বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। সব অভিমান ভুলে শেষ পর্যন্ত সাদা পোশাকের টেস্ট অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে রাজি হন। বিসিবি গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫-২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পুনরায় নিয়োগ দিয়েছে নাজমুলকে। অথচ গত জুনে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার পর টেস্ট নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তখন জানিয়েছিলেন, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক দল পরিচালনায় সমস্যা হতে পারে। মিরপুর স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেটের খুলনা-রাজশাহী ম্যাচ শুরুর আগে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয় নেতৃত্বে রেখে দেওয়ার বিষয়টি। পুনরায় টেস্ট নেতৃত্ব পাওয়ার পর নাজমুল শান্ত বিসিবির বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করে যেতে পারাটা আমার জন্য সত্যিই সম্মানের। আমার নেতৃত্বের প্রতি বোর্ড যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। টেস্ট ক্রিকেটে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয়। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিদান দেওয়ার জন্য আমি আমার সর্বোচ্চটা দেব।’
গত জুনে টেস্ট নেতৃত্বে ছেড়ে দেওয়ার সময় মিডিয়াকে নাজমুল বলেছিলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত যে, তিনজন অধিনায়ক দলের জন্য সমস্যা হতে পারে। দলের ভালোর জন্য এখান থেকে সরে আসছি। যদি ক্রিকেট বোর্ড মনে করে যে, তিনজন অধিনায়কই রাখবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।’ শোনা যায় পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাসের নাম প্রস্তাব করেছিলেন নাজমুল। এ ছাড়া তালিকায় তাইজুল ইসলামের নামও ছিল। নাজমুলের মন্তব্যের পর বিসিবি তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্বের বিষয়টি নিয়ে ভেবেছিল। শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে স্থির রয়েছে। এখনো তিন ফরম্যাটের অধিনায়কই রয়েছে। টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল শান্ত, ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও টি-২০ অধিনায়ক লিটন দাস। নাজমুলকে নেতৃত্বে রেখে দেওয়ার বিষয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল বলেন, ‘শান্ত (নাজমুল) ধৈর্য, প্রতিশ্রুতি এবং টেস্ট ক্রিকেটকে গভীরভাবে বোঝার প্রমাণ দিয়েছে। ওর নেতৃত্বে দল পরিণত ও আত্মবিশ্বাসী হয়েছে। বোর্ড মনে করে, নতুন এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এগিয়ে যাওয়ার পথে নেতৃত্বের এই ধারাবাহিকতা আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।’ নাজমুল প্রথমবার অধিনায়কত্ব পান ২০২৩ সালে। এখন পর্যন্ত ১৪টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছেন ৪টি, হেরেছেন ৯টি ও ড্র করেছেন ১টিতে।