আলোচিত ইসলামি বক্তা ও চিন্তাবিদ ড. জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসছেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে ২৮ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে অবস্থানের অনুমতি দিয়েছে। এ সফরে তিনি বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় বক্তৃতা ও সেমিনারে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। তবে এ ঘোষণার পরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির দাবি, জাকির নায়েক ভারতে সন্ত্রাসে অর্থায়ন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় পলাতক আসামি, তাই তাঁকে বাংলাদেশে পাওয়া গেলে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবার নয়াদিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি। তিনি ভারতে ওয়ান্টেড। আমরা আশা করি তিনি যেখানেই যান না কেন, সেই দেশ তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’ সূত্র : এনডিটিভি, বিবিসি
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান হামলার পর শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশে পিস টিভি নিষিদ্ধ করেছিল, কারণ হামলাকারীদের মধ্যে কেউ কেউ নায়েকের বক্তব্যে প্রভাবিত ছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর নিষেধাজ্ঞাটি কার্যত শিথিল হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে এবারই প্রথম বাংলাদেশ সফরে আসছেন ড. জাকির নায়েক।
অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক সূত্র জানান, বাংলাদেশে ধর্মীয় আলোচনার স্বাধীনতা ও জন আলোচনার নতুন পরিবেশে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে। অন্যদিকে ভারত এ সফরকে ‘বাংলাদেশ সরকারের ভারতবিরোধী অবস্থানের ইঙ্গিত’ হিসেবে দেখছে।