্ভোগে পড়েন। রাস্তা বেশির ভাগ সময় এখানে জলাবদ্ধ থাকে। দুর্গন্ধ ছড়ায়। এডিস মশা উৎপত্তির শঙ্কা রয়েছে। তিনি দ্রুত এই জায়গার সংস্কারের দাবি জানান। এ ছাড়া সাঘাটা হাসপাতালের রাস্তা, বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের রাস্তা, ডিগ্রি কলেজের রাস্তা, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়গামী রাস্তা, থানার রাস্তা, হাসিলকান্দিগামী রাস্তা, চিনিরপটলগামী রাস্তা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তার বেহাল অবস্থা। এসব রাস্তায় প্রয়োজনীয় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ সংস্কার ও প্রশস্ত করণের অভাবে নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে সাঘাটা হাসপাতালগামী রোগী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশুশিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সাঘাটা বাজারের অলিগলিতে জমে থাকা ময়লা, নোংরা পানি ও সৌচাগারের দুর্গন্ধ এলাকার পরিবেশ দূষণ করছে। সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, সৌচাগারের জন্য টিউবওয়েল স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল কামাহ্ তমাল বলেন, ড্রেন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা চলমান আছে।