জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান কমিশন (সিওআই) মঙ্গলবার ইসরায়েলকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের উদ্দেশ্যে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনেছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয,কমিশনের প্রধান নাভি পিল্লাই এক বিবৃতিতে বলেন, “গাজায় গণহত্যা ঘটছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। এর পূর্ণ দায় ইসরায়েল রাষ্ট্রের।”
কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এই গণহত্যার দায় থেকে রেহাই পেতে পারেন না।
তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রতিবেদনকে “বিকৃত ও মিথ্যা” আখ্যা দিয়ে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং অবিলম্বে এই কমিশন বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধে এ পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ এই পরিসংখ্যানকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
যুদ্ধের ফলে গাজার বিপুল জনগোষ্ঠী অন্তত একবার করে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বর্তমানে ইসরায়েল গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নিতে অভিযান জোরদার করায় নতুন করে আরও বহু মানুষ ঘরবাড়ি হারাচ্ছেন। সেখানে জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দিয়েছে।
সিওআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনে উল্লিখিত পাঁচটি অপরাধের মধ্যে চারটি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ও সেনারা সংঘটিত করেছে। সেগুলো হলো— ১.একটি জনগোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা ২. তাদের গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি সাধন ৩. জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার মতো জীবনযাপনের শর্ত আরোপ করা ৪. জন্ম রোধ করার লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সূত্র: আরব নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজিম